নাম নথিভুক্তের ফর্মপূরণের সময়সীমা বৃদ্ধি করতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ওয়েবসাইট বিভ্রাটের কারণে পড়ুয়াদের যাতে কোন অসুবিধে না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত সংসদের। তবে সময়সীমা বৃদ্ধি পেলেও, ২০ তারিখের মধ্যেই ফর্মপূরণের সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করা হবে বলে সংসদ সূত্রে জানানো হয়েছে।
এ বছরই প্রথম উচ্চ মাধ্যমিকের নাম নথিভুক্ত করার আবেদন-সহ যাবতীয় তথ্য অনলাইনের মাধ্যমে গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রথম থেকে সার্ভার বিভ্রাটে সমস্যায় পড়েছে রাজ্যের স্কুলগুলি।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের ওয়েবসাইটে যান্ত্রিক সমস্যা তৈরি হয়েছিল এবং তার যাতে দ্রুত সমাধান ঘটে আমরা সেই চেষ্টা করেছি। বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মেরামতির কারণে ১২ ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলাম। তাতেও খুব একটা উন্নতি হয়নি, তাই আমরা ফর্মপূরণের সময়সীমা বৃদ্ধি করব ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে।”
আরও পড়ুন:
৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ফর্মপূরণ এবং ১৬ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে এর সময়সীমা। সংসদ সূত্রের খবর, শুরু থেকেই কমবেশি সমস্যা হচ্ছিল অনলাইন পোর্টালে। শেষ তিন চার দিন ধরে সেই সমস্যা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন স্কুল থেকেও সময়সীমা বৃদ্ধি করার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। এবং দ্রুত সার্ভারের সমস্যা সমাধান করারও আর্জি জানানো হয়েছিল।
ঝাপবেড়িয়া হাইস্কুলের শিক্ষক অনিমেষ হালদার বলেন, “ আমাদের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় ১০ তারিখ থেকে সমস্যা শুরু হয়েছে একাধিক স্কুল তাদের নথি আপলোড করতে পারছে না। সময়মতো নথি না জমা দিতে পারলে লেট ফাইন দিতে হবে। সেটাও একটা সমস্যার বিষয়।”
আরও পড়ুন:
চিরঞ্জিব ভট্টাচার্য বলেন, “যে হেতু এটা ওয়েবসাইটের সমস্যা তাই আমরা সময়সীমা বৃদ্ধি করব। লেট ফাইন না দিয়েই যাতে নিদিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ফর্মপূরণ করা যায় সেই ব্যবস্থাই করা হবে।” বেশ কিছু স্কুলের শিক্ষকদের বক্তব্য, আবেদনের সমস্ত প্রক্রিয়া অনলাইনে হওয়ার ফলে যে রকম স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায় তার পাশাপাশি এই ধরনের সমস্যা এড়াতে আগে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন সংসদের। পরীক্ষার আগে স্কুল গুলি নানান বিষয়ে যথেষ্ট ব্যস্ত থাকে। সময় মতো আপলোড না হলে পড়ুয়াদের অসুবিধার পাশাপাশি স্কুলগুলির কাজের চাপ বৃদ্ধি পায়।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “সার্ভারে একটি সমস্যা তৈরি হয়েছে সে বিষয়টি নজরে আসতেই আমরা কাউন্সিলকে জানিয়েছি। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। কলকাতার ক্ষেত্রে বুধবার থেকে এই সমস্যা শুরু হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, এ বছরের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে আট লক্ষের মতো বলে সংসদের তরফ থেকে জানান হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এবং শেষ হবে ২৯ ফেব্রুয়ারি।