Advertisement
E-Paper

আঁধারে অভাব নিরাপত্তার

স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, সেতুতে আলোক স্তম্ভ থাকলেও, বাতি জ্বলে না। প্রায় তিন কিলোমিটারের পথে নেই সিসি ক্যামেরা।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

তাপস রায়

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫ ০৮:৪২
Share
Save

মেখলিগঞ্জ মহকুমার অন্দরে থেকেও ২০২১ সালের আগে পর্যন্ত মেখলিগঞ্জ মহকুমা থেকে বিভক্ত ছিল হলদিবাড়ি ব্লক। ব্লকের প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের সঙ্গে মহকুমার যোগাযোগে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তিস্তা নদী। ফলে মেখলিগঞ্জ এবং হলদিবাড়ি শহরের ১৩ কিলোমিটার দূরত্ব, সড়কপথ হয়ে যাতায়াত করলে দাঁড়াত প্রায় ৮০ কিলোমিটারে। শেষমেশ, প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ জয়ী সেতু নির্মাণে কমেছে সেই দূরত্ব। তবে নির্মাণের চার বছর গড়াতে না গড়াতে ‘আঁধারে’ ডুবেছে সেতু।

স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, সেতুতে আলোক স্তম্ভ থাকলেও, বাতি জ্বলে না। প্রায় তিন কিলোমিটারের পথে নেই সিসি ক্যামেরা। ফলে স্বাভাবিক ভাবে সন্ধের পরে ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ছোটন রায় নামে মেখলিগঞ্জের এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘অত বড় সেতু। রাতে প্রায় অর্ধেকটাই অন্ধকার। গায়ে কাঁটা দেয়।’’

শুধু আলোই নয়, পুলিশি নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। হলদিবাড়ির সাধারণ মানুষদের চিকিৎসা বিষয়ক যে কোনও সমস্যায় আসতে হয় মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। ফলে রাতে রোগীর পরিজনেরাও অন্ধকার সেতুপথে যেতে ভয় পান। পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য নামের হলদিবাড়ির এক স্কুল শিক্ষক বলেছেন, ‘‘আলো নিয়ে তো সমস্যা রয়েছেই। পাশাপাশি, রাত হলেই সেতুতে দ্রুত গতিতে মোটরবাইকের দৌরাত্ম্য বাড়ে। এই উৎপাত কমাতে রাতে পুলিশি টহল প্রয়োজন।’’

জয়ী সেতু নির্মাণের ফলে এলাকায় বেড়েছে পর্যটনদের আনাগোনা। উদ্বোধনের দিন থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে সেতু দেখতে আসেন অনেকেই। অনেকে সেতুতে দাঁড়িয়ে নিজস্বীও তোলেন। আকাশ রায় নামের এক যুবক জানান, ‘‘ব্যস্ত সেতুর মাঝে দাঁড়িয়ে অনেককেই নিজস্ব তুলতে দেখা যায়। এই বিষয়টিও পুলিশের দেখা উচিত।

সূত্রের খবর, রাজ্যের দীর্ঘতম নদী সেতুর এই সমস্যা সমাধানে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে পূর্ত দফতর ও পুলিশ। গোটা সেতু জুড়ে ‘নো সেলফি জ়োন’-এর প্লাকার্ড লাগানো হয়েছে। টহলদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। নাকা বসিয়ে বেপরোয়া চালকদের ফাইন করা হচ্ছে। মহকুমা শাসক (মেখলিগঞ্জ) অতনুকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘সেতুর যাবতীয় দেখভাল পূর্ত দফতর করে। বিষয়গুলি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mekhliganj Haldibari

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}