Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Vice-chancellor recruitment

চলছে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ, যাদবপুর থেকেই আবেদন ৭২ জনের

সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিংহভাগই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের জন্য সবমিলিয়ে শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে।

সংগৃহীত চিত্র।

অরুণাভ ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:০৮
Share: Save:

শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া। শনিবার তার দ্বিতীয় দিন। শুধুমাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই উপাচার্য হওয়ার জন্য আবেদন জমা করেছেন ৭২ জন। তার মধ্যে ডাক পেয়েছেন ৮ জন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এর মধ্যে সিংহভাগই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের জন্য সবমিলিয়ে শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে।

শনিবার দ্বিতীয় দিন তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া চলবে। সেগুলি হল বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রথম দিন শুক্রবার তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে মোট প্রায় ৫০ জন আবেদনকারীকে ডাকা হয়েছিল। তার মধ্যে শুধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে ইন্টারভিউর জন্য ডাক পান ১৭ জন। তালিকায় অবশ্য বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য শান্তা দত্তের নাম ছিল না। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।

শুধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তা দত্ত নয়, ডাক পাননি উপাচার্য পদে আবেদন করা বহু অধ্যাপকই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, “আবেদন করলেও আমাকে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়নি। যাদবপুর ছাড়াও নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে আবেদন করেছিলাম। অধ্যাপক হিসেবে নয় বছর পূর্ণ করেছি। এ ছাড়াও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে নাইট-এর কো-অর্ডিনেটর ছিলাম। তাও আমাকে ডাকা হল না।”

ডাকা হয়নি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মহুয়া দাসকেও। এনাদের মধ্যে অনেকেই ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে সূত্রের খবর।

উপাচার্য নিয়োগের জন্য প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পাঁচ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হয়েছে। সেখানে রয়েছেন ইউজিসি, রাজ্যপাল এবং রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের একজন করে প্রতিনিধি। শিক্ষা দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে তাঁরা হস্তক্ষেপ করছেন না। বিশেষজ্ঞ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় পিছু ১০ জন করে প্রার্থী বাছাই করছে।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, “উপাচার্য নিয়োগের যোগ্যতার মাপকাঠিতে কোন‌ও পরিবর্তন করা হয়নি। রাজ্য আগে এই নিয়ম মেনেই উপাচার্য নিয়োগ করত। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রমাণ করে, রাজ্য সরকারের পদ্ধতি সঠিক ছিল।”

রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতের জেরে রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বেশ কিছুদিন ধরে থমকে ছিল। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী ভাবে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এ নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। প্রথমে হাইকোর্ট ও পরে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই গঠিত হয় সার্চ কমিটি। অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

vice-chancellor Recruitment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy