কলকাতার নেতাজিনগরে এক অন্তঃসত্ত্বা তরুণীকে পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। ওই ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেল সাত বছরের এক কিশোর। গত ১০ এপ্রিলের এই ঘটনায় নেতাজিনগর থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন মৃতার স্বামী। গত সোমবার রায়গঞ্জ থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
গত ১০ এপ্রিল দুপুর সওয়া ১২টা নাগাদ শ্রী কলোনি এলাকায় এক তরুণী অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন বলে খবর যায় নেতাজিনগর থানার পুলিশের কাছে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকা ওই তরুণীকে উদ্ধার করে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। ১২টা ৫০ মিনিটে বছর একুশের ওই তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
যে সময় খুনের ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ, সেই সময় মৃতার সঙ্গে ছিল তাঁর সাত বছরের ভাই শিব বসাক। অভিযোগ, তাকেও পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। আহত অবস্থায় ওই কিশোরকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে মৃতার মামাবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর মায়ের বিবাদ ছিল। পুলিশ এ-ও জানতে পেরেছে যে, কয়েক দিন আগেই মৃতার মায়ের সঙ্গে মৃতার দাদুর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছিল। তবে এই ঘটনার সঙ্গে খুনের সম্পর্ক কী, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহের ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। মৃতার স্বামী শচীন দাসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছেন। তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।