বিপদ কাটেনি অর্থনীতির। শিল্পোৎপাদন ঢিমেতালে এগোনোর পাশাপাশি অস্বস্তি বাড়িয়ে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিও যে আবার বাড়ার মুখ নিচ্ছে, বৃহস্পতিবার তা জানিয়েছে সরকারি পরিসংখ্যান। আর, অর্থনীতির এই অশনি সঙ্কেতে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় ডিসেম্বরে ঋণনীতি ফিরে দেখতে বসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ফের সুদ কমানোর পথে হাঁটবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান শিল্পমহলও।
সেপ্টেম্বরে কল- কারখানার উৎপাদন বেড়েছে ৩.৬% হারে, যা অগস্টের ৬.২ শতাংশের তুলনায় অনেকটাই কম। মে মাসে ২.৫% হারে বাড়ার পরে এই হার আর এত নীচে নামেনি। তবে ১০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তা ছিল ২.৬%। পাশাপাশি, খুচরো বাজার দর অক্টোবরে ছুঁয়েছে ৫%, যা গত চার মাসে সর্বোচ্চ। সেপ্টেম্বরে হার ছিল ৪.৪১%, গত বছরের অক্টোবরে ৪.৬২%। অক্টোবরের জন্য রয়টার্সের সমীক্ষার থেকেও বেশি হারে বেড়েছে মূল্যবৃদ্ধি। তাতে পূর্বাভাস ছিল ৪.৮২%। এর মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি আরও বেশি, ৫.২৫%।
অক্টোবরে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি বাড়ার জন্য মূলত ডালের চড়া দরকেই দায়ী করা হয়েছে সরকারি পরিসংখ্যানে। ডালের দাম বেড়েছে ৪২.২০%, খাদ্য ও পানীয়ের দর ৫.৩৪%।
শিল্পমহলের মতে, দু’টি পরিসংখ্যানেই ইঙ্গিত, অর্থনীতিকে এগিয়ে যেতে হলে অনেক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে। সিাইআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘মূল্যবৃদ্ধি রুখতে কেন্দ্র যে-সব ব্যবস্থা নিচ্ছে, আশা করা যায় তার জেরে নামবে বাজার দর। তবে এ জন্য অর্থনীতির সার্বিক উন্নয়ন জরুরি।’’ অ্যাসোচ্যামের সেক্রেটারি জেনারেল ডিএস রাওয়াত বলেন, ‘‘পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে এমন ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে এই ভয় তৈরি না-হয় যে, মূল্যবৃদ্ধির জমানা ফিরে আসছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy