দীর্ঘদিন বাদে ফের ইস্পাত কারখানা গড়তে উদ্যোগী কেন্দ্র। রবিবার দেশ জুড়ে চারটি ইস্পাত কারখানা গড়ার কথা ঘোষণা করলেন ইস্পাতমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। লগ্নি হবে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার কোটি টাকা। বছরে তৈরি হবে ২ কোটি ৪০ লক্ষ টন ইস্পাত। কারখানাগুলি গড়ে উঠবে ওড়িশা, কর্নাটক, ছত্তীসগঢ় ও ঝাড়খণ্ডে।
কেন্দ্রের দাবি, তারা খনি ক্ষেত্রে যে- সংস্কার আনছে, তাতে ইস্পাত কারখানা গড়ার পথও সুগম হবে। কারণ, ভিন্ রাজ্য থেকে আকরিক লোহা আমদানি নিয়ে বাধা কাটতে চলেছে বলে জানান মন্ত্রী। তোমর বলেন, “নিলামে নতুন করে খনি বিক্রি হলে যারা তা কিনবে, তারা পছন্দ মতো ক্রেতাকে আকরিক লোহা বিক্রির স্বাধীনতা পাবে। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের বাধা দেওয়ার এক্তিয়ার থাকবে না।” বর্তমানে যেখানে যেখানে আকরিক লোহার খনি আছে, সেই সব রাজ্য সরকার অন্য রাজ্যে তা সরবরাহ করায় নানা বাধানিষেধ আরোপ করে রেখেছে। ফলে যে-সব রাজ্যে খনি নেই, সেখানে ইস্পাত কারখানা সম্প্রসারণে সমস্যা হচ্ছে। অন্য দিকে, এই সংস্কারের জেরে খনিজ পদার্থ পাওয়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার অধিকারও রাজ্যগুলি পাবে। আগে শুধু কেন্দ্রই তা করতে পারত।
তোমর বলেন, “২০২৫-এর মধ্যে দেশে ৩০ কোটি টন ইস্পাত উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই কারখানা গড়ার এই পরিকল্পনা।” ১৯৭১ সালে স্থাপিত বিশাখাপত্তনম স্টিল প্লান্ট-এর পরে কেন্দ্র আর কোনও ইস্পাত কারখানা গড়েনি।
কারখানা চারটি তৈরির জন্য শীঘ্রই বিশেষ সংস্থা (স্পেশাল পারপাস ভেহিক্ল) গড়তে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে চুক্তি করবে কেন্দ্র। তোমর বলেন, “লগ্নির ব্যাপারে কেন্দ্র, সেল, রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম, এনএমডিসি এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য ছাড়া বেসরকারি সংস্থাকেও সামিল করার পরিকল্পনা আছে।”
এ দিন সেল-এর রাউরকেলা ইস্পাত কারখানা পরিদর্শনে যান তোমর। ১১,৮১২ কোটি টাকা খরচে তা আধুনিকীকরণের কাজ প্রায় শেষ। ফলে উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ লক্ষ টন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy