Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Rohit Sharma

রোহিত ‘গুরুদেব’ শর্মা, শুধু আপনার জন্যই বিশ্বকাপটা জিতুক আপনার এই ভারত!

সব বিষয়ে হুড়ুম-দুড়ুম পছন্দ নয়। তুরীয় থাকতে, রিল্যাক্সড থাকতে, নিরুদ্বেগ থাকতে ভালবাসেন। নিজের ব্যাটিংয়ের মতো। তাড়াহুড়ো নয়। ধীরেসুস্থে। একটু আলগা। একটু অলস। কিন্তু কী নিখুঁত সময়জ্ঞান!

Opinion piece on the world cup final and prospect of Rohit Sharma wining the trophy

ছবি: গেটি ইমেজেস।

অনিন্দ্য জানা
অনিন্দ্য জানা
শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০০
Share: Save:

মিঠে অনুভূতি

উত্তর আধুনিক যুগের ভারতীয় ক্রিকেটার বলে এক্কেবারে মনে হয় না! সিক্স প্যাক-ট্যাক নেই। ট্যাটু নেই। কানে হিরের কুচি নেই। অগোছালো দাড়ি। কে জানে কত দিন ট্রিমারের ছোঁয়া পড়ে না! ছমছমে কোমর নেই। চোখে খুনিয়া ভাব নেই। একটু মোটুসোটু। পাতলা হয়ে আসছে চাঁদির চুল। হেলেদুলে হাঁটেন। মাঠে আপনাকে দেখলে টিম ইন্ডিয়ার স্নেহশীল বড়দার মতো লাগে। যিনি অন্যেরা ভুলচুক করলে নিজের মনে গজগজ করবেন। কিন্তু প্রকাশ্যে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। বোলার বেধড়ক ঠ্যাঙানি খেলেও দৌড়ে গিয়ে পিঠে হাত রাখবেন। সেই জন্যই বোধহয় ভারতীয় ড্রেসিংরুমকেও এখন খুব হ্যাপি-হ্যাপি লাগে। মনে হয় এটা হল সেই টিম, যে গ্রহে অন্যের সাফল্যে বাকিরা খুশি হয়। যে পৃথিবীতে কোনও পারস্পরিক অসূয়া কাজ করে না। এক মহাতারকার সঙ্গে অন্য মহাতারকার ইগোর লড়াই থাকে না। ম্যাচ জেতালে বিরাট কোহলিকে সবচেয়ে আগে গিয়ে কোলে তুলে নেন আপনি। যে দলে ব্যষ্টির চেয়ে সমষ্টি বেশি গুরুত্ব পায়। আপনার নেতৃত্বাধীন এই ভারতীয় দলে আপনার উপস্থিতির মতোই সব সময় একটা মিঠে অনুভূতি কাজ করে। খোলা হাওয়ার মতো।

মাটির কাছাকাছি

কথা বলতে বলতে ঠোঁট বাঁকানোটা কি আপনার মুদ্রাদোষ? যেমন আপনার প্রিয় শব্দ ‘অনেস্টলি’? বাক্য শুরু করতে গিয়ে আপনার বাঁধা লব্জ ‘অনেস্টলি’ এবং ‘ইয়ার’। হতে পারেন মহানক্ষত্র। কিন্তু ডাল-চাওল এখনও আপনার প্রিয়তম খাদ্য। সে বাড়িতে হোক বা ক্রিকেটসফরে। ভাগ্যিস! কারণ, ডাল বস্তুটা পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে পাওয়া যায়। কমে়ডি ছবি দেখতে ভালবাসেন। আর ভালবাসেন সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ছবি দেখতে। হতে পারেন এখন আপনি সারা দেশের ‘গুরুদেব’। কিন্তু এখনও আপনার জীবনের নায়ক জনৈক ‘গুরুনাথ’। আপনার বাবা গুরুনাথ শর্মা। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান আপনি। স্বল্প আয়ের গুরুনাথ কষ্ট করে আপনাকে এবং আপনার ভাইকে বড় করেছেন। জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। আত্মত্যাগ করেছেন। আপনাকে নাগপুরের বাড়িতে বড় করতে পারেননি। আপনার বড় হওয়া মুম্বইয়ে দাদু-দিদা-মামার সংসারে। যাতে মুম্বইয়ের ক্রিকেটদুনিয়ায় আপনি ঈপ্সিত ছাপ ফেলতে পারেন (যেমন আপনার বাল্যকালের কোচ দীনেশ লাড আপনাকে ক্রিকেটশিক্ষা সম্পূর্ণ করানোর জন্য পঠনপাঠনের স্কুলে বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। চার বছর বিনা বেতনে স্কুলে পড়েছেন আপনি। আর চুটিয়ে ক্রিকেট অনুশীলন করেছেন)। তবে আপনার ‘নায়ক’ বিশুদ্ধবাদী এবং ধ্রুপদী টেস্ট ক্রিকেটের ভক্ত। আপনি এক দিনের ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি (এক দিনের ক্রিকেটে তিনটি দ্বিশতরান আছে আপনার। অভাবনীয়!) করলেও খুব উচ্ছ্বাস না-দেখিয়ে গুরুনাথ বলেছেন, ‘‘ঠিকই আছে।’’ কিন্তু আপনি যে দিন দেশের হয়ে প্রথম টেস্ট খেলেছেন, সে দিন দিনের শুরুতে এবং শেষে পুত্রকে ফোন করেছেন। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চেয়েছেন প্রথম দিন টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা।

শান্তিপুরের পথিক

সব বিষয়ে হুড়ুম-দুড়ুম পছন্দ নয়। তুরীয় থাকতে, রিল্যাক্সড থাকতে, নিরুদ্বেগ থাকতে ভালবাসেন। নিজের ব্যাটিংয়ের মতো। তাড়াহুড়ো নয়। ধীরেসুস্থে। একটু আলগা। একটু অলস। কিন্তু কী নিখুঁত সময়জ্ঞান! কী অপরূপ কমনীয়তা! ওই যে ঈষৎ পৃথুল কোমর অনায়াসে ঘুরিয়ে বলের তলায় গিয়ে পুল শটটা মারেন, প্রায় লাস্যের সঙ্গে তুলনীয়। ওই যে স্টেপ আউট করে স্পিনারকে সাইট স্ক্রিনের উপর ফেলেন অবলীলায়, তখনও মনে হয় আদর করে চাপড়েই পাঠালেন। মনে হয় তখনও অস্ফূটে বলছেন, ‘‘আমার কাছে জীবনে শান্তিটাই আসল। শান্তিতে থাকো। শান্তিতে খেলো। শান্তিতে বাঁচো। অন্যকেও শান্তিতে বাঁচতে দাও। এটাই আমার জীবনদর্শন।’’ সেই কারণেই নিজের সর্বকালের প্রিয় ক্রিকেটারের নাম বা কোন ক্রিকেটারের সবচেয়ে বড় ভক্ত বলতে পারেন না (না কি, বলতে চান না)। ওই সব প্যাঁচালো প্রশ্ন করলে ঠোঁটে চিলতে হাসি আর গলায় প্রায় অশ্রুত একটা বিরক্তি এবং অনীহা নিয়ে বলেন, ‘‘আমায় এই প্রশ্ন করে কোনও জবাব পাওয়া যাবে না। আমি এ রকম নই। কোন এক জনের নাম বলব? আর কেনই বা বলব?’’ ঠিকই। আপনি শান্তি চান। কাউকে তোলা বা কাউকে ফেলার ঝুটমুট ঝামেলা আপনার না-পসন্দ।

সত্যি রূপকথা

নিজের ম্যানেজার রীতিকা সাজদেকে যখন জীবনসঙ্গিনী করবেন বলে ঠিক করলেন, তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন ব্রোবোর্ন স্টেডিয়ামের একেবারে মধ্যিখানে। ক্রিকেট পিচের উপর বান্ধবীকে দাঁড় করিয়ে সামনে নতজানু হয়ে বলেছিলেন, ‘‘এটাই আমার অফিস। এখানেই আমি কাজকর্ম করি। এমন এক জনের সঙ্গে কি তুমি তোমার জীবনটা কাটাবে?’’ ক্রিকেট আর জীবনের মিশেলে কী আশ্চর্য মায়াবি!

ভ্রান্তিবিলাস

নিজের বিয়ের আংটি টিম হোটেলে বেমালুম ভুলে ফেলে চলে এসেছিলেন। এয়ারপোর্টে যাওয়ার পথে টিমবাসে আপনার পাশের সিটে বসতে যাচ্ছিলেন উমেশ যাদব। আচমকা তাঁর আঙুলের আংটিতে চোখ পড়ে আপনার। এবং আঁতকে ওঠেন! তত ক্ষণে বাস প্রায় বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছে। ফিরে যাওয়ার উপায় নেই। ট্র্যাফিক ঠেলে যেতে-আসতে উড়ান মিস্ হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। উপায়ান্তর না-দেখে সিনিয়র সতীর্থ হরভজন সিংহের দ্বারস্থ হন। ‘ভাজ্জুপা’ যেন তাঁর পরিচিত হোটেল ম্যানেজারকে ফোনে ধরে আংটিটা এয়ারপোর্টে পৌঁছে দেওয়ানোর বন্দোবস্ত করেন। প্রায় অসাধ্যই সাধন করেছিলেন সর্দার। যত ক্ষণ না আংটি আসছে, আপনি ধুকপুকে বুক নিয়ে বসেছিলেন ভিআইপি লাউঞ্জে। সে কথা উঠলে এখন একচোট হাসেন বটে। যেমন হাসেন হোটেলে পাসপোর্ট ভুলে ফেলে আসার ঘটনার কথা উঠলেও। কিন্তু তখন ধাত ছেড়ে গিয়েছিল!

নিমরাজির রাজত্ব

কোহলি পরবর্তী অধ্যায়ে ভারতের অধিনায়ক হওয়ার ব্যাপারে ভয়ঙ্কর অনিচ্ছা ছিল। তৎকালীন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বার বার বলা সত্ত্বেও রাজি হচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত সৌরভ নাকি বলেন, রাজি থাকুন বা না থাকুন, তিনি আপনার নাম ঘোষণা করে দিচ্ছেন! অতঃপর নিমের পাঁচন গেলার মতো মুখ করে রাজি হন। খানিকটা বাধ্য হয়েই। ধুরন্ধর সৌরভ বুঝেছিলেন, আইপিএলে দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব-দেওয়া আপনিই পারবেন ভারতীয় ড্রেসিংরুমে খোলা হাওয়ার ‘গ্লাসনস্ত’ আনতে। প্লাস রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে আপনার প্রকৃতিগত সাযুজ্যও থাকবে।

শ্রদ্ধার বিগ্রহ

রাহুল দ্রাবিড়কে শ্রদ্ধা করেন মানুষ হিসেবে। ক্রিকেটার দ্রাবিড় আসেন তার পরে। বলেন, ‘‘আমি মনে করি ভাল মানুষ হওয়াটা সবচেয়ে জরুরি। তার পরে কেউ ভাল ক্রিকেটার, ভাল ফুটবলার বা ভাল ডাক্তার। কিন্তু সবচেয়ে আগে ভাল মানুষ হতে হবে। রাহুলভাইকে আমি প্রথমে শ্রদ্ধা করি মানুষ হিসেবে। তার পরে ক্রিকেটার হিসেবে।’’ জানান, ভারতীয় দলের কোচের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক খুব খোলামেলা। সব সময় আপনাদের মধ্যে কথা হতে থাকে। দল নিয়ে, দলের বিভিন্ন সদস্যকে নিয়ে (ইউটিউব সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘উই আর ইন ওপেন রিলেশনশিপ’’)।

গম্ভীরও মানেন

এই সে দিনও গম্ভীর (কেন জানি না, ওঁর কথা শুনলে মনে হয়, সব সময় রেগে রয়েছেন! নিজের পদবিটা কি অতিরিক্ত সিরিয়াসলি নেন? কে জানে বাবা!) স্টার স্পোর্টসে বলছিলেন, ‘‘ভুলে যাবেন না, রোহিত অধিনায়ক হিসেবে পাঁচটা আইপিএল জিতেছে। ফলে ওর অধিনায়কত্ব নিয়ে আমার অন্তত মনে কোনও সংশয় নেই।’’ গম্ভীর নিজে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল জিতেছেন। ফলে তিনি চাপটা বিলক্ষণ জানেন। অধিনায়ক হিসেবে ধোনি-টোনি সকলকে পুল মারার মতো করে গ্যালারিতে উড়িয়ে দেন। সেই গম্ভীর ক্যাপ্টেন হিসেবে কারও এত প্রশংসা করছেন, সচরাচর শোনা যায় না।

***

রোহিত গুরুনাথ শর্মা, ‘বিশ্বকাপ’ শব্দটা শুনলেই আপনি ট্রফিটা চোখের সামনে দেখতে পান। ‘বেস’ থেকে উঠেছে সামান্য তেরছা তিনটে ছোট স্তম্ভ। তার উপরে গোল পৃথিবীর ঝলমলে অবয়ব।

সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আমি আগে কখনও ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতিনি। ওটা জয় করার চার্মটা আলাদা! আফটার অল, ওটাই তো ক্রিকেটের প্রথম আর আসল বিশ্বকাপ। টি২০ বিশ্বকাপ তো অনেক পরে এসেছে। আমার কাছে এখনও ওই ৫০ ওভারের বিশ্বকাপটাই আসল বিশ্বকাপ।’’

টাইমিং, এলিগ্যান্স এবং ছক্কা মারার অলৌকিক দক্ষতা আপনার সহজাত। ভাবতে অবাক লাগে না, যখন দেখি, এই বিশ্বকাপে প্রথম পাওয়ার প্লে-তে আপনি দুদ্দাড়িয়ে বুলডোজ়ার চালিয়ে দুরমুশ করে ফেলছেন বিপক্ষের বোলারদের। বিপজ্জনক খেলতে গিয়ে সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে রেখে আসছেন। কিন্তু সেট করে দিচ্ছেন গোটা ইনিংসের কলার-টিউন। প্রথম থেকেই খেটেখুটে ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজ়িট জমিয়ে রাখছেন। যাতে পরে বিপদে পড়লে সেটা ভাঙিয়ে অনেক দূর যাওয়া যায়। ছোটবেলায় ক্রিকেটশিক্ষার ক্লাসে অন্য অনেকের মতোই আপনাকেও বলা হত, তুলে মারা চলবে না। মাথা সোজা রাখতে হবে। বলের লাইনে যেতে হবে। ব্যাট শরীরের কাছে রাখো। নীচে নীচে, সোজা সোজা খেলো। কিন্তু ভাবতে অবাক লাগে, যখন দেখি যাঁকে তুলে তুলে মারলে একটা সময়ে নেট থেকে বার করে দেওয়া হত এখন তাঁর দখলেই সমস্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ওভার বাউন্ডারি মারা এবং এক ক্যালেন্ডার বছরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড। যিনি রসিকতা করে বলেন, ‘‘ক্রিস গেইল কত লম্বা লম্বা ছক্কা মারে! আমরা তো ছোট ছোট ছয় মারি। আমার মনে হয়, ৭০-৮০ মিটারের ছক্কায় ছ’রান দেওয়া হলে গেইলদের ৯০-১০০ মিটারের ছক্কায় আট রান করে দেওয়া উচিত আইসিসি-র।’’ পেশিশক্তির চেয়ে বেশি নির্ভর করেন অধীত মন্ত্রশক্তির উপর। বলেন, ‘‘আমি মাস্‌লওয়ালা নই। কিন্তু জোরে জোরে মারতে ভাল লাগে।’’

২০০৭ সালের টি২০ বিশ্বকাপজয়ী দল এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিজয়ী দলের সদস্য থেকেছেন। বস্তুত, ২০০৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রতিটি টি২০ বিশ্বকাপের দলে থেকেছেন। কিন্তু ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলে জায়গা পাননি। ১২ বছর পরে সেই আপনি বিশ্বকাপের দরজার কলিং বেলে আঙুল রেখেছেন। তা-ও দলের নেতা হিসেবে। এই চিত্রনাট্যও তো আপনার জন্যই লিখে রেখেছিলেন ক্রিকেটের দেবতা। কোনও দিন ভেবেছিলেন? আপনি আপনার সেই প্রাণখোলা হাসিটা হাসেন, ‘‘তখন টিমে না-থাকাটা খারাপই লেগেছিল। কিন্তু স্পোর্টসের একটা অসাধারণ দিক হল, আপনি যে কোনও সময়ে কামব্যাক করতে পারেন। সেটা অন্য কারও কাছে নয়। নিজের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য। পৃথিবীতে অনেক কিছুই দুঃসাধ্য বলে মনে হয়। কিন্তু নিজের উপর ভরসা রাখতে হয়। যে লড়াই যতই কঠিন হোক, আমি জিতব!’’

আপনি জানেন, কাপ জেতার চাপ আছে। কিন্তু ওই যে, আপনি এখনও ছোটবেলার মতোই, আপনার ব্যাটিংয়ের মতোই— ক্যাজ়ুয়্যাল। বলেন, ‘‘চাপ আছে জানি। কিন্তু সেটা নিয়ে ভেবে বা সেটা নিয়ে কথা বলে লাভ আছে?’’

কিন্তু আপনি, রোহিত ‘গুরুদেব’ শর্মা, আপনি বিলক্ষণ জানেন, আপনার সঙ্গে সারা দেশ ট্রফিটা দেখতে পাচ্ছে— ‘বেস’ থেকে উঠেছে সামান্য তেরছা তিনটে ছোট স্তম্ভ। তার উপরে গোল একটা পৃথিবী। আপনার ভারত ওই পৃথিবীটা জয় না করলে আমাদের শান্তি নেই। আপনারও নেই!

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy