শুধু সাধারণ আবাসন প্রকল্প নয়, উপনগরী গড়ে তোলার উপরেই বেশি জোর দিতে চায় রাজ্য। রাজ্যের নগরোন্নয়ন সচিব এবং হিডকোর সিএমডি দেবাশিস সেন জানান, কলকাতা-সহ বিভিন্ন শহরে যে-হারে জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য উপনগরী গড়ে তোলা বিশেষ জরুরি। পাশাপাশি, তিনি বলেন, কোনও উপনগরীতে যদি আবাসনের ২৫% আর্থিক দিক থেকে দুর্বলদের কাছে নির্দিষ্ট দামে বিক্রির জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়, তা হলে সেই প্রকল্পের ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) ঊর্ধ্বসীমার উপরে ২৫% বেশি রাখার অনুমতি দেবে রাজ্য।
আবাসন শিল্প ও তার সমস্যা নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব কর্পোরেট অ্যাডভাইজর অ্যান্ড এগ্জিকিউটিভ্স আয়োজিত এক সম্মেলনে সম্প্রতি দেবাশিসবাবু বলেন, নিউটাউনে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে জোর দিয়ে এই উপনগরীকে ‘সবুজ শহর’ করে তোলার ব্যাপারেও তাঁরা এ বার উদ্যোগী হবেন।
এ দিকে সম্প্রতি আবাসন শিল্পের কর হিসাব করার ব্যাপারে কম্পিউটেশন অ্যান্ড ডিসক্লোজার স্ট্যান্ডার্ড মেনে নতুন যে-নিয়ম চালু করা হয়েছে, তা বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গে আবাসন নির্মাতাদের সংগঠন ক্রেডাই বেঙ্গলের সভাপতি সুশীল কুমার মোহতা। তিনি বলেন, আগে প্রকল্প শেষ হওয়ার পরে তা থেকে আয়ের ভিত্তিতে কর ধার্য করা হত। নতুন নিয়মে প্রকল্প আংশিক শেষ হওয়ার পরেই কর আদায় করা হচ্ছে। তা ছাড়া কোনও প্রোমোটার যখন প্রকল্প গড়ার জন্য জমির মালিকের সঙ্গে চুক্তি সই করেন, তখনই তাঁকে পরিষেবা কর দিতে হয়। অথচ ওই পর্যায়ে কোনও পরিষেবা দেওয়ার প্রশ্ন নেই। এই সব বিষয় নির্মাতাদের কাছে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন মোহতা।
চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সংস্থা কে এন জৈনের পার্টনার জিতেন্দ্র জৈনের অভিযোগ, লিজ রেন্টাল সম্পত্তির ক্ষেত্রে আইনটি পরিষ্কার নয়। ওই ধরনের সম্পত্তি লেনদেনের ক্ষেত্রে ১৫% হারে পরিষেবা কর আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু একই ধরনের সম্পত্তি যদি মালিকানার ভিত্তিতে কেনা হয়, তা হলে ওই কর দিতে হয় ৫% হারে।
দেশে আবাসন শিল্পের বাজার ২০২০ সালে প্রায় ১৮ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়াবে বলে উল্লেখ করেন সম্মেলনের চেয়ারম্যান ঋষি খাতোর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy