Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Gold Price

কেন বাড়ে? কোন শর্তেই বা কমে? কিসের উপর নির্ভর করে সোনার দামের হ্রাসবৃদ্ধি?

সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে টানা কমছিল সোনার দাম। পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করল ৭ সেপ্টেম্বর থেকে।

gold price

সোনার দাম কেন বাড়ে? প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:০০
Share: Save:

সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে টানা কমছিল সোনার দাম। পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করল ৭ সেপ্টেম্বর থেকে। কেনই বা কমছিল সোনার দাম, কেনই বা হঠাৎ বাড়তে শুরু করল? হলুদ ধাতুর দামে হ্রাসবৃদ্ধি হয় কোন শর্তে?

মুদ্রাস্ফীতি: মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সোনার দামের সম্পর্ক সমানুপাতিক। অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে সোনার দাম বৃদ্ধি পায়। মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে বিনিয়োগকারীরা সোনার উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। তাই সোনার চাহিদা বাড়ে। ফলে সোনার দামও বৃদ্ধি পায়।

কূটনৈতিক পরিস্থিতি: কূটনৈতিক পরিস্থিতি সোনার দামের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। রাজনৈতিক অস্থিরতা-সহ বিভিন্ন বিষয় সোনার দাম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, কারণ সোনার চাহিদার তুলনায় জোগান কমে যায়। ভারত সোনা আমদানি করা দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে অবস্থান করে। ৭ অক্টোবর হামাসের ইজ়রায়েল আক্রমণের পর থেকে সোনার দামও বাড়তে সাহায্য করেছে।

inflation and gold price

সোনার চাহিদার উপর নির্ভর করে সোনার দাম। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আমেরিকান ডলারের দাম: সোনা কেনার ক্ষেত্রে অনেক দেশ আমেরিকান ডলারের উপর নির্ভর করে। ডলার শক্তিশালী হলে একই পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে বেশি পরিমাণ সোনা কেনা যায়। তাই ডলারের দাম বাড়লে সোনার দাম কমে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে সোনার দামে টানা পতনের অন্যতম কারণ ছিল ডলার ইনডেক্স অনুযায়ী আমেরিকান ডলার ক্রমশ শক্তিশালী হওয়া এবং আমেরিকার ১০ বছরের বন্ড ইল্ড ১৬ বছরে সবচেয়ে মূল্যবান হওয়া।

বিকল্প বিনিয়োগের মাধ্যম: সোনার ব্যবহার অলঙ্কারের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসাবে। ব্যাঙ্কের সুদ বাড়লে, শেয়ার বাজার শক্তিশালী হলে বিনিয়োগকারীরা বিকল্প বিনিয়োগের মাধ্যম খুঁজে পান, তাই সোনার চাহিদা কমে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক টানা রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখায় আমানতে সুদের হার বাড়িয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। তাই বিনিয়োগকারীরা সোনা ছেড়ে অনেক বেশি করে ঝুঁকছেন বন্ড ইল্ড, মিউচুয়াল ফান্ড, স্থায়ী আমানতে।

প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে ১১-১৫ তারিখ স্বর্ণ ঋণপত্রে প্রতি গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫৯২৩ টাকা। সেই সময় বাজারে সোনার দাম ছিল আরও বেশি। সেই সঙ্গে স্বর্ণ ঋণপত্রে সুদও পাওয়া যায়। তাই বহু মানুষ কাগুজে সোনায় বিনিয়োগ করেন। এর ফলে বাজারে সোনার চাহিদা কমে। তাই সোনার দামও টানা কমছিল।

উৎসবে সোনার চাহিদা বৃদ্ধি: দীপাবলি, ধনতেরসের মতো উৎসবে ভারতীয়দের বড় অংশ সোনা কেনার দিকে ঝোঁকেন। স্বভাবতই সোনার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তাই সোনার দাম বৃদ্ধি পায়। আবার সেই সময় যদি জোগানও কমে যায়। তা হলে সোনা আরও মূল্যবান হয়ে যাবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy