Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

লকেটকে ‘নাচুনি’ বলে কটাক্ষ অনুব্রতের

কয়েক দিন আগে লাভপুরের দাঁড়কা গ্রামে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মী খুনের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।

লাভপুরের দাঁড়কা গ্রামে অনুব্রত মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।

লাভপুরের দাঁড়কা গ্রামে অনুব্রত মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
লাভপুর শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮ ০১:১৮
Share: Save:

কয়েক দিন আগে লাভপুরের দাঁড়কা গ্রামে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মী খুনের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। রবিবার সেই দাঁড়কাতেই ভিড়ে ঠাসা জনসভা করে বিজেপি-র যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর দাবি, পারিবারিক অশান্তির কারণে অত্মহত্যা করেছেন ওই বিজেপি কর্মী। শুধু তাই নয় লকেটের উদ্দেশে কটূকথা বলতেও শোনা যায় অনুব্রতকে।

কিছুদিন আগে তাপস বাগদি নামে দাঁড়কা গ্রামের ওই বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর শুরু হয়। মৃতের বাবা লাভপুর থানায় পাঁচ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের যদিও দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যার কথা রয়েছে। এ জন্য খুনের অভিযোগ গ্রাহ্য হয়নি। দেহ উদ্ধারের পরের দিনই ওই কর্মীর বাড়িতে যান লকেট-সহ বিজেপি নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক আক্রোশে ওই কর্মীকে খুন করা হয়েছে। তাপসের বাড়িতে দাঁড়িয়ে লকেট বলেন, ‘‘ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিয়েও সংশয় রয়েছে। তাই আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’

তারই পাল্টা এ দিন দাঁড়কা স্কুলমাঠে সভা করে তৃণমূল। অনুব্রত ছাড়াও সভায় হাজির ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, দলের জেলা সম্পাদক অভিজিৎ সিংহ প্রমুখ। সভায় হাজার দশেক লোকের ভিড় হয়েছিল।

আরও পড়ুন
‘ওরা কিন্তু ভুল করছে, আমি কাউকে ছেড়ে কথা বলব না’, শাসানি অনুব্রতর

নাম না করে লকেটকে ‘নাচুনি’ বলে কটাক্ষ করে এদিন অনুব্রত বলেন, ‘‘রাজনৈতিক স্বার্থেই বিজেপি আত্মহত্যার ঘটনাকে খুন বলে চালাতে চাইছে। এই গ্রামে ক’দিন আগে ওদের এক নাচুনি এসেছিল। নেচে গেল। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হবে না। পুলিশ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’’

আরও পড়ুন
বরদাস্ত নয় দুর্নীতি, ফের কড়া অনুব্রত

এর প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের কোনও সংস্কৃতি নেই। সেই জন্যই ওদের জেলা সভাপতি এক জন নেত্রী সম্পর্কে এমন অশালীন মন্তব্য করতে পারেন।’’ তাঁর আরও দাবি, বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলের নিশ্চয় ভূমিকা আছে। তাই তো জেলা সভাপতিকে ধামাচাপা দিতে ছুটে যেতে হয়েছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই সব প্রমাণিত হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy