কারও চেহারা মোটাসোটা হলেই যে তাঁর স্বাস্থ্য ভাল, এমনটা বলা যায় না। সেনসেক্স, নিফ্টির অবস্থাও এখন সে রকম। এই মুহূর্তে বেশ উঁচুতে দাঁড়িয়ে দুই সূচক। সর্বকালীন রেকর্ড উচ্চতাও খুব দূরে নয়। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে তপ্ত বাজার ভেতরে ভেতরে তেমন ভাল নেই। কিছুতেই কাটছে না তার দুর্বলতা। কয়েকটি পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখলেই যা স্পষ্ট হয়। যেমন—
• বিএসই-তে নথিবদ্ধ সব শেয়ারের মিলিত বাজারদর (মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন) এক সময়ে পৌঁছেছিল ১৫৬ লক্ষ কোটি টাকায়। সূচক এত উপরে থাকলেও, এখন তা ১৪৭ লক্ষ কোটি।
• গত শুক্রবার সেনসেক্স বেড়েছে ২৫৭ পয়েন্ট। অথচ ১৪৩৬টি শেয়ারের দাম পড়েছে। যেখানে উঠেছে ১১৩৪টির।
• মাঝারি সংস্থা (মিড ক্যাপ) ও ছোট সংস্থার (স্মল ক্যাপ) শেয়ারগুলি এখনও গা-ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি।
এই অবস্থায় কিছুটা আশা জোগাচ্ছে তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেকের উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। এতে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম একটু কমলে সুবিধা হবে ভারতের মতো তেল আমদানিকারী দেশের। যার সদর্থক প্রভাব পড়বে বাজারে।
যদিও দুশ্চিন্তায় রেখেছে বিশ্ব জুড়ে বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তাপ। মার্কিন শুল্কের বদলা নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সে দেশের বিভিন্ন পণ্যে কর চাপিয়েছে। পাল্টা জবাবের হুমকি দিয়েছে চিন, কানাডা, ভারতও।
সুদ কোথায় কত
প্রকল্প মেয়াদ সুদ (শতাংশে)
• ভারত সরকারের ৭ বছর ৭.৭৫
সেভিংস বন্ড ২০১৮
• পিপিএফ ১৫ বছর ৭.৬০
• সিনিয়র সিটিজেন্স ৫ বছর ৮.৩
সেভিংস স্কিম
• প্রধানমন্ত্রী বয়োবন্দনা ১০ বছর ৮.০০
• ডাকঘর মাসিক আয় প্রকল্প ৫ বছর ৭.৩
• ব্যাঙ্ক স্থায়ী আমানত ৩-১০ বছর ৬.৭৫-৭.৭৫
• এনবিএফসি জমা প্রকল্প ৬৬ মাস ৭.৫৫-৭.৭৫
• বেসরকারি সংস্থার বন্ড ৩-১০ বছর ৮.৫-৯.০০
• মিউচুয়াল ফান্ডের এফএমপি ১,০৯৫ দিনের ৮.০০
বেশি (প্রত্যাশিত)
• জাতীয় সঞ্চয়পত্র (এনএসসি) ৫ বছর ৭.৬
• ডাকঘর টাইম ডিপোজিট ৫ বছর ৭.৪
• সুকন্যা সমৃদ্ধি - ৮.১
এরই মধ্যে নতুন ইস্যুর বাজার সরগরম। গত শুক্রবার বন্ধ হয়েছে রেলের উপদেষ্টা সংস্থা রাইটসের শেয়ার ইস্যু। আবেদন জমা পড়েছে প্রয়োজনের তুলনায় ৬৭ গুণ। ছোট লগ্নিকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের ক্ষেত্রে ১৫ গুণ। এই শেয়ার নথিবদ্ধ হলে ভাল প্রিমিয়াম মিলবে বলে আশা। ভাল সাড়া মিলেছে ফাইন অর্গানিক্সের শেয়ার ইস্যুতেও।
আশার কথা, বেড়েছে বন্ডের ইল্ড বা প্রকৃত আয়। সম্প্রতি যা পৌঁছেছে ৮ শতাংশে। বাড়ছে ব্যাঙ্ক সুদ। মনে করা হচ্ছে বাড়তে পারে ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের সুদও। সেটা হলে, কিছুটা স্বস্তি পাবেন সুদ-নির্ভর মানুষেরা।
সুদ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় জনপ্রিয়তা ফিরে পাচ্ছে ফান্ডের ফিক্সড ম্যাচিওরিটি প্ল্যান (এফএমপি)। এতে একটু বড় মেয়াদে আয় হতে পারে প্রায় ৮%। সর্বোচ্চ হারে করদাতাদের জন্য প্রকল্পটি মন্দ নয়। তিন বছর ধরে রাখার পর ভাঙালে যে লাভ হবে, তার উপর মিলবে দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভ ছাড়ের সুবিধা। আছে মূল্যবৃদ্ধি সূচক প্রয়োগের সুযোগও। অনেক ফান্ডই এখন মোটা লগ্নি সংগ্রহ করছে এই ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy