Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

পাচোয়াড়ার খনি থেকে কয়লা তোলায় অনুমোদন, স্বস্তি রাজ্যের

বিদ্যুৎ কর্তাদের একাংশের মতে, নিগমের পুরনো অন্য খনিগুলিতে মজুত কয়লা কমে এসেছে। আর বছর খানেক তা মিলবে।

কেন্দ্রের সায় পেলেই  পাচোয়াড়া (উত্তর) খনি থেকে নতুন করে কয়লা তোলায় বাধা থাকবে না।

কেন্দ্রের সায় পেলেই পাচোয়াড়া (উত্তর) খনি থেকে নতুন করে কয়লা তোলায় বাধা থাকবে না।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:০৩
Share: Save:

রাজ্যের হাতে খনি। কয়লা মজুতও অনেক। তবু উত্তোলন আটকে ছিল পরিবেশ ছাড়পত্রের গেরোয়। দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে সেই পাচোয়াড়া (উত্তর) খনি থেকে নতুন করে কয়লা তোলার জন্য ঝাড়খন্ড সরকারের পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র পেল পশ্চিমবঙ্গ। নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি অনুমতি পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম। এ বার কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রক ও পরিবেশ মন্ত্রকের সায় পেলেই কয়লা তোলায় বাধা থাকবে না। রাজ্য এ বার কেন্দ্রের সঙ্গে ওই বিষয়ে আলোচনা শুরু করবে।

পাচোয়াড়া খনিটি আগে রাজ্যের হাতেই ছিল। ২০১৩ সালে কয়লার তোলার কাজ শুরু হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রের খনি বণ্টন বাতিল হওয়ায় পাচোয়াড়া হাতছাড়া হয়। পরে তা ফিরে পেলেও, পরিবেশ-সহ বেশ কিছু ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে ঝাড়খণ্ড সরকার নতুন করে আবেদন করতে বলে। সেই ছাড়পত্র পেতেই প্রায় বছর দুয়েক লেগে গেল।

বিদ্যুৎ কর্তাদের একাংশের মতে, নিগমের পুরনো অন্য খনিগুলিতে মজুত কয়লা কমে এসেছে। আর বছর খানেক তা মিলবে। পাচোয়াড়ায় সেখানে প্রায় ৪০ কোটি টন কয়লা মজুত। খনিটি থেকে বছরে দেড় কোটি টন করে কয়লা তোলা হলে, ২০-২৫ বছর রাজ্যের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির জ্বালানির জন্য চিন্তা করতে হবে না।

খতিয়ান

• খনিটি অবস্থিত ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলায়, ১,২০০ হেক্টর জমি জুড়ে।
• ১৯৯৩ থেকে ২০১০ পর্যন্ত কেন্দ্রের খনি বণ্টনের মাধ্যমে রাজ্যের হাতে।
• ২০১৩ সালে সেখানে কয়লা তোলা শুরু।
• ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রের প্রায় ২১৮টি খনি-বণ্টন বাতিল। হাতছাড়া হয় পাচোয়াড়াও।
• পরে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়ে তা ফেরত পায় রাজ্য। কিন্তু উত্তোলন ঝুলে থাকে ঝাড়খণ্ডের পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র না থাকায়।
• এ বার তাতেই সায় পড়শি রাজ্যটির।
• বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের পুরনো খনিগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি কয়লা পাচোয়াড়াতেই মজুত। প্রায় ৪০ কোটি টন।

বিদ্যুৎ কর্তাদের আরও যুক্তি, পাচোয়াড়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে রাজ্যের হাতে এখন একক অধিকারে রয়েছে বীরভূমের মহম্মমদবাজার ব্লকের দৈউচা পাচামি নামে খনিটি। পাচোয়াড়ার সঙ্গে সেটি থেকেও কয়লা তোলা শুরু হলে ৫০ বছর রাজ্য নিশ্চিন্ত হবে। কোল ইন্ডিয়ার কয়লার উপর শুধু ভরসা করে বসে থাকতে হবে না।

অন্য বিষয়গুলি:

Mining Pachyara Mine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE