ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার সঙ্গে ‘একতরফা’ বাণিজ্যের সুযোগ নিয়েই নতুন চিন তৈরি হয়েছে বলে দাবি করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানালেন, আরও আগে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এখন সময় এটা বন্ধের।
চিনের বিরুদ্ধে আক্রমণ ধেয়ে এসেছে হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য ও শিল্প নীতি ডিরেক্টর পিটার নাভারোর কাছ থেকেও। তাঁর দাবি, ছ’টি পদ্ধতি মেনে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে মার্কিন ‘রত্ন’ হাতানোর চেষ্টা করছে বেজিং। এর মধ্যে রয়েছে সরাসরি চুরি ও সাইবার হানা, চিনে পা রাখতে আগ্রহী সংস্থাগুলিকে প্রযুক্তি সরবরাহে বাধ্য করা, রফতানি আইন না মানা, কাঁচামাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা, মার্কিন সংস্থা অধিগ্রহণ ও আমেরিকার খোলা অর্থনীতির সুযোগ নেওয়া।
গত সপ্তাহে ৫,০০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে শুল্ক বসাতে সায় দিয়েছেন ট্রাম্প। চিন পাল্টা ৬৫৯টি পণ্যের তালিকা তৈরি করে একই পথে হাঁটার কথা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তার পরেই ট্রাম্পের হুমকি, বেজিং সত্যিই কর বসালে এ বার ২০,০০০ কোটির চিনা পণ্যে চাপবে ১০% শুল্ক। যার মধ্যে থাকবে প্রায় সব চিনা পণ্যই।
সেই পরিপ্রেক্ষিতেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য করে বছরে ৫০,০০০ কোটি ডলার ঘরে তোলে চিন। সেই অর্থেই ‘পুনর্জন্ম’ হয়েছে তাদের। তা আর বরদাস্ত করা হবে না। প্রেসিডেন্ট পদে আসার আগে চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তা রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন নাভারোর।
তাঁর দাবি, চিনকে সময় দেওয়া সত্ত্বেও তারা ব্যবসা ও রফতানির ধরন পাল্টায়নি। প্রথমে বেজিং ও পরে মার্কিন মুলুকে বৈঠক হলেও বাণিজ্য নিয়ে রফাসূত্র মেলেনি। উল্টে এখন চিন চাইছে ‘মেড ইন চায়না ২০২৫’ কর্মসূচির আওতায় বিশ্বের ৭০% উৎপাদনকেই দেশে টেনে আনতে। যা মেনে নেওয়া হবে না।
চিন যদিও আগে জানিয়েছিল, তারা কথার মাধ্যমেই রফা চায়। কিন্তু কেউ শুল্ক বসালে, পাল্টা দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছিল বেজিং। এই অবস্থায় টানাপড়েন কোন দিকে গড়ায়, সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy