উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে সংস্কৃতের পাঠ্যক্রমে বদল করা হয়েছে। তৃতীয় সেমেস্টারের ১, ২ এবং ৩ নম্বর ইউনিটের বিষয়গুলি বদল করা হয়েছে। সেমেস্টার শুরু হওয়ার পরে পাঠ্যক্রম বদলানোয় ক্ষুব্ধ শিক্ষকমহলের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, এখনও সংস্কৃতের সঙ্গে বাংলা, ইংরেজি বিষয়ের বই বিভিন্ন স্কুলে এসে পৌঁছায়নি। এখন নতুন করে পাঠ্যক্রমে রদবদল করা হলে ক্লাস শুরু হবে কী ভাবে?
আরও পড়ুন:
কী কী বিষয়ে বদল করা হল?
- তৃতীয় সেমেস্টারে ইউনিট -১ গদ্যে ‘শ্রীমতী’ ( ‘অবদানশতকম্’ -এর অংশবিশেষ) -এর পরিবর্তে ‘রাজবাহনচরিতম্’ (‘দশকুমারচরিতম্’-এর অংশবিশেষ) পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
- ইউনিট-২ পদ্যে ‘অভ্যাসবশগং মনঃ’ (‘শ্রীমদ্ভগবদগীতা’-র নির্বাচিত অংশ)-এর পরিবর্তে ‘যোগঃ কর্মসু কৌশলম্’ (‘শ্রীমদ্ভগবদগীতা’)-র নির্বাচিত অংশ পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
- ইউনিট ৩-এর নাটক অংশে ‘বীরঃ সর্বদমনঃ’ (মহাকবি কালিদাস রচিত ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম্’ অংশ বিশেষ) -এর স্থানে ‘দুর্বাসাসঃ অভিশাপঃ’ (মহাকবি কালিদাস রচিত ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম্’ নাটকের অংশ বিশেষ) পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
- ইউনিট- ৫ পৌরাণিক ও লৌকিক সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস অংশে আর্যভট্ট ও বরাহমিহির (গ্রন্থকার ও গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত পরিচয়)। এই স্থানে বরাহমিহিরের পরিবর্তে ব্রহ্মগুপ্ত পাঠ্যসূচির তালিকাভুক্ত হয়েছে।
শিক্ষকমহলের একাংশের আরও অভিযোগ, পুরোনো পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে প্রকাশিত বই ইতিমধ্যেই ছাত্রছাত্রীরা কিনে ফেলেছে। আজকে হঠাৎ করে কোনও অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও আবার পাঠ্যক্রমে এত বদল করার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যদি পরিবর্তন করতেই হত, তা হলে অনেক আগে থেকে তা জানানো হল না কেন?
আরও পড়ুন:
একই সঙ্গে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীর অভিযোগ, আশ্চর্যজনক ভাবে একটি প্রকাশনা সংস্থা নতুন সিলেবাসের ভিত্তিতে এবং বাকিরা পুরানো সিলেবাসের ভিত্তিতে বই প্রকাশ করল কী ভাবে? তিনি আরও বলেন, “সঠিক বই প্রকাশ সম্পর্কিত তথ্য সব প্রকাশনা সংস্থার কাছে কেন ছিল না? এখনও বাংলা, ইংরেজির তৃতীয় সেমেস্টারের বই স্কুলে আসেনি। এত রদবদলের ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠনপাঠন ক্রমাগত বিঘ্নিত হচ্ছে।”