এইচআইভি এবং সমতুল্য রোগের সংক্রমণ রুখতে ডিজ়িটাল প্রচারে আরও সক্রিয়তা প্রয়োজন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম (এনএসএস), রেড রিবন ক্লাবের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এডস প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল সোস্যাইটির তরফে আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে উল্লিখিত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এই আলোচনা সভা থেকেই রাজ্যের নারী এবং শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, কলকাতা-সহ শহরতলি, গ্রামের বিভিন্ন এলাকার ছোট ছোট কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক ভাবে ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে, দ্রুতই সার্বিক ভাবে রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের কাছে রোগ সংক্রমণ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে কোন কোন পদ্ধতিতে সচেতনতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে, তার একটি রূপরেখাও ব্যাখা করেন তিনি। তবে, মন্ত্রী এও বলেন, এই ধরনের রোগ সংক্রমণ রুখতে মানুষের গ্রহণযোগ্যতা বিশেষ ভাবে প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-সহ বিশিষ্টরা। নিজস্ব চিত্র।
এই আলোচনা সভায় বর্ধমান বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শঙ্করকুমার নাথ কৃত্রিম মেধাকে হাতিয়ার করে বিজ্ঞানের প্রচারের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন উপায়ে তথ্য আদান প্রদানের কারণে তার বিকৃত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এই বিষয়ে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওম প্রকাশ মিশ্র।
২২-২৩ মার্চের সেমিনারে মোট ৪০টি গবেষণাপত্র জমা পড়েছিল। তা পর্যালোচনা করে নিজ নিজ মতামত পেশ করেছেন বিশেষজ্ঞেরা। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএসএস কোঅর্ডিনেটর রাজেশ দাস জানিয়েছেন, চলতি বছরে ৬০টিরও বেশি কর্মসূচির মাধ্যমে এনএসএস এই ধরনের সচেতনতামূলক কাজ করেছে। সেই কাজের ফলাফল কতটা প্রভাব ফেলেছে, তা পর্যালোচনা করতেই দু’দিনের সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, “এই আলোচনা সভা থেকে রাজ্যের নারী এবং শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী নতুন পথের সন্ধান দিয়েছেন। এই বিষয়ে দ্রুতই মন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হবে।”