Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Tithi Bhojan scheme in Schools

কেন্দ্রীয় প্রকল্প তিথি ভোজনে সফল রাজ্য, প্রকাশ্যে বিশেষ রিপোর্ট

অগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ১০৮৯ স্কুলে ১৪৬০০৭ এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পয়লা বৈশাখ (বাঙালি নববর্ষ) ১৫ এপ্রিল থেকে বাংলার বিভিন্ন জেলার স্কুলগুলিতে এ বিশেষ অনুষ্ঠানে সূচনা হয়।

সংগৃহীত চিত্র।

অরুণাভ ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:১২
Share: Save:

তিথি ভোজন সফল স্কুল স্তরে। এমনই দাবি স্কুলশিক্ষা দফতরের। পুণ্যতিথি উপলক্ষে অথবা অঞ্চল ভিত্তিক অনুষ্ঠান অনুযায়ী শিশুদের মুখে পুষ্টিকর খাবার তুলে দিতে তিথি ভোজন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রকল্পের কাজ স্কুলস্তরের পড়ুয়াদের মধ্যে খুব ভাল ভাবে পালিত হচ্ছে বলে দাবি রাজ্যের।

অগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ১০৮৯টি স্কুলে ১৪৬০০৭ পড়ুয়াকে নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পয়লা বৈশাখ (বাঙালি নববর্ষ) ১৫ এপ্রিল থেকে বাংলার বিভিন্ন জেলার স্কুলগুলিতে এই বিশেষ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সেই দিন‌ই ৩২৩৬৮টি স্কুলে ৩৪০৩১৭২ জন শিক্ষার্থীকে তিথি ভোজ খাওয়ানো হয়েছিল।

রাজ্যের শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, জিটিএ অন্তর্ভুক্ত-সহ রাজ্যের ১৩টি জেলার স্কুলগুলিকে তিথি ভোজনের আওতায় আনা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ৮৩১টি স্কুলের ১০৭৮৭ শিক্ষার্থী এই কর্মসূচির আওতায় রয়েছে, যা রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক। পূর্ব বর্ধমান এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে। জেলার ৮১টি স্কুলের ১৪৯৬ জন ছাত্রছাত্রী এই সুবিধা পেয়েছে।

প্রকল্পের শুভ সূচনাকালে অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল মুর্শিদাবাদ জেলার উদ্যোগে ৭৬২৬৭৭ জন পড়ুয়াকে নিয়ে ৫,৫৬৪টি স্কুলে তিথি ভোজন হয়েছিল। পূর্ব মেদিনীপুরে সর্বাধিক সংখ্যক স্কুল এই কর্মসূচি পালন করলেও তুলনায় ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল কম। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫৬০৫টি স্কুলের ৫৪১৪৫৯ জন ছাত্র-ছাত্রী তিথি ভোজনে যোগ দিয়েছিল। কালিম্পং, বাঁকুড়া, হুগলি, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান , মেদিনীপুর, হাওড়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, শিলিগুড়ি এবং উত্তর দিনাজপুরের স্কুলগুলিতে তিথি ভোজন ইতিমধ্যেই হয়েছে।

শিক্ষা দফতরের এক আধিকরিক জানান, এই প্রকল্পে এত ভাল সাড়া পাব, তা আমরা আশা করিনি। আগামী দিনে এই উদ্যোগ আর‌ও বেশি সফল হবে বলে আমরা আশাবাদী। বিশেষ দিন বা অনুষ্ঠান উপলক্ষে তিথি ভোজন করানো হয় স্কুলগুলিতে। বিবাহ, জন্মদিন এবং রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের বিভিন্ন ধর্মীয় বা অন্যান্য অনুষ্ঠানের দিন এই কর্মসূচির আওতায়। মিড ডে মিলের যে রোজকার খাবার, তার বদলে এই দিনগুলিতে অন্য ধরনের, ভিন্ন স্বাদের খাবার দেওয়া হয় পড়ুয়াদের।

কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের দেওয়া নির্দেশে পিএম পোষন তিথি ভোজনের ১০০ দিনের জন্য বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পুষ্টির দিকে লক্ষ্য রেখে এই ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩ অনুযায়ী স্কুলপড়ুয়াদের বিদ্যালয়েই স্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মরসুমি ফল, বিশুদ্ধ জলও আছে সেই তালিকায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tithi Bhojan Schools
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE