রামনবমীর সপ্তাহখানেক বাকি। জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন দোকানে এখনই গেরুয়া পতাকা, পাগড়ি, বাহুবন্ধনীর পসরা বসেছে। ফুটপাতেও বিক্রি হচ্ছে গেরুয়া পতাকা। রামনবমীর ঢের আগে থেকে গেরুয়া পসরার পিছনে কি শুধুই চাহিদা মেটানোর ব্যবসায়িক কৌশল, নাকি রামনবমী নিয়ে উদ্দীপনা তৈরির কৌশল— তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
সাধারণত পুজোর সামগ্রী বিক্রির দোকানেই রামনবমীর নানা ছবি দেওয়া গেরুয়া, কমলা পতাকা বিক্রি হয়। জলপাইগুড়ির টেম্পল স্ট্রিট, দিনবাজারের টিন শেড ইতিমধ্যেই সে সব পসরায় সেজেছে। পাশাপাশি ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান এবং পরিচিত পোশাকের দোকানেও বিক্রি হচ্ছে গেরুয়া পতাকা। এমনকী মনিহারি দোকান থেকে পাড়ার মোড়ের কয়েকটি মুদির দোকানেও গেরুয়া পতাকা বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে।
জলপাইগুড়ি জেলায় এ বছর ১৮টি এলাকায় রামনবমীর মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। ‘রামনবমী উদযাপন সমিতি’ আয়োজন করেছে সে সব মিছিলের। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ‘প্রভাবিত’ ওই কমিটিতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরে মিছিল হবে মিলন সঙ্ঘের মাঠ থেকে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের রাম-সীতা সেজে আসতে অনুরোধ করেছে কমিটি। সূত্রের খবর, সঙ্ঘ পরিবারের ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়িক কিছু সংগঠনই গেরুয়া পতাকার জোগান দিচ্ছে বিভিন্ন দোকানে। বেশ কিছু দিন আগেই গেরুয়া পতাকা পাঠানো হয়েছে দোকানে দোকানে। সেই পতাকা বাইরে ঝোলানো থাকলে এক দিকে যেমন বিক্রির সুযোগ থাকে তেমনই রামনবমী ঘিরে উৎসাহও তৈরি হয় বলে দাবি।
রামনবমী উদযাপন কমিটির তরফে জলপাইগুড়ির ধর্মীয় সংগঠন থেকে শুরু করে ক্লাব এবং সামাজিক সংগঠনকেও মিছিলে সামিল হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কমিচির জলপাইগুড়ির জেলা প্রমুখ তথা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সহ-সভাপতি কৃষ্ণেন্দু গুহ বলেন, “আলাদা করে উৎসাহ তৈরি করার প্রয়োজন হয় না। এমনিতেই উন্মাদনা থাকে এবং তা শুরুও হয়ে গিয়েছে। এ বছর জেলা জুড়ে প্রায় ১ লক্ষ লোক নিয়ে মিছিল হবে।”
তৃণমূলের তরফেও রামনবমী নিয়ে মিছিলের আয়োজন হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। জলপাইগুড়ির ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে রামনবমীর মিছিলের ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধি পৌষালি দাস। তৃণমূলের তরফে জেলার অন্যান্য এলাকাতেও রামনবমীর মিছিল হবে বলে জানানো হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)