আগামী মাসে দু’রাজ্যে ভোট পর্ব মিটলেই ডিজেলের দাম বাজারের হাতে ছাড়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র।
মঙ্গলবার কেন্দ্রের জারি করা এক বিবৃতি অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ভারতে ডিজেলের দর আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বেশি। তাই তা বিক্রি করে ক্ষতি তো হচ্ছেই না, বরং আজ ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে তাতে লিটারে ৩৫ পয়সা লাভ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলি। তাই এই পরিস্থিতিতে অক্টোবরে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট মিটলেই মোদী সরকার ডিজেলের দাম বিনিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটবে বলে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক সূত্রের ইঙ্গিত।
সাধারণত প্রতি মাসের শেষ দিনে ও ১৫ তারিখে পেট্রোল-ডিজেলের নয়া দর হিসাব করে তেল সংস্থাগুলি। ক্ষতি কমাতে ২০১৩-র জানুয়ারি থেকে প্রায় প্রতি মাসেই ডিজেলের দর ৫০ পয়সা বাড়ানোর কথাও ঘোষণা হয়ে আসছে। সেই হিসেবে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পাঁচ বছরে এই প্রথম ডিজেলের দাম কমানোর কথা ঘোষণা হতে পারত। কিন্তু মন্ত্রক সূত্রে দাবি, ঘোষণা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। কারণ, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ডিজেলের দর বাজারের হাতে ছেড়ে দিতে চাইছে কেন্দ্র। এর আগে শেষ বার ডিজেলের দাম লিটারে ২ টাকা কমেছিল ২০০৯-র ২৯ জানুয়ারি।
আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল-পিছু অশোধিত তেলের দাম এখন নেমেছে ১০০ ডলারের নীচে। আবার ২০১৩-র জানুয়ারি থেকে প্রায় প্রতি মাসে ডিজেল লিটারে ৫০ পয়সা করে বাড়ায় এখন এক লিটার ডিজেল বেচে সংস্থাগুলির লাভ হচ্ছে ৩৫ পয়সা। ফলে ডিজেল বিনিয়ন্ত্রণের এটাই উপযুক্ত সময় বলে মনে করছে কেন্দ্র। এ বছর ডিজেলের দামের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ উঠে যাবে বলে সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থ সচিব অরবিন্দ মায়ারাম। অবিলম্বে এই পদক্ষেপ করার পক্ষে সওয়াল করেছেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজনও। তেল মন্ত্রক সূত্রের দাবি, এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য এখন অপেক্ষা মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় ভোট মেটার। যাতে এর দরুন রাজনৈতিক সমালোচনার মুখে না-পড়তে হয় কেন্দ্রকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy