জ্বলছে আগুন। মহেশতলার রাসায়নিক কারখানায়। অরুণ লোধের তোলা ছবি।
চার দিকে কালো ধোঁয়া। আগুনের লেলিহান শিখা আকাশ ছুঁতে চাইছে। তার মধ্যেই আগুন নেভানোর কাজ করছেন দমকল কর্মীরা। দমকলের ১৭টি ইঞ্জিন প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার চেষ্টায় যখন সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনল, তত ক্ষণে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে কারখানার একাংশ। দমকল সূত্রে খবর, মহেশতলা থানার বজবজ ট্রাঙ্ক রোড এলাকার রামপুরের ওই রাসায়নিক কারখানার যে অংশে আগুন লাগে সেখানে আঠা তৈরি হত। কারখানায় প্রচুর দাহ্য রাসায়নিক মজুদ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে, এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর দেড়টা নাগাদ প্রথম আগুনের ফুলকি দেখতে পান কারখানার কর্মীরা। পুলিশ ও দমকলকে ওই কর্মীরা জানিয়েছেন, কারখানায় স্পিরিটের ড্রাম রাখা ছিল। আর সে কারণেই ফুলকি থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই কারখানার ওই অংশে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। প্রথমে কারখানায় রাখা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় বেহালা, টালিগঞ্জ, বজবজ, মহেশতলার দমকল কেন্দ্রগুলি থেকে মোট ১৭টি ইঞ্জিন একের পর আনা হয়। ঘটনাস্থলে আসেন মহেশতলা থানার ওসি শুভাশিস চৌধুরি। দমকল কর্মীরা জানান, কারখানার ভেতর দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে খুবই অসুবিধা হয়। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় কারখানার আশপাশ। আগুনের শিখা এতটা উচ্চতায় উঠে যায় যে, অনেক দূর থেকে সেই শিখা দেখতে পেয়ে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ।
শেষে বিকেল পাঁচটা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তত ক্ষণে অবশ্য কারখানার আঠা তৈরি করার অংশটি পুরো ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। দমকলের এক কর্তা বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। ঘরে প্রচুর রাসায়নিক থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy