স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের ফল প্রকাশিত মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নিজস্ব চিত্র।
প্রকাশিত হল ২০২৪ মাধ্যমিকের রিভিউ এবং স্ক্রুটিনির ফলাফল। উচ্চ মাধ্যমিকের পর মাধ্যমিকের মেধাতালিকাতেও পরিবর্তন হল। সব মিলিয়ে ১৩,৭০৬ জন পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বরে পরিবর্তন এল এ বারের স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের ফলাফলে। কিছু কিছু পড়ুয়ার ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে ২২ নম্বর। চলতি বছরের মে মাসে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর পুনর্মূল্যায়নের আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। সেই আবেদনের গ্রহণের ১৮ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশ করলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
প্রথম দশের তালিকায় চার পরীক্ষার্থীর নাম পরিবর্তিত হয়েছে। এদের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার অলিভ গায়েনের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৮৮। সে ছিল ষষ্ঠ স্থানে। যা রিভিউয়ের পর বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬৯০। এখন ওই পড়ুয়া মাধ্যমিকে চতুর্থ স্থানাধিকারী হয়েছে। একই রকম ভাবে দক্ষিণ দিনাজপুরের শাশ্বত দে ৬৮৯ নম্বর পেয়ে পঞ্চম স্থানে, আবৃত্তি ঘটক ৬৮৮ পেয়ে ষষ্ঠ স্থানে এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঋতব্রত নাথ ৬৮৭ পেয়ে সপ্তম স্থান অর্জন করেছে। এরা প্রত্যেকেই রিভিউয়ের ফলাফলে ২ থেকে ৩ নম্বর বেশি পেয়েছে।
চলতি বছর পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউয়ের জন্য ৩,৫০৮ জন, স্ক্রুটিনির জন্য ৪১,৭৮১ জন আবেদন জানিয়েছিল। পর্ষদ সূত্রে খবর, ১৪,২২৯টি খাতা মিলিয়ে দেখার পর রিভিউয়ে ১,২৩৮টি খাতার নম্বর পরিবর্তিত হয়েছে। স্ক্রুটিনির ক্ষেত্রে ১.৩৩,২২৯টি খাতা দেখার পর ১২,৪৬৮ জনের নম্বর পরিবর্তন হয়েছে। ২ মে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে সেরা দশের তালিকায় ৫৭ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। ২৮ জুন সেই ফলাফলেও পরিবর্তন হয়েছে। প্রথম দশে ৬৪ জন জায়গা করে নিয়েছে।
এ বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “৬৩ লক্ষ খাতার মধ্যে ১২ হাজার খাতায় ভুল পাওয়া গেছে, সেটাও না হওয়াই উচিত ছিল। প্রতি বছরই কিছু না কিছু ভুলত্রুটি হয়েই থাকে। তবে যতটা সম্ভব এই বিষয়টি ত্রুটিমুক্ত করা প্রয়োজন। এই ভুল থেকেই শিক্ষা নেওয়া উচিত।”
বার বার পুনর্মূল্যায়নের পর মেধাতালিকায় পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষামহল। প্রথমে উচ্চ মাধ্যমিক, এর পর মাধ্যমিক; পর পর দু’টি পরীক্ষার ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে রিভিউ এবং স্ক্রুটিনির নম্বর। তাই এ পরিস্থিতিতে সিবিএসই-র মতো পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকা ঘোষণা করা হবে কী না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মোট ৯,১০,৫৯৮। এর মধ্যে ৪,০৩,৯০০ জন ছাত্র এবং ৫,০৮,৬৯৮ জন ছাত্রী। অর্থাৎ, ছাত্রদের তুলনায় ২৫.৯ শতাংশ বেশি ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৭,৬৫,২৫২ জন। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ কিংবা নকল করার অপরাধে বাতিল হয়েছিল ৪৬ জনের পরীক্ষা। ২ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফল এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy