Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

সুকমায় মাওবাদী হানায় নিহত ৭ পুলিশকর্মী, জখম ১০

বেশ কয়েক মাস নিশ্চুপ থাকার পর ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় ফের টহলদারি পুলিশ বাহিনীর উপর হামলা চালালো মাওবাদীরা। শনিবারের এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে সাত এসটিএফ জওয়ানের। মৃতদের মধ্যে আছেন এক জন প্লাটুন কম্যান্ডার, দু’জন হেড কনস্টেবল এবং চার জন কনস্টেবল। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দশ জওয়ান।

চলছে জখম জওয়ানদের শুশ্রুষা।

চলছে জখম জওয়ানদের শুশ্রুষা।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৫ ২০:০৯
Share: Save:

বেশ কয়েক মাস নিশ্চুপ থাকার পর ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় ফের টহলদারি পুলিশ বাহিনীর উপর হামলা চালালো মাওবাদীরা। শনিবারের এই হামলায় মৃত্যু হয়েছে সাত এসটিএফ জওয়ানের। মৃতদের মধ্যে আছেন এক জন প্লাটুন কম্যান্ডার, দু’জন হেড কনস্টেবল এবং চার জন কনস্টেবল। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দশ জওয়ান।

ছত্তীসগঢ় পুলিশের নকশাল দমন শাখার প্রধান, অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল আর কে ভিজ জানিয়েছেন, শনিবার সুকমা জেলার চিন্তাগুফার পিড়মেল-পোলামপল্লি এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন রাজ্য পুলিশের বিশেষ বাহিনীর (এসটিএফ) ৬১ জন জওয়ান। অতর্কিতে তাঁদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে সশস্ত্র মাওবাদীরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মৃত্যু হয় ওই জওয়ানদের। জওয়ানরা পাল্টা জবাব দিলেও গভীর জঙ্গলের আড়ালে পালাতে সক্ষম হয় মাওবাদীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন ঘণ্টাখানেক ধরে চলে এই গুলি বিনিময়। নিহত পুলিশকর্মীরা হলেন শঙ্কর রাও (প্লাটুন কম্যান্ডার), রোহিত সোধি (হেড কনস্টেবল), মনোজ বাঘেল (হেড কনস্টেবল), ভি কে মোহন, রাজকুমার মারকাম, কিরণ দেশমুখ এবং রাজমান তেকাম নামে চার কনস্টেবল।

প্রাথমিক তদন্তে জওয়ানদের মৃতদেহে গুলির ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। আহতদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গুরুতর আহতদের দু’টি কপ্টারে চাপিয়ে জগদলপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশকে সাহায্য করতে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সিআরপিএফ জওয়ানরা। পলাতক মাওবাদীদের খোঁজে জোর তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সুপ্রিমো সনিয়া গাঁধী। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে একই ধরনের হামলা এড়াতে শীঘ্রই যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সনিয়া।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE