সংগৃহীত চিত্র।
কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় মপ আপ রাউন্ডের শেষে নতুন ভাবে আবেদন করল প্রায় ২৭ হাজার ছাত্রছাত্রী। ৮ অগস্ট থেকে শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় রাউন্ডের আবেদন গ্রহণ। যা শেষ হয়েছে ১৭ তারিখ। এখানে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৮৬। এর মধ্যে নতুন ভাবে আবেদনের সংখ্যা ২৭ হাজার ৩২২। এরা প্রত্যেকেই প্রথম রাউন্ডের ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেনি। চলতি মাসের ২০ তারিখ দ্বিতীয় রাউন্ডের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২০ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত মেধাতালিকার ভিত্তিতে আবেদনকারী পড়ুয়াদের সিট অ্যালট করা হবে। ২৭ থেকে ৩০ অগস্ট পর্যন্ত সিট আপগ্রেড করতে পারবে পড়ুয়ারা। ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সশরীরে কলেজে যাচাইপর্ব চলবে।
উচ্চশিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, দ্বিতীয় রাউন্ডে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে বিষয়ভিত্তিক আবেদনের সংখ্যা বৃদ্ধি। এক জন পড়ুয়ার সর্বোচ্চ ২৫টি বিষয়ে আবেদন করার সুযোগ ছিল। প্রথম রাউন্ডে বহু পড়ুয়া ৫ থেকে ৬টির বেশি বিষয়ে আবেদন করেনি। প্রচারের ফলে অনেকটা সুবিধা হয়েছে পড়ুয়াদের। এই আবেদনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রথম রাউন্ডের পর স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়নি ১৩ হাজারের বেশি পড়ুয়া। প্রথম দফায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে নথি যাচাইয়ের পরে ক্লাস শুরু করেছে ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪৬৪ জন পড়ুয়া। ৪ লক্ষ ৯ হাজার ৪৬৪ জন ছাত্র ছাত্রী প্রথম পর্বে নিজেদের পছন্দসই কলেজ ও বিষয় নাম নথিভুক্ত করেছিল। যার মধ্যে ১৩,৫০০ জন পড়ুয়া সশরীরে নথি যাচাইয়ে উপস্থিত ছিল না। স্নাতক স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসন রয়েছে ৯ লক্ষ ৪৭ হাজারের মতো।
উচ্চশিক্ষা দফতরের ভাইস চেয়ারম্যান আশুতোষ ঘোষ বলেন, “আমাদের মোট যে আসন সংখ্যা, তার থেকে পড়ুয়ার সংখ্যা অনেকটাই কম। তাই কিছু আসন শূন্য থেকে যাবে। যে সমস্ত পড়ুয়া পশ্চিমবঙ্গে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে, তাদের আমরা পছন্দসই জায়গা দিতে পারছি কি না, সেটাই আমাদের দেখতে হবে।”
এর মধ্যে প্রথম রাউন্ডে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে ছিল ৫ লক্ষের বেশি আসন। এর মধ্যে ২৭ শতাংশ আসন ফাঁকা থেকে যায়, যা সংখ্যার নিরিখে প্রায় এক লক্ষ পঁচিশ হাজারের মতো। যার মধ্যে ৭৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত বলে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy