বিশ্বভারতীর উপাচার্য কিছু কর্মী, আধিকারিক ও অধ্যাপকদের নিয়ে পার্থেনিয়াম গাছ কাটলেন ১৫ জুন (‘পার্থেনিয়াম সাফাইয়ে বিশ্বভারতী’, ১৬-৬)। বর্ষাকাল পার্থেনিয়ামের ফুল আসা এবং বীজ উৎপাদনের সময়। আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই গাছের ফুলের রেণু এবং বীজ এত হালকা হয় যে খুব সহজেই বাতাসে ভেসে বেড়ায়। রেণুতে যে পদার্থ থাকে, তার ফলে অ্যালার্জি, হাঁপানি-সহ আরও মারাত্মক রোগ হতে পারে। তাই নিয়ম অনুযায়ী, ফুল আসা এবং বীজ উৎপাদনের আগেই পার্থেনিয়াম সাফ করা উচিত। নয়তো বাতাসে, এবং সাফাইকারীদের জামাকাপড়ের মাধ্যমে রেণু ছড়িয়ে যায়। মানুষের সংক্রমিত হওয়ার প্রবণতা অনেক গুণ বেড়ে যায়। রেণু বা বীজ বাতাসে উড়ে বংশবিস্তারের সম্ভাবনাও বাড়ে।
কাটা গাছের কী ব্যবস্থা হল, সে সম্পর্কেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছু জানাননি। স্থানীয়রা কেউ বলছেন, সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, কেউ বলছেন, অন্যত্র জড়ো করে রাখা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ফুল আসার পরে গাছ কেটে জড়ো করে রাখলেও সেখান থেকে বাতাসের দ্বারা রেণু ছড়ানো সম্ভব। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, পার্থেনিয়াম পুড়িয়ে ফেললে যে গ্যাস উৎপন্ন হবে, তাও ক্ষতিকর। সুতরাং, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন।
সন্তোষকুমার চট্টোপাধ্যায়
কার্যকরী সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ, বীরভূম জেলা কমিটি
জেলা ব্রাত্য কেন
গণমাধ্যমে দেখলাম, কলকাতার ৬,০০০ বাসের জন্য ১৫,০০০ টাকা করে আগামী তিন মাস অনুদান মঞ্জুর করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, জেলার বেসরকারি বাসের জন্য কোনও অনুদান ঘোষণা হয়নি। তারা বেশি দামে ডিজেল কিনে প্রত্যন্ত গ্রামে পরিষেবা দিচ্ছে। লকডাউনে সরকারি কর-এও কোনও ছাড় নেই। প্রত্যেক বাসকে বিগত তিন মাসে ত্রিশ হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে এবং এখনও দিতে হবে। জেলার বেসরকারি বাস কেন ব্রাত্য?
উদয় নারায়ণ বিশ্বাস
সভাপতি, বাঁকুড়া জেলা বাস মালিক কল্যাণ সমিতি
দ্বিগুণ ভাড়া
পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনগুলিকে বাস না নামানোয় যে কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলেছেন, তাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু গভীর আক্ষেপের সঙ্গে এটাও জানাই, সাধারণ মানুষের স্বার্থে সরকার বেসরকারি বাসের ভাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া সত্ত্বেও বালি-হাওড়া রুটের বাসে যাত্রীদের থেকে এক প্রকার জোর করেই প্রতি দিন দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে পুলিশের চোখের সামনে। এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ রইল।
গোপাল তিওয়ারি
বালি, হাওড়া
সুদ উদ্বেগ
বিগত পাঁচ-ছয় বছর ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের আমানতে সুদের হার ক্রমাগত কমতে শুরু করেছে। আর এই কমে যাওয়া সুদে প্রত্যক্ষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রবীণরা। সমাজের একটি বৃহৎ অংশের মানুষ সুদের উপর নির্ভর করে সংসার চালান— বিশেষত অবসরপ্রাপ্তরা। যত দিন যাচ্ছে, ততই তাঁদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে যাচ্ছে। সুদের হার ১০০ বেসিস পয়েন্ট কমলে ১০ লক্ষ টাকা আমানতে বছরে ১০,০০০ টাকা বা মাসে ৮৩৩ টাকা প্রাপ্ত সুদ কমে যায়। তার উপর আছে উৎস মূলে আয়কর কাটার ব্যবস্থা। তিন বছর আগে যিনি অবসর নিয়েছেন, তিনি সিনিয়র সিটিজ়েন স্কিমে সুদ পেতেন ৮.৭ শতাংশ। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৭.৪ শতাংশে। স্থায়ী আমানতে প্রবীণদের প্রাপ্ত সুদ ক্রমাগত কমতে কমতে হয়েছে ৬.২৫ শতাংশ বা তার কাছাকাছি। অথচ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যবিমার খরচ প্রতি বছর বেড়েই চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাজারদর, বাড়ছে প্রবীণদের চিকিৎসার খরচ। আয় আর ব্যয়ের মধ্যে সমতা রাখতে তাঁদের নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম। সারা জীবন নিষ্ঠার সঙ্গে বিভিন্ন পেশায় পরিষেবা দিয়ে আসার পর প্রবীণরা কি সুষ্ঠু ভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন না?
মাধব হাজরা
কলকাতা-৫৭
কিস্তির টাকা
এপ্রিল মাসে নির্দেশনামা জারি করে অটল পেনশন যোজনার কিস্তি জুন মাস পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে এবং ব্যাঙ্কগুলি যাতে নিজে থেকে ওই সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা না নেয়, সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছেন। জুলাই মাস থেকে গ্রাহকদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে বলা হয়েছে, যদিও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টাকা মেটানোতে সুদ না নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যে সমস্ত গ্রাহকের মার্চ, এপ্রিল মাসে কিস্তি মেটানোর কথা ছিল এবং টাকা মেটাতে পারেননি, তাঁদের জন্য জীবনবিমা কোম্পানিও অনুগ্রহ সময়সীমা এক মাস বাড়িয়েছিল, যা আপাতত শেষ বলে জানানো হয়েছে। অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠানই এই সময় কিস্তির টাকা সুদ-আসলে মেটানোর জন্য বলছেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে আনলক পর্ব এক মাস আগে শুরু হলেও এখনও মানুষের জীবন ও জীবিকা পুরোপুরি আনলক হয়ে যায়নি। বরং বেশির ভাগ জায়গাতেই অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত দৈনিক রোজগেরে মানুষের আয় থমকে গিয়েছে। কাজকর্ম অনেকেরই বন্ধ। আর যাঁরা সবে কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের মাসিক আয়ের নিশ্চয়তা নেই। এই অবস্থায় গ্রাহকরা কিস্তির টাকা মেটাবেন কেমন করে?
সুদীপ্ত মণ্ডল
তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর
একটা সুযোগ
আমি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন শিক্ষাকর্মী। আমার মতো রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু কর্মচারী এখনও কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড-এর আওতায় রয়ে গিয়েছি। জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড-এর আওতায় থাকা কর্মীরা অবসরের পরে যে হারে পেনশন পান, সিপিএফ-এর অধীন কর্মীদের পেনশনের হার তার প্রায় অর্ধেক। অবসরের পরে আমাদের মতো স্বল্প বেতনভুক কর্মচারীদের পক্ষে ওই টাকায় পরিবারের ভরণপোষণ নিতান্তই কষ্টসাধ্য।
পূর্বতন সরকারের আমলে বেশ কয়েক বার পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। শেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ২০১০ সালে। বিভিন্ন কারণে আমার মতো অনেক কর্মী সেই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেননি। বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ, আমাদের মতো শিক্ষাকর্মীদের কথা ভেবে যদি এক বার সিপিএফ থেকে জিপিএফ-এ যাওয়ার সুযোগ করে দেন, তা হলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব।
শুভজিত সেন
পশ্চিম মেদিনীপুর
ট্রেন থামুক
রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় বাউড়িয়া একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন। স্টেশনটির সঙ্গে পাঁচলা, বজবজ, চেঙ্গাইলের সড়কপথে সরাসরি যোগাযোগ আছে। লোকাল ট্রেনের যাত্রীসংখ্যাও হাওড়া ও খড়্গপুরের পরেই। এলাকায় জরি-শিল্প, গয়নার পাথর-সেটিং, নির্মাণ শিল্প ও অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই রাজ্যের বাইরেও যাতায়াত করেন। বাউড়িয়া শিল্পাঞ্চল এলাকা। বড় বড় চটশিল্প ছাড়া অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাও রয়েছে। কিন্তু স্টেশনে লোকাল ট্রেন থামলেও দূরপাল্লার ট্রেন একদম থামে না। দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও ট্রেন ধরতে হাওড়া অথবা খড়্গপুর যেতে হয়। রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ, বাউড়িয়ায় দূরপাল্লার ট্রেনও থামুক।
তুষার কান্তি মণ্ডল
বাউড়িয়া, হাওড়া
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy