ফাইল চিত্র।
পণ্য ও পরিষেবা করের (জিএসটি) পাঁচ বছর পূর্তির দিনে পরোক্ষ কর ব্যবস্থাটির সাফল্যের দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। করের এখনকার কাঠামোটির সমালোচনা করে তাকে আরও সরল করা এবং একটি মাত্র হার চালুর দাবি তুলল কংগ্রেস। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিরোধীদের অস্বস্তির কারণ হয়ে রইলেন তাঁদেরই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিন্হা। মনমোহন সিংহের জমানায় যাঁর নেতৃত্বাধীন সংসদীয় স্থায়ী কমিটি প্রায় আড়াই বছর জিএসটি বিল আটকে রেখেছিল। যশবন্ত সেই সময় বিজেপি সাংসদ। আর জিএসটির বিরোধিতা করছেন গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীও।
নির্মলা আজ জানিয়েছেন, জুনে জিএসটি থেকে ১.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা আয় হয়েছে। যা এক বছর আগের তুলনায় ৫৬% বেশি।
অন্য দিকে, কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বক্তব্য, জিএসটিতে ‘জন্মগত ত্রুটি’ রয়েছে। নতুন আইন আনতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হোক। মতামত জানতে চাওয়া হোক অ-বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির অর্থমন্ত্রীদের। তাঁর আরও দাবি, মনমোহন সরকার যে জিএসটি চালু করতে চেয়েছিল তা মোদী সরকারের জিএসটি চেয়ে ভিন্ন। এখনকার জিএসটিতে পাঁচ বছরে ৮৬৯টি বিজ্ঞপ্তি, ১৪৩টি সার্কুলার এবং ৩৮টি নির্দেশিকা জারি করতে হয়েছে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ মনে করিয়ে দেন, অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন প্রণব মুখোপাধ্যায় যে জিএসটি বিল পেশ করেছিলেন, তা সংসদীয় স্থায়ী কমিটি আড়াই বছর আটকে রেখেছিল। রমেশ কারও নাম করেননি। কিন্তু ঘটনা হল, যশবন্তই সে সময় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
চিদম্বরমের অভিযোগ, এক দেশ, এক করের কথা বলে জিএসটিতে এখন ছয় রকমের কর চালু রয়েছে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য পাঁচ বছরের পরেও সেস আদায় করা হবে। কিন্তু রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন্দ্র রাজি নয়। জিএসটি পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সিদ্ধান্তই রাজ্যগুলির উপরে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আইনই তৈরি হয়েছে এমন ভাবে যে কেন্দ্রের সায় ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত সম্ভব নয়।
জিএসটি চালুর সময় মোদী সরকারের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনও আজ বলেছেন, জিএসটি-র ফলে যে এমন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা তৈরি হবে, যাতে কেন্দ্র-রাজ্য আস্থা বিষিয়ে উঠবে, তা আঁচ করা যায়নি। তাঁরও মত, জিএসটি চালুর আগে যে ভাবে বিরোধীশাসিত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে এমপাওয়ার্ড কমিটির প্রধান করা হত, জিএসটি পরিষদেও তেমন কিছু ভাবা উচিত ছিল। তাঁর মতে, প্রথম দিকে পরিষদের বৈঠকে অরুণ জেটলি সকলের মত নিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করতেন বলে সমস্যা বোঝা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy