মাদার টেরিজ়ার জীবনের খুঁটিনাটি নিয়ে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে নিয়ে তিন পর্বের তথ্যচিত্র। মাদার আদতে আলবেনীয়। ১৯১০-এ, স্কপিয়ায় (এখন উত্তর ম্যাসিডোনিয়া) জন্মেছিলেন। তখন তাঁর নাম ছিল অ্যাগনেস গনজা বোজাজিউ। আট বছর বয়সে অ্যাগনেসের বাবা মারা যান। পরিবারে দারিদ্র নেমে আসে। তিনি শান্তির সন্ধান পান গির্জায়। লোরেটো বর্গের ক্যাথলিক সিস্টার হওয়ার জন্য ১৮ বছর বয়সে ঘর ছাড়েন। লোরেটো কনভেন্টের শিক্ষক হয়ে কলকাতায় আসেন। বাংলায় পঞ্চাশের মন্বন্তরে রাস্তায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরই ছোটখাটো চেহারার এই সন্ন্যাসিনী নিজের সন্ন্যাসিনী-সম্প্রদায় শুরু করার অনুমতি চান চার্চের কাছে। নীল পাড় সাদা শাড়ি পরা প্রচলন করেন। অনাথ-আতুরের পাশে দাঁড়াতে শুরু করলেন মিশনারিজ় অব চ্যারিটি। বাকিটা ইতিহাস। নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ১৯৭৯-তে। প্রয়াণের মাত্র ১৯ বছর পরেই, ফাস্টট্র্যাক পদ্ধতিতে তাঁকে সন্ত ঘোষণা করা হয়।কলকাতা থেকে মাদারের বিখ্যাত বন্ধু ও জীবনীকারদের সাক্ষাৎকার রয়েছে ছবিটিতে। সুনীতা কুমার জানিয়েছেন, ঠিক মাদারের প্রয়াণের মুহূর্তেই কলকাতায় বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। নবীন চাওলার স্মৃতিচারণ, প্রথম সাক্ষাতেই মাদারকে ভালবেসে ফেলেছিলেন। তাঁর সার্জন দেবী শেট্টি জানিয়েছেন, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর মাদারের চিকিৎসা করতে গিয়েই জীবনে প্রথম ঈশ্বরকে অনুভব করেন। অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁদের জীবন মাদারের দান। তাঁদের উদ্ধার করেছিলেন বা জীবন বাঁচিয়েছিলেন তিনি।
একটা আম ২৫০ টাকা
আম খেতে চেয়েছিলেন মহারানি ভিক্টোরিয়া। কিন্তু সেই একশো বছরেরও বেশি আগের সময়ে, আম কী করে পাবেন তিনি! লম্বা সমুদ্রযাত্রায় সব আমই পচে যেত। এখন অবশ্য ব্রিটেনে ভারী সহজলভ্য ফলের রাজা। ভারতের এই রফতানিটি সকলেরই প্রিয়। বিশেষত, আলফানসো এতটাই জনপ্রিয় যে, এক অনলাইন রিটেল সংস্থা ক্রেতাদের ‘ভিআইপি ওয়েটিং লিস্ট’ তৈরি করেছে। এ বারের গ্রীষ্মে সেই তালিকায় অন্তত ১০০০ জন মুখিয়ে রয়েছেন আম চাখার জন্য। একটি সংস্থা এপ্রিলে ব্রিটিশদের মধ্যে ৯০,০০০ আম বিক্রি করেছে, মে-জুনে সেই সংখ্যা নাকি ১,৩০,০০০-এ পৌঁছবে। আগের বছরের থেকে বিক্রি বেড়েছে ৪০ শতাংশ। এক ডজন আমের বাক্সের দাম ৩০.৯৯ পাউন্ড, প্রতিটি ২.৬০ পাউন্ড বা ২৫০ টাকা। মরসুম শুরু হতেই ভারতীয় রেস্তরাঁগুলো আমের রকমারি পদ বানাচ্ছে। আম লস্যি, আম দেওয়া চিজ়কেক থেকে আইসক্রিম— সবই হচ্ছে!
পুডিং রানি
রানির প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীতে লোকজনকে আহ্বান জানানো হয়েছিল রাজকীয় পুডিং বানানোর জন্য। শর্ত ছিল, পুডিংটির সঙ্গে রানির কোনও না কোনও যোগ থাকতে হবে। আর বাড়িতেও যেন খাবারটি তৈরি করা যায়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী সুইস রোল ও আমারেতি ট্রাইফল। রানির বিয়ের ভোজের একটি পদের অনুকরণে এটি তৈরি করেছেন জেমা মেলভিন। ফাইনালে উঠেছিল কমনওয়েলথের দেশগুলির প্রতি রানির অনুরাগের পরিচায়ক, ভারতীয় বংশোদ্ভূত শবনম রুসোর তৈরি রোজ় ফালুদা কেক। মুম্বই সফরকালে, রানির ঠাকুমা-ঠাকুরদা গোলাপজল বা সিমুই সিরাপ দেওয়া কুলফি খেতে খুব পছন্দ করতেন। শবনম সেই ফালুদাকেই কেকে পরিবর্তিত করেছেন। তাতে বরফজমাট মাস্কারপোনি ভ্যানিলা ক্রিম দিয়েছেন, কেকের ‘টপিং’ সাজিয়েছেন তাজা ফুল ও খাবার উপযোগী পাপড়িতে। সেরা পুরস্কারটি না পেলেও, এটি লোকজন বাড়িতে বানিয়ে খাবেন নিশ্চয়ই।
৩০ শতাংশ কম হাসি
ব্রিটিশ টিভির চেনা মুখ বাঙালি ডাক্তার রঙ্গন চট্টোপাধ্যায়। দৈনন্দিনতায় ছোট্ট ছোট্ট পরিবর্তন এনে জীবনের মানোন্নয়নের পরামর্শ দেন টিভি শোয়ে। তাঁর সাম্প্রতিকতম বই হ্যাপি মাইন্ড হ্যাপি লাইফ প্রকাশমাত্র টাইমস বেস্টসেলার তালিকা ও অ্যামাজ়নে এক নম্বরে উঠেছে। ব্রিটেনে স্বাস্থ্যপরিষেবা নিয়ে ভাবনা অনেকটা পাল্টে দিয়েছেন তিনি। রয়্যাল কলেজে পড়ানো হচ্ছে জীবনযাত্রা সম্পর্কিত চিকিৎসাপদ্ধতি। এই বহুল প্রশংসিত কোর্সের তিনি সহস্রষ্টা এবং শিক্ষক। তাঁর উক্তি, “আমরা শুধু আরও বেশি কিছু করতে, বেশি কিছু হতে, বেশি পাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত। কেবলই বাঁচার আনন্দটাই ভুলতে বসেছি।” তিনিই বলেছেন, “ফোন যখন কাছে থাকে, আমরা ৩০ শতাংশ কম হাসি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy