Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
১০ হাজার কোটি ডলার লগ্নির ইঙ্গিত

ভারতই পাখির চোখ, পুঁজিতে বার্তা সৌদির

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই ঘোষণা প্রত্যাশিত। কারণ, তেল-গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধির হারের নিরিখে চিনকে টেক্কা দিয়ে ভারত বিশ্বে দ্রুততম।

বক্তা: সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে। ছবি: রয়টার্স।

বক্তা: সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে। ছবি: রয়টার্স।

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:১৪
Share: Save:

পাকিস্তানের মাটিতে পা রেখে ২,০০০ কোটি ডলার লগ্নির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতে এসে সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের বার্তা, দু’বছরে এ দেশে অন্তত ১০ হাজার কোটি ডলারের লগ্নি সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন তিনি।

তবে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এই ঘোষণা প্রত্যাশিত। কারণ, তেল-গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধির হারের নিরিখে চিনকে টেক্কা দিয়ে ভারত বিশ্বে দ্রুততম। তাই এমন বাজারের দেশে নিজের প্রথম সরকারি সফরে সৌদি যুবরাজ যে এ কথা বলবেন, তা স্বাভাবিক। বিশেষত, যেখানে এ দেশের তেল শোধন, পেট্রোপণ্যে লগ্নির কথা আগেই জানিয়েছে রিয়াধ। স্পষ্ট বলেছে, এখানে পেট্রল পাম্প খুলতে তাদের আগ্রহের কথা।

ভারতের বাজারের বড় অংশে ভাগ বসানোই যে পাখির চোখ, সেই ইঙ্গিত দিয়ে সৌদি তেলমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিরও বার্তা, অ্যারামকো বা স্যবিকের মতো সৌদি সংস্থাগুলির লক্ষ্য এ দেশের ঘরে ঘরে পরিচিত হয়ে ওঠা।

আরও পড়ুন: ৪ সপ্তাহের মধ্যে ৪৫৩ কোটি টাকা দেনা না শুধলে জেলেই অনিল

দিনভর

• সৌদি পুঁজির গন্তব্য হিসেবে এক নম্বর পছন্দ ভারতই।
• পরিকল্পনা, দু’বছরে এখানে ১০,০০০ কোটি ডলারেরও বেশি (প্রায় ৭,২১,৯০০ কোটি টাকা) লগ্নির।
• সেই তালিকায় রয়েছে তেল শোধন, পেট্রোকেম প্রকল্প, সার তৈরি, কৃষি, পরিকাঠামো, বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ইত্যাদি। দু’দেশের চুক্তি হয়েছে পর্যটন, আবাসন, পরিকাঠামোয়।
• বিনিয়োগ নিয়ে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ-সহ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে কথা বলছে বিশ্বের বৃহত্তম তেল-গ্যাস সংস্থা সৌদি অ্যারামকো। এ দেশে ব্যবসা বাড়াতে আগ্রহী সৌদি পেট্রোকেম সংস্থা স্যাবিক-ও।


এর আগে

• মহারাষ্ট্রের রত্নগিরিতে ১.৮ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগে দেশের বৃহত্তম তেল শোধনাগার ও পেট্রো-রসায়ন কেন্দ্র গড়তে চায় কেন্দ্র। সেখানেই ৫০% অংশীদারি নিতে প্রাথমিক চুক্তি করেছে সৌদি অ্যারামকো। আগ্রহী পেট্রল পাম্প খুলতেও।

তবে এই লগ্নি-আগ্রহ শুধু তেল, পেট্রোপণ্যে আটকে থাকেনি। ছড়িয়েছে কৃষি, পরিকাঠামো ইত্যাদিতেও। ফালি বলেন, ভারতের বাজার খুলে দেওয়া নিয়ে তাঁদের উৎসাহের কথা। তাঁর দাবি, ‘‘তেল সৌদি ও ভারতের মধ্যে সেতু ঠিকই। (তবে)...আমরা শুধু বিক্রেতা বা ক্রেতা নই। লগ্নিকারী।’’ এ দিন টিসিএস, উইপ্রো, গ্লেনমার্ক-সহ ১৫টি ভারতীয় সংস্থাও সৌদিতে লগ্নি চুক্তি করেছে।

আরও পড়ুন: সেল-চিঠিতে ‘বিভ্রান্তি’ এএসপিতে

অন্য বিষয়গুলি:

Saudi Arabia Economy Finance
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE