মঙ্গলবার ডলারের নিরিখে সর্বনিম্ন হল টাকার দর।
বাণিজ্য যুদ্ধের অভিঘাতে মঙ্গলবার আরও পড়ল ভারতের শেয়ার বাজার। ২৯৫ পয়েন্ট পড়ে সূচক দাঁড়াল ৩৭,২৯০.৬৭ পয়েন্টে। ২ অগস্টের পরে যা সর্বনিম্ন। ডলারের নিরিখে সর্বনিম্ন হল টাকার দর।
মঙ্গলবার আরও ২০,০০০ ডলারের চিনা পণ্যের উপরে ১০% আমদানি শুল্ক কার্যকর করার নির্দেশ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে যা বেড়ে হবে ২৫%। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাঘাত চিনের। ৬,০০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যের উপরে আমদানি শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করল বেজিং। তাদের শুল্কের অঙ্ক ৫% থেকে ১০%। দুই তরফের শুল্কই ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
দুই ‘মহারথী’র বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে ভারতের অর্থনীতিতে। ডলারের সাপেক্ষে টাকা নেমেছে আরও তলানিতে। দিনের শেষে ৪৭ পয়সা বেড়ে ১ ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৭২.৯৮ টাকা।
প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারেও। আশঙ্কার জেরে লগ্নিকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির ধুম পড়ায় দিনের এক সময় তা নেমে গিয়েছিল ৩৭,২৪২ পয়েন্টে। শেষে অবশ্য তার থেকে একটু ওঠে। বিএসই-তে গত দু’দিনে সূচকের পতনে লগ্নিকারীরা প্রায় ২.৭২ লক্ষ কোটি টাকা খুইয়েছেন। এ দিন নিফ্টিও পড়েছে ৯৮ পয়েন্ট। দাঁড়িয়েছে ১১,২৭৮.৯০ অঙ্কে।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধিও অব্যাহত। এ দিন সেই দাম ১.১৪ ডলার বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৭৯.১৯ টাকায় পৌঁছয়। মেট্রো শহরগুলির মধ্যে মুম্বইয়ে পেট্রলের দাম লিটার পিছু ৮৯.৫৪ টাকায় পৌঁছেছে। যদিও আজ, বুধবার কলকাতায় তেলের দাম একই থাকছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল।
অর্থ মন্ত্রকের এক কর্তার অবশ্য দাবি, ডলারের দাম এখন ৭২-৭৩ টাকার মধ্যে থাকলে তা দেশের অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে তাঁর মতে, ইরান থেকে তেল কেনায় আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে তেলের দাম বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে টাকার দামে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের মুখপাত্র জেরি রাইসের সতর্কবার্তা, টাকা আরও পড়লে আমদানির খরচ বাড়বে। তাতে বাড়তে পারে মূল্যবৃদ্ধি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy