Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Jute Mills

কর্মীর অভাব, বস্তা তৈরিতে হোঁচট রাজ্যে

সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, চটবস্তা না-পেয়ে কেন্দ্রকে ফের প্লাস্টিক বস্তা কিনতে হলে, আয়ের সুযোগ হাতছাড়া হবে আবার।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ ০৩:৫২
Share: Save:

রাজ্যের চটকলগুলিতে কর্মীদের বড় অংশই পরিযায়ী। লকডাউনের সময় যাঁরা ফিরে গিয়েছেন বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় নিজেদের আস্তানায়। সূত্রের খবর, এর ফলে রাজ্য প্রশাসন পয়লা জুন থেকে সমস্ত চটকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎপাদন চালুর অনুমতি দিলেও, পুরোদমে কাজ শুরু হয়নি বহু মিলে। জুনের মধ্যে কেন্দ্রকে চটবস্তা পাঠানোর বরাত জোগান দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে দানা বাঁধছে সংশয়। রবি মরসুমের খাদ্যশস্য ভরতে বস্তা পাঠানোর জন্য ওই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে জুট কমিশনারের দফতর।

সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, চটবস্তা না-পেয়ে কেন্দ্রকে ফের প্লাস্টিক বস্তা কিনতে হলে, আয়ের সুযোগ হাতছাড়া হবে আবার। লকডাউনে ব্যবসা বিপুল ধাক্কা খাওয়ার পরে যে সুযোগ কাজে লাগাতে পারত চটকলগুলি। অথচ পরিযায়ী শ্রমিকেরা না-থাকায় উৎপাদনে গতি আনার উপায় নেই। তবে এ নিয়ে কর্মী ইউনিয়নগুলি দুষছে চটকল মালিকদেরই। সিটু সমর্থিত বেঙ্গল চটকল মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহুর অভিযোগ, ‘‘চটকল মালিকেরা ওই শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যবস্থা করছেন না। তাঁরা কাজে আসবেন কী করে!’’

সূত্রের দাবি, চটকলে মেশিনে পাটের সুতো পাকানো (স্পিনার) এবং সুতো থেকে চটের কাপড় বোনার জন্য তাঁতি (উইভার) হিসেবে দক্ষ, অভিজ্ঞ শ্রমিকদের অনেকেই নেই। রাজ্যের চটকল মালিকদের একাংশ-ও তা মানছেন। বলছেন, এই কারণে অন্যদেরও পুরোদমে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। বস্তা তৈরিতে ওই স্পিনার, উইভারেরা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।’’ আইএনটিইউসি সমর্থিত ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব জুট ওয়াকার্স-এর সাধারণ সম্পাদক গণেশ সরকারের দাবি, তাই মার খাচ্ছে বস্তার উৎপাদন।

অন্য বিষয়গুলি:

Jute Mills Jute Sacks Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy