Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Virat Kohli

আধুনিক বীরগাথার উত্তর আধুনিক জনক

বিরাট কোহলি যদি তাঁর কেরিয়ারে আর একটি রানও না-করেন, তা-ও তাঁর সংকল্প, পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ইতিহাস আমাদের যুগে যুগে ঠেলা মেরে যাবে। বলবে, প্রতিভা হওয়ার প্রয়োজন নেই। শ্রমিক হও।

Virat Kohli Birthday: The Cricket Superhero built with hard discipline and hard work

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

অনিন্দ্য জানা
অনিন্দ্য জানা
শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০০
Share: Save:

লেখাটা কী করে শুরু করব, সেটাই ছাতার মাথা বুঝে উঠতে পারছিলাম না! মাথা এতটাই ঝিমঝিমে হয়ে আছে। আসলে যখন কোনও বদল ধীরে ধীরে এবং প্রত্যহ চোখের সামনে ঘটতে থাকে, তখন তার আদলটা তত বোঝা যায় না। চোখে এবং মনে সয়ে যায়। কিন্তু অনেকটা রাস্তা পেরিয়ে পিছু ফিরে শুরুর দিকে তাকালে বিস্ময়ে চোখে ঝিলমিল লেগে যায়। ভ্যাবাচাকা লাগে। মাথা ভোঁ-ভোঁ করে।

বিরাট কোহলির ৩৫তম জন্মদিনের আগে এই লেখাটা লিখতে বসে যেমন হচ্ছে।

পশ্চিম দিল্লির এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। বাবা ক্রিমিনাল ল’ইয়ার। মা নিকষ্যি গৃহবধূ। এক দাদা এবং এক দিদি। তথাকথিত পারিবারিক পেডিগ্রি নেই। মকমকে অর্থসম্পদ নেই। রোজ সকালে মা বা দাদা নড়া ধরে নিয়ে গিয়ে স্কুলবাসে তুলে দেন। কিন্তু সে ছেলে স্কুলে যেতে ভয়ানক অনিচ্ছুক। ডান দিকের ট্র্যাফিক আইল্যান্ড থেকে ইউ-টার্ন মেরে ধেয়ে আসা স্কুলবাসকে তার কালান্তক যমের মতো লাগে। তার চেয়ে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ লাগে নিজের চেয়েও বড় সাইজ়ের গাব্দা কিটব্যাগ নিয়ে বাবার স্কুটারের পিছনে বসে ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে যেতে। কারণ, ক্রিকেট এবং একমাত্র ক্রিকেট ব্যাটের সঙ্গেই নিরবচ্ছিন্ন ভালবাসা তার।

সেই ছেলের অভিযাত্রায় লেখা আছে দিল্লির ক্রিকেট সার্কিটের রাজনীতি এবং স্বজনপোষণের কারণে অনূর্ধ্ব-১৪ দলে সুযোগ না-পাওয়ার কাহিনি। সেই ছেলের যাত্রায় লেখা আছে সেই বাঁধ ভেঙে ফেলার কাহিনিও। যেমন আছে লাজপত নগরের বিখ্যাত রেডিমেড পোশাকের বাজার থেকে বন্ধুদের সঙ্গে দলবেঁধে উৎকট দেখতে ডেনিমের ট্রাউজ়ার্স কিনতে যাওয়া। আছে কর্ডুরয়ের বেলবটম এবং হিলতোলা বুট। শুরুর সেই কাহিনিতে ছিল এই মানসিকতাও যে, জীবনের প্রথম গাড়িটাই হবে দুম্বো টাটা সাফারি। যাতে রাস্তায় চললে সকলে সরে গিয়ে জায়গা করে দেয়! অর্থাৎ, দিল্লিওয়ালা সুলভ হেক্কোড়টা দেখানো চাই। সেটাই আসল। সেই মেজাজটা।

সেই মেজাজটাই সম্ভবত ফুটে বার হত তাঁর ক্রিকেটেও। বাতাসে ঘুষি, শূন্যে লাফিয়ে ওঠা, নিজের বুকে দমাদ্দম কিল— দেখে মনে হত তপ্ত চাটুতে পপকর্ন। পড়ছে আর পটপট করে ফুটছে! লাফাচ্ছে!

কে জানে, হয়তো ওই আগ্রাসনটা প্রয়োজনীয়। ভিতরের অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণকে বাড়তি গতি দিতে। যা ব্যক্তির ভিতর থেকে তার সেরাটা বার করে আনে। আশির দশকে মাঠে-ময়দানে কিন্ডারগার্টেন স্তরের ক্রিকেট খেলায় আমরাও কেউ কেউ কি সেই লপচপানি দেখাইনি? পাশের পাড়ার সঙ্গে ক্রিকেট ম্যাচে বা জ়ামির লেনে গলির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে উল্টো দিকের প্লেয়ারকে হুলিয়ে স্লেজ় করিনি? হেরে গেলে দুয়ো খেয়ে মুখ ভেটকে ফিরতে ফিরতে কি ‘এর পর দেখে নেব’ মার্কা প্রতিজ্ঞা করিনি?

কিন্তু আমাদের বা আমাদের মতো আরও অনেক পাঁচপেঁচির কাহিনি সেখানেই থেমে গিয়েছে।

বিরাট কোহলি নিজেকে সেখান থেকে এই স্তরে নিয়ে এসেছেন, যেখানে তিনি সখেদে এটা বলার বিলাসিতা দেখাতে পারেন, ১২ ঘণ্টা নিরুপদ্রব সময় পেলে দিল্লির রাস্তায় একটু নিজের ইচ্ছেমতো হেঁটে বেড়াতেন। কেউ দৌড়ে এসে সেল্‌ফি তুলতে চাইত না। ঘাড়ের উপর ভনভন করত না। কত দিন যে শান্তিতে রাস্তায় হাঁটতে পারেননি! বিরাট কোহলি সেই ফচকে ছোঁড়া থেকে নিজেকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন, যেখানে তাঁর নাম লেখা নীল জার্সির তরঙ্গে হিল্লোল ওঠে দেশ-বিদেশের একের পর এক দৈত্যাকার স্টেডিয়ামে। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুসরণকারীর সংখ্যায় সারা পৃথিবীতে ক্রীড়াবিদ হিসেবে তিনি প্রথম তিনের মধ্যে থাকেন। তাঁর আগে (খানিকটা বেশিই আগে) কারা? ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং লিয়োনেল মেসি। মনে রাখুন, বিরাট কোহলি খেলেন এমন একটা খেলা, যা এই গ্রহে মেরেকেটে আট থেকে ১২টা দেশ খেলে। অর্থাৎ, তাঁর ক্যানভাস রোনাল্ডো-মেসির ফুটবলের তুলনায় অনেক সঙ্কুচিত। তা সত্ত্বেও এই তীব্র অভিঘাত তাঁর সামাজিক উপস্থিতির।

কোথায় গিয়ে মোটামুটি, ভাল এবং খুব ভালর তফাত হয়ে যায়? তফাত হয়ে যায় পরিশ্রম, সংকল্প, শৃঙ্খলা, অধ্যবসায়, অনুশীলন আর সাফল্যের জন্য গনগনে এক খিদেতে। এক যুগ আগের বিরাট কোহলির সঙ্গে যা এক যুগ পরের বিরাট কোহলির তফাত করে দিচ্ছে। ১২ বছর আগের এক টেবো টেবো গালের তরুণের পাশাপাশি এখনকার দৃঢ়সংবদ্ধ চোয়াল, হনুর হাড় ঠেলে-ওঠা মুখ (তাঁর মুখের অমন চোখা গড়নের জন্যই সম্ভবত চোখ দুটোও কোটর থেকে ঠেলে বেরিয়ে আসে। আরও বড়, আরও তীক্ষ্ণ, আরও জ্বলজ্বলে দেখায় শিরস্ত্রাণের নীচে) এবং চাবুকের মতো হিলহিলে চেহারার যুবককে পাশাপাশি রাখলে যা বুঝতে পারি। সেই তরুণের মধ্যে পরিশ্রমের সঙ্গে খানিক বয়ে যাওয়ার উপাদান ছিল। খানিক চাতুরি এবং চালিয়াতিও ছিল। খানিক স্ট্রিট স্মার্টনেস। খানিক স্টেজে মেরে দেওয়ার বাসনা। রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলতে কলকাতায় এসে সারা রাত পার্টি করেছেন। পর দিন ইডেনে ম্যাচ-জেতানো ইনিংস খেলেছেন (দিল্লি দলে তাঁর তৎকালীন সতীর্থ ইশান্ত শর্মা বিস্ময়াবিষ্ট গলায় তেমনই বলেছেন)।

কিন্তু সে সব ছেড়েছুড়ে গত ১২ বছরে পরম যত্নে এক সৌধ নির্মাণ করেছেন বিরাট কোহলি। সেরিব্রাল স্ট্রোকে বাবার মৃত্যুর পর মরদেহ বাড়িতে রেখে এসে ফিরোজ শাহ কোটলায় তাঁর ম্যাচ-বাঁচানো ইনিংস খেলে দিনের শেষে অন্ত্যেষ্টিতে যোগ দিতে যাওয়া বা বিদেশ থেকে আনীত পানীয় জল ছাড়া সাধারণ জল না-খাওয়া বা প্রচণ্ড খিদের মুখে গভীর রাতে হোটেলের বিছানায় বেডকভার চিবোনোর কাহিনি (এটা কতটা সত্যি জানি না) ভারতীয় ক্রিকেটের লোকগাথায় ঢুকে গিয়েছে।

কিন্তু কী জানেন? লোকগাথাও নায়ক খুঁজে ফেরে। নায়ক না পেলে রূপকথা রচিত হয় না। আধুনিক রাজকুমার রূপকথার মধ্যে জন্ম নেয় না। সে নিজস্ব রূপকথা তৈরি করে। রাজকুমার যখন রাজা হয়ে উঠতে থাকে তখন তাকেই ঘিরে তৈরি হয় রূপকথা। লোকগাথা। বীরগাথা। কাহিনি। আখ্যান।

কিন্তু সেই আখ্যান আপনাকে ঘিরে রচিত হবে কি না, তা আপনাকেই ঠিক করতে হবে। নিজের মধ্যে সেই কঠোর একমুখিতা খুঁজতে হবে পরশপাথরের মতো। বিরাট কোহলির সঙ্গে অন্যদের যেখানে তফাত হয়ে গেল। স্টার স্পোর্টসে তাঁর টুকরো টুকরো সাক্ষাৎকার দেখছিলাম। যেখানে তিনি বলছিলেন, ‘‘২০১৪ সালে এক দিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখে মনে হল, নাহ্! এটা কোনও আন্তর্জাতিক অ্যাথলিটের চেহারা হতে পারে না! সেই শুরু।’’

কিন্তু শুরু তো অনেকেই করে। শেষ করে তার চেয়েও দ্রুত। বিরাট কোহলির নিজেকে ঘষামাজা করার শেষ হয় না। তাঁর দৈনিক খাবারের মধ্যে ৯০ শতাংশ সেদ্ধ বা ‘স্টিমড’। তাঁর জীবনে কোনও ‘চিট ডে’ (কড়া ডায়েটে থাকাকালীন সপ্তাহের একটা দিন নিজেকে লাই দেওয়া। যা খুশি খেয়ে প্রশ্রয় দেওয়া) নেই। মধ্য তিরিশের যে কোনও পঞ্জাবি যুবকের কাছে ‘জাতীয় খাদ্য’ হল ছোলে-ভাটুরে এবং কচকচে তেলে ডোবানো আচার। বিরাট কোহলি তাঁর খাদ্যতালিকা থেকে সেগুলো ছেঁটে ফেলেছেন বললে তাঁর প্রতি খুব সুবিচার হবে না। বলতে হবে গ্যালারি পার করে জীবনের মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। পুরোপুরি নিরামিশাষী হয়ে গিয়েছেন। শরীরে ভিটামিন, প্রোটিন এবং জলের পরিমাণ ঠিকঠাক রাখা তাঁর রোজের রুটিনের মধ্যে পড়ে।

বিরাট কোহলি যদি তাঁর কেরিয়ারে আর একটি রানও না-করেন, তা-ও তাঁর সংকল্প, পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ইতিহাস আমাদের মতো লেসার মর্টালদের যুগে যুগে ঠেলা মেরে যাবে। বলবে, প্রতিভা হওয়ার প্রয়োজন নেই। শ্রমিক হও।

বিরাট কোহলির রূপান্তর দেখতে দেখতে কিছু দিন আগে নেটফ্লিক্সে অস্কারজয়ী পরিচালক ফিশার স্টিভেন্সের বানানো ‘বেকহ্যাম’ সিরিজ়টার কথা মনে পড়ছিল। একেবারেই কাকতালীয়। কিন্তু কী আশ্চর্য মিল! ডেভিড বেকহ্যামের মতোই বিরাট কোহলির জীবনও সর্বদা আতশকাচের তলায়। প্রতিমুহূর্তে তাঁদের জীবন এবং যাপন মেপেছেন এবং মাপছেন দুনিয়াজোড়া সিধুজ্যাঠারা। বেকহ্যামের মতোই কোহলির ঘাড়েও সারা দেশের প্রত্যাশার চাপ। যাতে একটু বেচাল হলে আবেগতাড়িত ভক্তেরা সব দানবে পরিণত হবে। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ম্যাচে ১০ মিনিট গড়াতে না গড়াতে মুহূর্তের বিচলনে একটা বোকা ফাউল করে লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল বেকহ্যামকে। ম্যাচটা ইংল্যান্ড হারে। জাতীয় বীরকে ছিঁড়ে খেয়েছিল দেশজ জনতা। ফেরার সময় বিমানবন্দরে তাঁর গায়ে থুতু দেওয়া হয়েছিল। কোহলি যখন রান পাচ্ছেন না, অফস্টাম্পের বাইরে ‘করিডর অফ আনসার্টেনটি’-তে ব্যাট বাড়িয়ে উইকেট দিয়ে আসছেন, তখন এই জনতা তাঁর স্ত্রীকেও কটূক্তি করতে ছাড়েনি! বেকহ্যামের প্রেম এবং বিবাহ স্পাইসগার্ল পপতারকা ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে। যিনি নিজের দাবিতেই খ্যাতনামী। কোহলির জীবনসঙ্গিনী অনুষ্কা শর্মাও তা-ই। যিনি নিজস্ব জ্যোতিতে উজ্জ্বল। ক্রিকেট এবং বলিউডের ককটেল এই উপমহাদেশে সবচেয়ে বেশি ঝাঁঝালো। দিনের পর দিন পেশাগত দায়বদ্ধতা মিটিয়ে এমন এক ‘হাইস্টেক’ সম্পর্ক সামলানোর ঝক্কির কথা ভাবলে মাথা ঘুরতে থাকে।

এবং ডেভিড বেকহ্যামের সঙ্গে কী আশ্চর্য অমিল বিরাট কোহলির!

অমিল সাধনায়। অমিল সংকল্পে। অমিল শৃঙ্খলায়। বেকহ্যামের এক প্রাক্তন সতীর্থ বলছেন, ‘‘ডেভিড সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার পারিশ্রমিক পেত। আর রবিবারের মধ্যে সেটা খরচ করে ফেলত! এই স্পোর্টস কার কিনছে, তো ওই ভয়াবহ দামি জ্যাকেট। যেন আগামিকাল বলে জীবনে কিছু নেই!’’ আর কোহলি বলছেন, ‘‘গাদা গাদা গাড়ি কিনে টাকা ওড়ানোর মানে হয় না। আমাদের তিনটে গাড়ি আছে নিজেদের ব্যবহারের জন্য। আর একটা ছোট গাড়ি আছে বাড়ির অন্যদের ব্যবহারের জন্য।’’ তাঁর মতো সম্পদশালীর পক্ষে কমই তো।

স্ত্রী ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে। ফুটবল প্রতিভা তখন জেনিফার লোপেজ় এবং বিয়ন্সের সঙ্গে ফোটোশুট করছেন। আর কোহলি? সন্তানসম্ভবা (?) স্ত্রীর পাশে থাকতে বিশ্বকাপের মধ্যেও টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে এক দিনের জন্য বাড়ি ঘুরে আসছেন।

অপমানিত হয়েছেন। টেস্ট অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। তার অব্যবহিত পরে ওয়ান ডে-র অধিনায়কত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধ্বস্ত মনে দু’মাসের জন্য হাতের শস্ত্র তুলে রেখেছেন। শান দিয়েছেন মনের অস্ত্রে। তার পরে রাজার মতো ফিরেছেন। এবং দেখেছেন, তাঁর ছেড়ে-যাওয়া রাজ্যপাট তেমনই আছে। নতুন কোনও রাজা আসেনি।

বিরাট কোহলি কি সুপারম্যান?

নাহ্, সুপারম্যান নন। বিরাট কোহলি আপনার-আমার মতোই মানুষ। তফাত একটাই— বিরাট কোহলি সেই মানব, যিনি ঠিক করেছেন, দুনিয়া গোল্লায় গেলে যাক! নিজের লক্ষ্যে পৌঁছেই ছাড়বেন। এই জায়গাটায় বেকহ্যামের সঙ্গে তাঁর মিল। এই জায়গাটায় প্রতিভা এবং পরিশ্রমী নক্ষত্রের মঞ্চে মিলে যান। বেকহ্যাম যেমন বলেন, ‘‘আই ডোন্ট গিভ আপ ইজ়ি! আই ডোন্ট! আমি সহজে হাল ছাড়ি না।’’ কোহলিও তেমন বলেন, ‘‘আপনি শুধু পরিশ্রমটা করে যেতে পারেন। যত দিন আপনি নিজের কাছে সৎ থাকবেন, তত দিন বাইরের কে কী বলল, তাতে কিছু আসে-যায় না। বাইরে থেকে বলা তো খুব সহজ।’’

কারণ বিরাট কোহলি প্রতিভা নন। বিরাট কোহলি জিনিয়াস নন। বিরাট কোহলি পরিশ্রমী। তাই তিনি বীর। প্রতিভা বীর তৈরি করে না। বীর তৈরি করে পরিশ্রম, সংকল্প, শৃঙ্খলা, অধ্যবসায়, অনুশীলন আর সাফল্যের জন্য গনগনে খিদে।

বিরাট কোহলি বীর। সেই বীর, আধুনিক বীরগাথা যাঁর খোঁজে মাথা খুঁড়ে মরে!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy