সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাইটার নিতে গেলে অনলাইনের মাধ্যমে ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। এমনই নির্দেশ দিল পর্ষদ।
আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ফর্ম পূরণ সম্পূর্ণ অনলাইনে হবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে । ২ ডিসেম্বর বেলা ১১টা থেকে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ফর্ম পূরণ শুরু হবে। চলবে ১৮ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। অনলাইন ফর্ম পূরণের কাজ করতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলকেই। স্কুলের উপরে সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, “ক্রমাগত বিদ্যালয়ের উপর একটার পর একটা কাজের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিকাশ ভবন থেকে যেসব কাজ করা হত, সে কাজগুলি বিদ্যালয়গুলির উপর চাপানো হচ্ছে। এই সমস্ত কাজ এক জনের পক্ষে সম্ভব নয়, স্বাভাবিক ভাবে শিক্ষকদের এই কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। বহু বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে ঘাটতি রয়েছে। এর ফলে পঠন পাঠন ব্যাহত হয়। তার সঙ্গে রয়েছে বহু ধরনের প্রকল্পের কাজ।”
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক জানান, এত দিন পর্যন্ত ফর্ম স্কুলের কাছে পাঠানো হত। স্কুলগুলি তা ছাত্রদের দিয়ে পূরণ করিয়ে বোর্ডের কাছে পাঠাত। এ বার সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে অনলাইনে করা হবে। শুধু তাই নয়, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়ারাও তাদের রাইটার বা অনান্য সুবিধা নেওয়ার আবেদন এই অনলাইন ফর্ম পূরণের সময় করতে হবে। পড়ুয়াদের শংসাপত্র দেওয়া হবে অনলাইনের মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, অনলাইন পদ্ধতিতে ফর্ম পূরণের পরে তা ডাউনলোড করে দু’কপি প্রিন্ট আউট নিতে হবে। একটি কপি স্কুল নিজের কাছে রাখবে এবং অন্যটি মধ্যশিক্ষা পর্ষদে দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কাজে গতি আনতে এবং নির্ভুল প্রক্রিয়াকরণ করতে ডিজিটাইজেশনের পথে ধাপে ধাপে এগোচ্ছি। এতে পরীক্ষা কেন্দ্রে করে যে বিপুল পরিমাণ কাজের চাপ অনেকটাই কমবে।”
ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরীক্ষার খাতা দেখে নম্বর আপলোডের কাজ অনলাইনের মাধ্যমে গ্রহণ করছে। এমনকি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া অনলাইনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের কাজও অনলাইনে করার নির্দেশ জারি করা হল।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “পরীক্ষা ব্যবস্থা আরও সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করার জন্য এই প্রয়াসকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ণ পড়ুয়াদের তথ্য পর্ষদের কাছে আগে থেকে থাকলে পরীক্ষার সময় এই ধরনের পড়ুয়াদের কোনও অসুবিধা হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy