ট্রাম্পের দাবি ছিল চাপের মুখে পড়ে চিন শুল্ক কমাবে। গাড়ির আমদানি শুল্ক কমানো হবে বলে মঙ্গলবার কথাও দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট চিনফিং। একই সঙ্গে তাঁর তরফে প্রতিশ্রুতি এল সে দেশের চৌহদ্দিতে থাকা বিদেশি সংস্থাগুলির মেধাস্বত্ব সুরক্ষিত রাখার এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই অর্থনীতির দরজা আরও বেশি খুলে দেওয়ার। তবে সংশ্লিষ্ট প্রায় সব মহলেরই প্রশ্ন, শেষমেশ সত্যিই সে পথে হাঁটবে তো তারা? কারণ অর্থনীতি খুলে দেওয়ার কথা বহু দিন ধরেই বলে আসছে চিন। এই সব প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামে চড়া শুল্ক বসানোর জন্য আমেরিকার নামে নালিশও করেছে তারা।
এ দিন অবশ্য চিনফিং-এর ‘উদারতা’র প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর ইঙ্গিত, ‘‘আমরা হাতে হাত মিলিয়ে অনেক দূর এগোতে পারব।’’
বস্তুত, বিভিন্ন চিনা পণ্যে শুল্ক চাপানোর পরে সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের ঘোষণা ছিল, যত দিন ওই দেশ তাদের অনৈতিক বাণিজ্য নীতি থেকে সরে না আসবে এবং মেধাস্বত্বের (পেটেন্ট) নিয়ম মানার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা না দেখাবে, তত দিন লড়াইয়ে ক্ষান্ত দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। তখনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, এ বার বাধ্য হয়েই বৈষম্য ঘোচানোর পথে হেঁটে অবাধ বাণিজ্যের রাস্তায় প্রাচীর সরাবে চিন। যদিও এই ইঙ্গিতে তখন বেজায় চটেছিল চিন।
তবে এ দিন সেই ক্ষোভ দূরে সরিয়ে রাখার ইঙ্গিতই দিয়েছেন শি। কারণ ট্রাম্প যা যা বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন, মোটামুটি সে সবই রয়েছে তাঁর প্রতিশ্রুতির তালিকায়।
চিনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ট্রাম্পের কোপের উল্লেখ না করেও এ দিন শি বলেন, তাঁরা বাণিজ্য উদ্বৃত্ত চান না। বরং আমদানি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ভারসাম্যই তাঁদের লক্ষ্য। শি-র প্রতিশ্রুতি, চিন গাড়িতে লগ্নির পথ খুলে দেবে। অনেকটা কমাবে গাড়ির আমদানি শুল্ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy