Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
Jalpaiguri Medical College and Hospital

হার্নিয়া অপারেশন করিয়ে জলপাইগুড়ি হাসপাতাল থেকে পালাল যৌন হেনস্থা মামলার আসামি!

পুলিশের একটি সূত্রে খবর, মাস ছয়েক ধরে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিল শিলিগুড়ির বাসিন্দা আলয় বিশ্বাস। নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা মামলার আসামি সে।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৫৩
Share: Save:

পকসো মামলার এক আসামি বন্দি ছিল জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু মঙ্গলবার পুলিশ এবং হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে হাসপাতাল থেকে ওই আসামি পালিয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে জেলা পুলিশ মহলে শুরু হয়েছে তোলপাড়। আলয় বিশ্বাস নামে ৩৫ বছরের বন্দির খোঁজে নানা জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। তবে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন।

পুলিশের একটি সূত্রে খবর, মাস ছয়েক ধরে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিল শিলিগুড়ির বাসিন্দা আলয়। নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা মামলার আসামি সে। তবে কয়েক দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, হার্নিয়া অপারেশন করতে হবে ওই বন্দির। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ভর্তি করানোর পর আসামিকে হাসপাতালের মধ্যে নজরে রাখার জন্য এক নিরাপত্তারক্ষীকে দায়িত্ব দেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার পরেও সবার চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে ওই আসামি।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোর ৪টের সময় থেকে আলয়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। যে শয্যায় ওই রোগীকে রাখা হয়েছিল, তার বিছানাপত্র পরিপাটি ছিল। কিন্তু কী ভাবে এবং কখন ওই আসামি পালিয়ে গেল, সেই উত্তর নেই কারও কাছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মী জানিয়েছেন, ওই রোগী ‘মেল সার্জিক্যাল’ বিভাগে ছিলেন। হার্নিয়া অপারেশন হয়ে গিয়েছিল। তবে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছিল। পাহারায় ছিল পুলিশ। ছিলেন হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মীরাও। তার পরেও কী ভাবে চিকিৎসাধীন ওই বন্দি পালাতে পারল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সংশোধনাগার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু জেল সুপার বিশ্বরূপ বিশ্বাস সরকারি ভাবে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy