প্রতীকী চিত্র।
কলেজে গিয়ে সশরীরে নথি যাচাই করিয়ে ভর্তি হতে হবে। তবেই পছন্দের বিষয় ‘আপগ্রেড’ করে পরবর্তীতে পছন্দের কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মিলবে। রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। সেন্ট্রালাইজ়ড অ্যাডমিশন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার একদিনের মধ্যেই এই বিষয়ে আরও তথ্য পেশ করা হয়েছে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক স্তরে ভর্তি হওয়ার জন্যে মোট ৩৪,৭৩,২১০টি আবেদন জমা পড়েছে। অনলাইনে সেই আবেদন জানিয়েছেন ৫,২৭,৭৮১ জন পড়ুয়া। তাঁদের আবেদনের নিরিখে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে মেধাতালিকা প্রস্তুত করে প্রকাশ করা হবে।
তবে, এ ক্ষেত্রে মেধাতালিকা অনুযায়ী, কোনও পড়ুয়া প্রথম চারটি পছন্দের কলেজের মধ্যে যে কোনও একটিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন। যদি না পান, তবে তিনি দ্বিতীয় দফায় অর্থাৎ মপ আপ রাউন্ডে ফের আবেদনের সুযোগ পাবেন। তবে, যদি পছন্দের ক্রম অনুসারে প্রথম কলেজের বদলে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মিললে সেই পড়ুয়াকে সমস্ত নথি সংশ্লিষ্ট কলেজে জমা দিয়ে ভর্তি হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ এতে তাঁর আবেদন বৈধ বলে বিবেচিত হবে এবং পরবর্তী রাউন্ডে পছন্দের তালিকায় থাকা প্রথম কলেজে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রাধিকার পাবেন।
যদি কলেজে গিয়ে কোনও পড়ুয়া ভর্তি না হন, কিংবা নথি যাচাইকরণ সম্পূর্ণ না করেন, সে ক্ষেত্রে তাঁর অনলাইন আবেদনটি বাতিল হয়ে যাবে। তাঁকে নতুন করে আবেদন জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে ৮ অগাস্টের আগে তিনি কোনও ভাবেই আবেদনের সুযোগ পাবেন না। শিক্ষা দফতরের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই পোর্টালের মাধ্যমে যেমন কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হচ্ছে, তেমন ভাবেই বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে কাউন্সেলিংও ভবিষ্যতে করা হতে পারে।
সমস্ত আবেদন খতিয়ে দেখে শিক্ষা দফতরের পর্যবেক্ষণ, চলতি বছরে এই রাজ্য থেকে তো বটেই, ভিন্ন রাজ্য থেকে আর্ট, কালচার সম্পর্কিত বিষয়ে ভর্তি হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পড়ুয়ারা। তবে এরই মধ্যে মোট সাতটি বিষয়ে কোনও পড়ুয়াই ভর্তি হওয়ার আবেদন জানায়নি। বিষয়গুলি হল —
১. চার বছরের বিএ ইন ইকনোমিক্স, শ্রী গোপাল ব্যানার্জি কলেজ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।
২. তিন বছরের বিএ ইন উর্দু, হীরালাল ভকত কলেজ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।
৩. চার বছরের অনার্স ইকোনমিক্স উইথ রিসার্চ ইকোনমি, বিবেকানন্দ শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়।
৪. চার বছরের বিএসসি ইন ইকোনমিক্স, দমদম মতিঝিল রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি।
৫. তিন বছরের বিএ ইন উর্দু, পাণ্ডবেশ্বর কলেজ, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়।
৬. তিন বছরের বিএসসি ইন বটানি (হিন্দি শিফট), বনোয়ারিলাল ভালোটিয়া কলেজ, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়।
৭. চার বছরের বিএ ইন হিন্দি, নেতাজি সুভাষ আশ্রম মহাবিদ্যালয়, সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়।
এ ছাড়াও গত বছর পর্যন্ত কলেজগুলিতে ৫৬ শতাংশ আসন ফাঁকা থাকত, পূর্ণ হত মাত্র ৪৬ শতাংশ আসন। এ ক্ষেত্রে অধ্যাপক নিয়োগ, পরিকাঠামোর অভাব, পড়ুয়াদের আগ্রহ না থাকার মতো একাধিক কারণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেন্ট্রালাইজ়ড পোর্টালের আওতায় কলেজগুলিকে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াকরণের সময়ই জানা গিয়েছিল, এমন মোট ২৩৭টি বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়তে আগ্রহী নয় পড়ুয়ারা। বর্তমানে কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণের পর এমন সাতটি কলেজের সাতটি বিভাগকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই অনাগ্রহের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হবে এবং কলেজগুলির সঙ্গে প্রয়োজনে অভ্যন্তরীন তদন্তের স্বার্থে আলোচনায় বসবে শিক্ষা দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy