সংগৃহীত চিত্র।
উচ্চ প্রাথমিকের শূন্যপদের সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। ১ অক্টোবর ১৪,৩৩৯টি শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রথম পর্যায়ের কাউন্সেলিংয়ের সময় দেখা যায় বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং পূর্ব বর্ধমান-সহ বিভিন্ন জেলায় স্কুলের দেওয়া তথ্যে গরমিল রয়েছে। যে তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে স্কুলের ভুল ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। এমনকি, বিষয়ভিত্তিক শূন্যপদের যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা-ও সঠিক নয়। সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থিতালিকাতেও গরমিল ছিল। তার পারে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের।
এসএসসি এক আধিকারিক বলেন, “প্রথমে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল শূন্যপদের, তার মধ্যে মূলত বীরভূম-সহ বেশ কিছু জেলায় তথ্যগত ত্রুটি ছিল। এর ফলে চাকরিপ্রার্থীরা হয়রানি শিকার হতে পারত। পুনরায় শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলে সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করা হল।”
প্রথম পর্বের তালিকায় ৮,৭৪৯ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছিল ৬৫৮ জনকে। যার মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১৪৭ জন এবং কাউন্সেলিংয়ে এসেও অনুমোদন পত্র নেননি দু’জন। মোট উপস্থিত ছিলেন ৫০৯ জন।
পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “প্রথমে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেখানে, বীরভূম জেলা-সহ অন্যান্য জেলায় শূন্যপদের তালিকার তথ্যের গরমিল ছিল। আমাদের কাছে এই খবর আসতেই আমরা এসএসসিকে তা জানাই। তারাও এই বিষয় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এবং সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করে। যার ফলে বিদ্যালয়ে যোগদানে কোনও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।”
প্রথম যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল সেই তালিকায় সাড়ে ছ’শোরও বেশি স্কুলের তথ্যে গরমিল ছিল বীরভূম জেলার। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু স্কুলের দেওয়া তথ্যে গরমিল সামনে উঠে এসেছিল। সংশোধিত শূন্যপদের তালিকায় ৭৫৬টি স্কুলের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে সিংহভাগ স্কুল রয়েছে বীরভূম জেলায়।
আগামী ১১ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত, প্রত্যেক দিন (ছুটির দিন বাদে) কাউন্সেলিং চলবে। ১২ ও ১৩ নভেম্বর, দু’দিন বন্ধ থাকছে এই প্রক্রিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy