মহিলাদের শৌচাগারও কার্যত ব্যবহারযোগ্য নয়।
ব্যবসায়িক প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে কলকাতায় যেতে হয়। সুন্দরবনের বাসিন্দা হিসেবে আমার নিকটতম রেলস্টেশন মথুরাপুর রোড, যা শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা লোকালের যাত্রাপথে পড়ে। স্টেশনে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা অনেকটাই। ফলে বয়স্ক মানুষ বা কম উচ্চতাসম্পন্ন যাত্রীরা অসুবিধায় পড়েন। ব্যস্ত সময়েও মাঝেমধ্যে নির্দিষ্ট তিনটি টিকিট কাউন্টার খোলে না। এ ছাড়া, মহিলাদের শৌচাগারও কার্যত ব্যবহারযোগ্য নয়।
এই সব সমস্যা ছাড়াও বহু দিন ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে, ট্রেনের টিকিটের হরফ বা লেখাগুলো অস্পষ্ট। অর্থাৎ, টিকিটের কালি আবছা। সাধারণ মানুষ তো দূর অস্ত্, এক জন শিক্ষিত মানুষের পক্ষেও স্টেশনের নাম বা তারিখ ইত্যাদি লেখাগুলো পড়া দুঃসাধ্য। বিশেষ করে মানিব্যাগে, পকেটে রাখার সময় টিকিটের কালি উঠে গিয়ে আবছা হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে মাসিক, ত্রৈমাসিক টিকিটের মতো সিজ়ন টিকিটের ক্ষেত্রে, যাত্রীদের কাছে যা খুবই অসুবিধাজনক। কেননা অনেক সময় টিকিটদাতার অসাবধানতায় বা ভুল শোনার কারণে নির্দিষ্ট গন্তব্যের টিকিটে বিচ্যুতি ঘটতে পারে। ফলস্বরূপ, টিটিই-র কবলে পড়ে জরিমানা গুনতে হতে পারে সংশ্লিষ্ট যাত্রীকেই। টিকিটের ছাপের অস্পষ্টতার কারণে এই বিভ্রান্তির দায় কি রেল নেবে?
যদিও অ্যাডভান্সড অটোম্যাটিক টিকিট ভেন্ডিং মেশিন-এর টিকিট অনেকটা স্বচ্ছ। তবে সব স্টেশনে এই স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডর মেশিন নেই। থাকলেও অধিকাংশ স্টেশনের মেশিনই অকেজো থাকে। এই স্টেশনের নানাবিধ সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি টিকিটের লেখাগুলো যাতে স্পষ্ট হয়, সে বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ করতে অনুরোধ করছি।
মঙ্গল কুমার দাস, রায়দিঘি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
তিক্ত অভিজ্ঞতা
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অত্যন্ত ভাল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। জুলাইয়ের শেষের দিকে সড়কপথে হিলি বর্ডার দিয়ে ভারতে গিয়েছিলাম। ভ্রমণ ভাল হলেও আগমন ও প্রস্থানের সময় হিলি অভিবাসনের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর ছিল না। ঘুষ-সহ নানা হয়রানির শিকার হয়েছি। আমরা হয়রানি ছাড়া যেতে চাই। আশা করি, ভারতীয় প্রশাসন সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।
সৈয়দ আশিকুজ্জামান আশিক, ঢাকা, বাংলাদেশ
যানজট
হাওড়া মহেন্দ্র ভট্টাচার্য রোডের চ্যাটার্জি হাট থানা এক বিচিত্র পরিস্থিতির শিকার। থানার চার পাশে আটক করা বেআইনি গাড়ি, বাইক, সাইকেল দৃশ্যদূষণ ঘটাচ্ছে। এখানে ক্রমশ পোকামাকড়, বিছে, সাপ প্রভৃতিও যে বাসা বাঁধছে, সে বিষয়ে থানার আধিকারিকদের কোনও নজরই নেই।
তা ছাড়া, এই ধরনের জায়গাই ডেঙ্গির মশা জন্মানোর পক্ষে উপযুক্ত। পুলিশের উচিত বেআইনি গাড়িগুলোকে অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা। আশা করি, পুলিশ-প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবে।
পল্টু ভট্টাচার্য , রামরাজাতলা, হাওড়া
যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য
শিয়ালদহ লালগোলা শাখায় জিয়াগঞ্জ রেলস্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষত, বয়স্ক মানুষ, শিশুদের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম পেরোতে বেশ কিছুটা হাঁটতে হয়। এর পর পাথর বিছানো লাইন পেরিয়ে দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছনো যায়। সেখানে মাথার উপরে ছোট শেড, কোনও পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই, বসার ব্যবস্থাও যথাযথ নয়। ঝড়বৃষ্টি এলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে দুই নম্বরে পারাপারের ওভারব্রিজের সিঁড়িটিও সুবিধাজনক নয়। শ্বাসকষ্ট বা হার্টের রোগীদের এই ব্রিজ পেরোনো এক নিদারুণ অভিজ্ঞতা। স্টেশনে কোনও র্যাম্প নেই। দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা আছে কি না, কেউ জানেন না। শৌচাগারের ব্যবস্থাও তথৈবচ। প্রবীণ নিত্যযাত্রী ও সাধারণ প্যাসেঞ্জারদের কথা ভেবে রেল কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে প্ল্যাটফর্ম পারাপারের মসৃণ রাস্তা এবং আন্ডারপাসের ব্যবস্থা করুক।
সমীর ঘোষ, জিয়াগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ
দায়িত্বহীন
দক্ষিণ-পূর্ব রেলপথে আন্দুল একটি জনবহুল ও ব্যস্ততম রেলস্টেশন। স্টেশনের দক্ষিণ দিকের যে পথটি ঝোড়হাট-রামচন্দ্রপুর ব্রিজ পর্যন্ত চলে গিয়েছে, তার দু’পাশের জঙ্গল রাস্তাটি দখল করে নিয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে মধ্য বাণীপুর, রামচন্দ্রপুর, সাঁকরাইল প্রভৃতি সাত-আটটি গ্রামের অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। রাস্তায় দু’-একটি পথবাতি থাকলেও রাতে সেগুলি জ্বলে না। জঙ্গল পরিষ্কার এবং রাতে আলোর ব্যবস্থা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষ একে অপরের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে খালাস। ফলে পথচারীদের সন্ধ্যার পর ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। কোনও দিন বড় কোনও বিপদ ঘটলে দুই প্রশাসনই কি কোনও ভাবে দায়মুক্ত হতে পারবে?
স্বপন কুমার ঘোষ, মধ্য ঝোড়হাট, হাওড়া
আজব নীতি
গত জুন মাসে স্থানীয় হরিপাল স্টেট ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলি। প্রায় পনেরো দিন পরে ব্যাঙ্কে পাসবই নিতে যাওয়ার সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্মী প্রথমে নগদে ২০০০ টাকা জমা দিতে বলেন। তার পর তিনি আমার নতুন পাসবই আপডেট করে দিলে দেখি, সে দিনের জমা পড়া ২০০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে ‘জেনারেল অ্যাক্সিডেন্ট ইনশিয়োরেন্স’-এর প্রিমিয়াম বাবদ। বিষয়টা সংশ্লিষ্ট কর্মীর গোচরে এনে জানাই, অ্যাকাউন্ট খোলার সময় ওই বিমা পলিসি করার কোনও ইচ্ছা প্রকাশ করিনি। তিনি বলেন, এখন সেভিংস অ্যাকাউন্ট করার সময়ে এক বার বিমার পলিসিটা করিয়ে নিয়ে একটা প্রিমিয়াম কাটা হয়। পরের বছর পুনর্নবীকরণের সময়ে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের সঙ্গে এসএমএস-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করে তিনি ইচ্ছুক থাকলে তবেই ওই পলিসি চালু থাকে, না হলে আর টাকা কাটা হয় না। এই মৌখিক বিবৃতির কোনও প্রমাণ না থাকায় একটি লিখিত অভিযোগ আমি ব্যাঙ্কে জমা দিই। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই চিঠির উত্তর পাইনি। প্রথম প্রিমিয়াম বাবদ যে ৫০০ টাকা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক কেটে নিল, সে টাকা ফিরে পাওয়ার কি অধিকার নেই আমার? আর, আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে যে রিনিউয়াল প্রিমিয়াম আদায় করা হবে না, সেই নিশ্চয়তা প্রদানের মর্মে আমার চিঠির উত্তর দেওয়ার দায় কি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের থাকে না?
মধুসূদন দাশঘোষ, হরিপাল, হুগলি
বার্ধক্য ভাতা
আমি এক প্রবীণ নাগরিক। নামমাত্র শিক্ষাপ্রাপ্ত। একলাই বাস করি। জীবিকা নির্বাহ করি সামান্য ধূপকাঠি বিক্রির মাধ্যমে। সাহায্যের আশায় রাজ্য সরকার প্রদত্ত বার্ধক্য ভাতার জন্য গত বছরের মার্চ মাসে ওয়ার্ড নম্বর ৬-এ আবেদন জানাই। কিন্তু এখনও তার কোনও সুরাহা হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনও এ বিষয়ে আশ্বাস দিতে পারেনি। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, তাড়াতাড়ি আমার বার্ধক্যভাতা চালু করা হোক।
ইভা সেন, ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy