প্রতীকী ছবি।
ডিজিটাল যুগে কাজের চাহিদার পাশাপাশি আধুনিক হয়ে উঠছে কাজ করার পদ্ধতিও। আগে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ় শিখে নিলেই খুলে যেত পেশায় প্রবেশের দরজা। কিন্তু এখন তাতে থেমে নেই তথ্য ও প্রযুক্তি শিল্পক্ষেত্র। বিগত ৪ বছরে সফটওয়্যার নির্ভর দক্ষতার উপর ভিত্তি করে নিয়োগ বেড়েছে এই ক্ষেত্রে। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি, বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বেড়েছে কোর্সের সংখ্যা। এমনই একটি সফটওয়্যার হল স্যাপ তথা এসএপি।
স্যাপ আসলে কী?
এসএপি তথা স্যাপের পুরো নাম হল সিস্টেমস, অ্যাপ্লিকেশনস অ্যান্ড প্রোডাক্টস ইন ডেটা প্রসেসিং। ডিজিটাল দুনিয়ায় এটি অন্যতম এন্টারপ্রাইজ় রিসোর্স প্ল্যানিং সফটওয়্যার সিস্টেম হিসেবে জনপ্রিয়। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সমস্ত তথ্যকে একই ছাদের তলায় নিয়ে আসা যায়। পরবর্তীতে সেই সমস্ত তথ্য ক্ষেত্র বিশেষে গুরুত্ব অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কোন কোন ক্ষেত্রে স্যাপের ব্যবহার রয়েছে?
কিছু সাধারন মডিউল রয়েছে, যে সমস্ত ক্ষেত্রে স্যাপ কাজ করে থাকে।
১. ফিনান্স অ্যান্ড কন্ট্রোলিং
২. সেলস অ্যান্ড ডিসট্রিবিউশন
৩. মেটেরিয়ালস ম্যানেজমেন্ট
৪. হিউম্যান ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট
৫. প্রোডাকশন প্ল্যানিং।
পড়ুয়ারা কী ভাবে এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে পারবেন?
বিজ্ঞান, বাণিজ্য বিভাগে স্নাতকোত্তীর্ন পড়ুয়ারা স্যাপের কোর্সের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। যেহেতু কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে এই বিষয়টি পড়ানো হয় না, তাই সরকারি এবং বেসরকারি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে স্যাপের বিভিন্ন মডিউলের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণের পর শংসাপত্রও দেওয়া হয়।
তবে কলা বিভাগের পড়ুয়ারাও যদি কোনও প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ় বা ভোকেশনাল কোর্স করে থাকেন, ক্ষেত্রবিশেষে তাঁরাও স্যাপের কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারেন।
কোন প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয়?
ভারতবর্ষের ২০০টিরও বেশি স্বীকৃত সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে স্যাপ-এর কোর্স করানো হয়ে থাকে। কিন্তু পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে এই বিষয়টি পড়ানো হয় না।
কাজের সুযোগ কেমন?
বর্তমানে এই সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করতে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সরকারি থেকে শুরু বেসরকারি ক্ষেত্রে চাহিদা বাড়ছে। বিশেষত, বিদ্যুৎ, জল, পরিবহন, বাণিজ্য ক্ষেত্রে স্যাপ বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করা হয় নিয়মিত ভাবে। এর পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে তো এই পেশার চাহিদা রইয়েছে। তাই সার্টিফিকেশন কোর্সের পর ক্যাম্পাসিং কিংবা সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে কাজের সুযোগ যে কেউ পেতে পারেন।
বেতন:
তথ্য প্রযুক্তি শিল্পে হোক বা জরুরি ভিত্তিক ক্ষেত্রে - স্যাপ বিশেষজ্ঞদের মডিউলের উপর ভিত্তি করে বেতন দেওয়া হয়ে থাকে। তবে নবীন প্রশিক্ষিতদের ক্ষেত্রে মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বেতনের কাজের সুযোগ রয়েছে। অভিজ্ঞতার নিরিখে তা বেড়ে ছয় থেকে সাত অঙ্কেও পৌঁছে যেতে পারে।
নতুন নতুন পেশার ক্ষেত্রে পড়াশোনার পাশাপাশি দক্ষতা বাড়ানোটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তার উপর প্রযুক্তির আধুনিকীকরণ সেই প্রক্রিয়াটিকে আরও মন্থর করে তুলতে পারে। সেক্ষেত্রে সঠিক পরামর্শ নিয়ে পেশায় প্রবেশের সঠিক বিষয়টি বেছে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy