প্রতীকী ছবি।
জুনিয়র রিসার্চ ফেলো পদে কাজের সুযোগের বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে প্রায় সকলেই পরিচিত। স্নাতকোত্তর স্তর সম্পূর্ণ করার পর এবং পিএইচডি চলাকালীন বহু পড়ুয়াই এই ‘বিশেষ’ পদে কাজ শেখার সুযোগ পেয়ে থাকেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকার অনুমোদিত গবেষণাগারে কাজের সুযোগ মেলে। কিন্তু সকলেই কী জুনিয়র রিসার্চ ফেলো হতে পারেন? এইক্ষেত্রে কাজ করা বা শেখার জন্য কী কী নিয়ম রয়েছে? কাজের ক্ষেত্রে কী কী বিষয়ে সীমাবদ্ধতা রয়েছে? এই সমস্ত বিষয়ে রইল বিস্তারিত তথ্য, যাতে জুনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করতে গিয়ে অসুবিধেয় পড়তে না হয় সদ্য মাস্টারস শেষ করা পড়ুয়াদের।
জুনিয়র রিসার্চ ফেলো আসলে কী?
জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ একটি কর্মসূচি, যা পড়ুয়াদের তাঁদের পাঠ্যবিষয়ের অন্তর্ভুক্ত কোনও বিশেষ ক্ষেত্রে গবেষণায় অংশগ্রহন করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এই গবেষণা প্রকল্পগুলিতে সরকার আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থার তরফেও অর্থ সাহায্য পাওয়া যায়। খুব সহজে বলতে গেলে, গবেষণা প্রকল্প নিয়ে ভাবনা চিন্তা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কাজটি করে থাকেন এই জুনিয়র রিসার্চ ফেলোরা।
কোন কোন বিভাগের পড়ুয়ারা সুযোগ পাবেন?
বিজ্ঞান, কলা বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদেরই সাধারণত গবেষণামূলক প্রকল্পের জন্য নিয়োগ করা হয়ে থাকে। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাণিজ্য (কমার্স) এবং কারিগরি (ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের পড়ুয়ারাও বিশেষ গবেষণা প্রকল্পে কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। তবে সব ক্ষেত্রেই পড়ুয়াদের ইউজিসি নেট জেআরএফ অর্থাৎ জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপের জন্য ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। এতে প্রকল্পে কাজের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়।
কী ধরণের প্রকল্পে কাজের সুযোগ মেলে?
বিজ্ঞান, কলা বিভাগের বিভিন্ন শাখায় নানাবিধ আবিস্কার অব্যাহত রয়েছে। সেই আবিস্কারের প্রথম ধাপই হল গবেষণা। তাই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণাগারে নিয়মিত হয়ে চলা গবেষণা প্রকল্পগুলিতে কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন পড়ুয়ারা।
বেতন:
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর পক্ষ থেকে জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ স্কিমের নির্দেশিকায় ফেলোশিপ বাবদ বৃত্তির পরিমাণ নির্ধারিত করে দেওয়া হয়েছে। মাসে ১০ থেকে ২৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃত্তি পেতে পারেন কর্মরত পড়ুয়ারা। যদিও এই নির্দিষ্ট পরিমাণ বৃত্তি সব গবেষণা প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। সেই বৃত্তি খানিকটা নির্ভর করে থাকে প্রকল্পে যে সংস্থা আর্থিক অনুদান দিচ্ছে, তাদের উপরেও।
পরবর্তীতে কাজের সুযোগ?
সাধারনত, যাঁরা জুনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করে থাকেন, দুই থেকে তিন বছর পর তাঁরা সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করতে পারবেন। পাশাপাশি, অন্য কোনও সংস্থা কিংবা একই সংস্থার অন্য কোনও প্রকল্পেও মেলে কাজের সুযোগ।
তাই নিয়মিত ভাবে পড়ুয়াদের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নজর রাখতে হবে। বিভিন্ন সরকারি গবেষণাগারের রিক্রুটমেন্ট বিভাগের নোটিসও দেখতে হবে প্রয়োজনে। পাশাপাশি এই সংক্রান্ত নিয়োগের খবর পেতে চোখ রাখতে পারেন আনন্দবাজার অনলাইনের শিক্ষা এবং চাকরি বিভাগেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy