সংগৃহীত চিত্র।
উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাউন্সেলিং শুরু হল সোমবার, ১১ই নভেম্বর থেকে। এই পর্বের কাউন্সেলিং শুধুমাত্র বাংলা মাধ্যমের স্কুলগুলি জন্য ধার্য করা হয়েছে। প্রথম দিন ৭০৭ জন চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হয়েছিল অনুমোদনপত্র হাতে নেওয়ার জন্য। এর মধ্যে বাংলায় শিক্ষকতা করার জন্য ৩৫০ জনকে এবং ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতার জন্য ৩৫৭ জনকে ডাকা হয়।
তবে সাতশোরও বেশি চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১৪৪ জন। আবার কাউন্সেলিংয়ে এসেও নিয়োগপত্র নেননি তিন জন ।
সোমবার দ্বিতীয় পর্বের কাউন্সেলিং শুরু হলেও বাদবাকি দফা ১৮ই নভেম্বর থেকে টানা ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। পুজোর আগে প্রথম পর্বের তালিকায় ৮,৭৪৯ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছিল ৬৫৮ জনকে। যার মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১৪৭ জন এবং কাউন্সেলিংয়ে এসেও অনুমোদনপত্র নেননি দু’জন। উপস্থিত ছিলেন মোট ৫০৯ জন।
পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারী চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, "যে সকল শ্রদ্ধেয় কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বিবিধ দফতরের কর্মরত দাদা দিদিরা অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানাচ্ছেন, তাদের মঞ্চের তরফে কৃতজ্ঞতা জানাই, এই মহানুভবতার পরিচয়ের জন্য। দীর্ঘ দিন লড়াইয়ের সার্থকতা হিসেবে বিদ্যালয়ের যোগদানের পথচলা শুরু হয়েছে। অবস্থান ধর্না মঞ্চের আজ ৬৯৩ দিন। অবিলম্বে দ্বিতীয় কাউন্সেলিং করতে হবে, যাতে সকলের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই স্কুলে যোগদান সম্পন্ন হয়।"
আইনি জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ থমকে ছিল। এই সময়কালের মধ্যে অনেকে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করছেন বা কেউ শিক্ষকতার চাকরি থেকে সরে অন্যান্য সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৪ হাজার ৫২ জনের উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো ধারাবাহিক কাউন্সেলিং করে চলেছে এসএসসি। নতুন করে যাতে আইনি জটিলতা সৃষ্টি না হয়, তার জন্য সংশোধিত ভ্যাকেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এখন দেখার বিষয় নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই এসএসসি এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারে কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy