সংগৃহীত চিত্র।
পুজোর মধ্যেই সুখবর এল নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওপেন ইউনিভার্সিটি হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে(ইউজিসি)-র ১২বি তকমা পেল রাজ্যের একমাত্র এই মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। এর ফলে ইউজিসির তরফ থেকে অনুদান পেতে যেমন বাধা থাকছে না, পাশাপাশি গবেষণার ক্ষেত্রেও এখানকার শিক্ষক ও গবেষকদের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান মননকুমার মণ্ডল বলেন, “নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একই সঙ্গে গবেষণা এবং শিক্ষামূলক কাজের অংশগ্রহণ করতে পারবে। যে কোনও সরকারি এবং ইউজিসি প্রকল্পের অধীনে গবেষণার ক্ষেত্রে সরাসরি আবেদনেও যুক্ত হতে পারবেন। এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষ বৃদ্ধি পাবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের দু’টি ক্যাটাগরি রয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি হল ১২এফ। ভারতের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে পড়ে। অপরটি হল ১২বি। এই ক্যাটাগরিতে ২০ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এই তকমার অধীনে মুক্ত বিশ্ববিদ্যালগুলিতে পাঠরত শিক্ষার্থীদের পিএইচডি ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ডিগ্রি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এ বার থেকে মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাকাল্টিরাও পাবে। বিশেষত গবেষণার ক্ষেত্রে রুসার টাকাও পাবে নেতাজি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৯৭ সালে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের জন্ম শতবর্ষে তৈরি হয় তাঁর নামাঙ্কিত এই মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। । ২০১৩ সাল পর্যন্ত এটি মিনিস্ট্রি অফ এডুকেশনের অধীনে ছিল। এর অ্যাপেক্স বডি ছিল ইগনু। পুরো বিষয়টি পরিচালনা করত ডিস্ট্যান্স এডুকেশন কাউন্সিল। ২০১৪ সালের পরে এটি ইউজিসির আওতাভুক্ত হয়। বর্তমানে সারা দেশে মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১৯টির মতো। তার মধ্যে তিন থেকে চারটি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসি-র এই বিশেষ তকমা পেয়েছে।
১৯৯৮ সালে ইউজিসির ১২বি ক্যাটাগরি তৈরি করা হয়। এই শ্রেণিভুক্ত হতে গেলে মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল জমি। তার কারণ অধিকাংশ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা হয় অন্যত্র। তার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য বড় জমির প্রয়োজন হয়নি বলে জানান নেতাজি মুক্ত বিদ্যালয়ের এক আধিকারিক। তিনি আরও জানান, অন্যান্য শর্ত পূরণ হলেও একটি শর্তেই বাধা পাচ্ছিল ন
এই বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯৯ সালে প্রথম এই ক্যাটাগরির আওতাভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। তাতে সফলতা না আসায় পরের বছর, ২০০০ সালে ফের আবেদন করা হয়। তার পরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। তিন দিন ধরে অনলাইনের মাধ্যমে নিরীক্ষণ চালিয়ে এ বার এই ছাড়পত্র দিয়েছে কমিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy