Advertisement
০৪ জুলাই ২০২৪
Survey on School Students

উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণরা সকলেই কি উচ্চশিক্ষায়? তথ্য জানতে বিশেষ উদ্যোগ শিক্ষা দফতরের

স্কুল ছুটের পাশাপাশি রাজ্যের পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষার আঙিনায় পা রাখছে কি না, তার তথ্যভাণ্ডার তৈরির লক্ষ্যেই পর্যালোচনা বৈঠক স্কুলগুলির সঙ্গে। শুধু সরকার বা সরকারপোষিত স্কুল নয়, বেসরকারি স্কুলগুলি থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

প্রতীকী চিত্র।

অরুণাভ ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪ ১৭:২৭
Share: Save:

কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তির পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিকের পর জেলাভিত্তিক সমস্ত কৃতি পড়ুয়ারা কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে কি না, পর্যালোচনায় শিক্ষা দফতর। শিক্ষাসচিবের নেতৃত্বে প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে চলছে বৈঠক। সেখানে শুধু প্রধান শিক্ষকরাই নন, যোগ দিয়েছেন জেলা পরিদর্শকরাও। স্কুলছুটের পাশাপাশি রাজ্যের পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে যুক্ত হচ্ছে কিনা তার তথ্যভাণ্ডার তৈরির লক্ষ্যেই স্কুলগুলির সঙ্গে এই বৈঠক করছে শিক্ষা দফতর। শুধু সরকার বা সরকারপোষিত স্কুল নয়, বেসরকারি স্কুলগুলি থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কত সংখ্যক কৃতি পড়ুয়া উচ্চ শিক্ষার স্তরে কোথায় ভর্তি হচ্ছে, তার খোঁজ চলছে।

গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, যে সংখ্যক পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তত পড়ুয়া সরকারি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হয় না। উচ্চ মাধ্যমিকের পর মেধাবী পড়ুয়াদের একটি অংশ ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হয়। আবার অনেকে ক্রিয়েটিভ কোর্সে ভর্তি হয়, কিন্তু তার পরেও সরকারি পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে, প্রায় ত্রিশ শতাংশের বেশি পড়ুয়ার কোনও হিসাব নেই সরকারি খাতায় কলমে।

এ বছর কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তির পাশাপাশি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদেরও নিজেদের স্কুলের কৃতি পড়ুয়ারা কোথায় কোন বিষয়ে ভর্তি হয়েছে, তার ডেটাবেস তৈরি করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেক কৃতি ছাত্র ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাদের আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সবিস্তার তথ্য জানাতে বলা হয়েছে বৈঠকে।

শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান, কলেজ থেকে উচ্চ শিক্ষার মধ্যে কত পড়ুয়া ড্রপআউট হয়েছে, তার তালিকা সরকারের কাছে থাকবে। এই ড্রপআউটের সংখ্যা যাতে কমানো যায়, সে সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যই এই পদক্ষেপ।

সরকারের এই উদ্যোগে আলাদা করে কর্মী প্রয়োজন হবে। স্কুলগুলিতে এমনিই শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী অপ্রতুল। এমতাবস্থায় এই ধরনের কাজ কতটা সুষ্ঠু ভাবে সময়ের মধ্যে করা সম্ভব, সে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক সংগঠনগুলি।

কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, “রোজকার কাজের বাইরে পরিকাঠামো ছাড়া এ সব কাজ করতে স্কুলগুলিকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রতিটি স্কুলের ক্লার্ক সংখ্যা অদ্ভুত ভাবে কম। আবার এই ধরনের ডেটা তৈরি করা এবং কৃতি পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে যত কর্মী প্রয়োজন, তা অপ্রতুল।”

প্রসঙ্গত, রাজ্যের সবক'টি জেলাকে তিনটি জোনে ভাগ করে সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে এই বৈঠক করা হচ্ছে। লক্ষ্য, বাংলার প্রত্যেক কৃতি ছাত্র ছাত্রীর জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারি সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করে তাদের উচ্চ শিক্ষার আঙিনায় ধরে রাখা।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রায় ৬০ শতাংশ পড়ুয়া কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়ায় নাম নথিভুক্তকরণ করেছে। ৭ জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে। ৪০ শতাংশ পড়ুয়া কোথায় যাচ্ছে, সেই তথ্য সন্ধানেই প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে ময়দানে শিক্ষা দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

survey school Students
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE