Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Land

সম্পাদক সমীপেষু: খাজনার চেয়ে বেশি

বাংলা ১৪২৯ সনে শুরু হয়েছে অনলাইনে খাজনা আদায়ের পদ্ধতি। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর ‘বাংলার ভূমি’ নামে একটি পোর্টাল চালু করেছে।

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২২ ০৪:৫৬
Share: Save:

জমির খাজনা নেওয়া হয় বাংলা নতুন বছরের শুরুতে। বাংলা ১৪২৯ সনে শুরু হয়েছে অনলাইনে খাজনা আদায়ের পদ্ধতি। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর ‘বাংলার ভূমি’ নামে একটি পোর্টাল চালু করেছে। গত বছর করোনাকালে দেরিতে হলেও করোনাবিধি মেনে অফলাইনে খাজনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বছর সেই সুযোগ নেই। ব্লক অফিস থেকে জানা গিয়েছে, অনলাইন ছাড়া খাজনা নেওয়া হবে না। ফলে জমির খাজনা দিতে সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা! যাঁরা অনলাইনে খাজনা দিতে অপারগ, তাঁদের ছুটতে হচ্ছে কোনও হিতৈষী ব্যক্তির কাছে কিংবা সাইবার-ক্যাফেতে। সাইবার-ক্যাফে এই সুযোগে খাজনার পরিমাণ বুঝে খাজনা প্রদানকারীর কাছ থেকে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক নিচ্ছে।

এই পদ্ধতিতে খাজনা দিতে গিয়ে প্রকৃত খাজনার থেকে অনেক বেশি টাকা দিতে হচ্ছে জনসাধারণকে। তা ছাড়া, অনলাইনে পেমেন্ট করলে কিছু ‘ছাড়’ পাওয়া যায় ইলেকট্রিক বিল, মোবাইল-রিচার্জ প্রভৃতি ক্ষেত্রে। কিন্তু খাজনার ক্ষেত্রে সেই ছাড়ের ব্যবস্থা নেই। সংশ্লিষ্ট বছরের খাজনা সময়ের মধ্যে দিতে পারলে কিছুটা ছাড়ের ব্যবস্থা আগেও ছিল, এখনও আছে। কিন্তু প্রশ্ন, সাইবার-ক্যাফের খরচ খাজনা-প্রদানকারীকে বইতে হবে কেন? তাই, সংশ্লিষ্ট ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কাছে আবেদন, যাঁরা অনলাইনে খাজনা দিতে অপারগ, তাঁদের জন্য প্রতিটি ব্লক অফিসে অন্তত একটি করে কাউন্টার খোলা হোক যেখানে অনলাইন অথবা অফলাইনে খাজনা দেওয়া যাবে।

অমরেশ পাল, খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর

তথ্য বিভ্রাট

আমি এক জন বয়স্ক নাগরিক। হুগলি জেলার বলাগড় থানার অধীন শ্রীপুর বাজার পোস্ট অফিসে মেয়ের সঙ্গে একটা যৌথ সেভিংস বই আছে। উক্ত বইতে শেষ যে টাকার অঙ্ক হাতে লেখায় নথিভুক্ত আছে, তার সঙ্গে পরবর্তী কালে কম্পিউটারে সংগৃহীত তথ্যের মিল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে টাকা তুলতে পারছি না। কর্তৃপক্ষ কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করছে না।

অসীম কুমার সাহা, বলাগড়, হুগলি

টাকা পাইনি

২০১৮ সালের মার্চের গোড়ায় আমার বিএসএনএল ল্যান্ডলাইন সারেন্ডার করে ২০০০ টাকার ডিপোজ়িট মানি রিফান্ডের জন্য বহরমপুর সঞ্চারিকা ভবনে আবেদন করি। কয়েক দিনের মধ্যেই সেটার প্রাপ্তিস্বীকার করে অফিস থেকে জানানো হয় যে, কিছু দিন পরে আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১২৮৪ টাকা ঢুকে যাবে। দু’বছরেও তা না ঢোকায় উক্ত অফিসে গিয়ে দেখি অন্য একটা অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখে আমার রিপোর্টটি পাঠানো হয়েছিল, আমি ব্যাঙ্ক পাসবুকের প্রথম পাতার জ়েরক্স কপি দেওয়া সত্ত্বেও। কবে টাকা ফেরত পাব জানতে চাওয়ায় অফিসের কর্মী লজ্জিত হওয়ার পরিবর্তে বলেন, আমরা ঠিকমতো মাইনে পাই না। এ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারব না। কলকাতা হেড অফিসে যোগাযোগ করবেন। আজ প্রায় পাঁচ বছর হয়ে গেল, এখনও টাকা ফেরত পাইনি। কাস্টমার কেয়ার-এ ফোন করলে কেউ ধরে না। টাকাটা কি আদৌ পাব?

গোপাল ভট্টাচার্য , বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ

জলেও রেষারেষি

বহু দিন সংবাদমাধ্যমে তো বটেই, স্বচক্ষেও দেখেছি বাসে বাসে রেষারেষি আর তার পরিণতিতে অনেক ক্ষেত্রেই যাত্রী, পথচারীদের জীবনের বিপন্নতা। সম্প্রতি প্রায়শই গঙ্গাবক্ষে প্রত্যক্ষ করছি সকাল-বিকেলে পশ্চিমবঙ্গ ভূতল পরিবহণ নিগম আর তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির লঞ্চের একে অন্যকে টেক্কা দেওয়ার ঘটনা। এরা মাঝগঙ্গায় যাত্রীদের জীবন বাজি রেখে রেষারেষিতে রত থাকে, কখনও বেশ জোরে, কখনও আস্তে। এ রকমটা কিন্তু একেবারেই অনভিপ্রেত। একটু অসতর্কতায় যাত্রীদের প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে।

মধুসূদন দাশঘোষ, হরিপাল, হুগলি

ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা

‘বেপরোয়া’ (৬-৭) শীর্ষক সম্পাদকীয়টি যথাযথ। যে কোনও ধরনের যানবাহনের গতির কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই, হর্নের উৎকট আওয়াজে প্রাণ ওষ্ঠাগত, পথআইন মেনে চলার ন্যূনতম দায়বদ্ধতা নেই। এক-একটি দু’-চাকার যানে নিয়মবহির্ভূত আরোহীর সংখ্যা! চার চাকার ক্ষেত্রে আগে যাওয়ার রেষারেষি, পথচারীদের তোয়াক্কা না করা এখন যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সবচেয়ে বড় কথা, ট্র্যাফিক পুলিশের উপস্থিতিতেই এমন সব ধরনের অরাজকতা আকছার ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে সরকারি নিয়মবিধির অস্তিত্ব চোখে পড়ে না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার নিয়ম অসততায় হাবুডুবু খায়। এক কথায়, পথ চলতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছে।

বিশ্বজিৎ কর, গড়িয়া, কলকাতা

কার্ডের সমস্যা

পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের টিটাগড় শাখায় আমার একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট আছে। আমার ডেবিট কার্ডের কার্যকারিতার সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ওই শাখায় গিয়ে নতুন কার্ডের জন্য আবেদন করি। প্রায় পাঁচ মাস পরেও কার্ডটি পেলাম না। খুব সমস্যায় পড়েছি। এটিএম ব্যবহার করতে পারছি না। ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং করতে পারছি না, কেননা আমার পাসওয়ার্ড আটকে গিয়েছে। সেটি পুনরায় চালু করতে ডেবিট কার্ড লাগবে। ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ার-এ অনেক বার জানিয়েছি, শাখায় গিয়ে খোঁজ করেছি, ম্যানেজারের সঙ্গেও কথা বলেছি। কিন্তু সব জায়গায় একই কথা শুনেছি— কার্ড দিতে সমস্যা হচ্ছে, একটু অপেক্ষা করুন। এরই মধ্যে গত ৭ জুলাই ব্যাঙ্ক থেকে এসএমএস মাধ্যমে আমাকে জানানো হয় যে, কার্ডটি চালু করা হয়েছে। কার্ডই পেলাম না অথচ তা চালু হয়ে গেল কী করে? আর কত দিন এই ভাবে ব্যাঙ্কের অব্যবস্থার শিকার হতে থাকব? ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ, ডেবিট কার্ডটি তাড়াতাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক।

মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা-১১৭

বন্ধ হয়নি ব্যবহার

গত ১ জুলাই থেকে এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের জিনিস বেআইনি ঘোষিত হয়েছে। এ দিকে জুলাই শেষ হতে চলল, কিন্তু ব্যারাকপুরের দোকানে-বাজারে এখনও এর যথেষ্ট ব্যবহার হয়ে চলেছে। খাবারের দোকান, বিশেষ করে মুদিখানা দোকানে এর যথেচ্ছ ব্যবহার লক্ষ করা যাচ্ছে। কিছু বললে সংশ্লিষ্ট দোকানদার পুরনো স্টক ফুরোনোর অজুহাত দিচ্ছে। এই বদভ্যাস অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

দেবরঞ্জন তরফদার , কলকাতা-১২২

আলো চাই

দূরপাল্লার সব ট্রেনের স্লিপার ও এসি কোচে প্রত্যেক বার্থে রিডিং ল্যাম্প আবশ্যক হোক। বর্তমানে রাজধানী, দুরন্ত ছাড়া কেবল এসি টু টিয়ারে এই সুবিধা থাকে। তা-ও অনেক আলোই কাজ করে না বা থাকে না। রাত বাড়লেই অনেক যাত্রী আলো নেবানোর অনুরোধ করেন। কোনও কাজ বা পড়া থাকলেও তা সম্ভব হয় না। এই অসুবিধার কথা মাথায় রেখে রেল দ্রুত রিডিং ল্যাম্প লাগাক ও যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করুক। ভাড়া বৃদ্ধিকে মাথায় রাখলে এইটুকু সুবিধা যাত্রীদের প্রাপ্য।

অরিত্র মুখোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর, হুগলি

অন্য বিষয়গুলি:

Land Rent
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy