সামনেই ধনতেরস আর দীপাবলি। তার ঠিক আগে কেন্দ্রের ঘোষণায় কিছুটা অন্তত স্বস্তি পেল স্বর্ণশিল্প। শুক্রবার জিএসটি-র পরিচালন পর্ষদের বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং রাজস্ব দফতরের সচিব হাসমুখ আঢিয়া জানালেন, ৫০ হাজার টাকার বেশি গয়না কেনা সন্দেহজনক মনে হলে, তা জানানোর দায় গয়না ব্যবসায়ীদের থাকছে না। সোনার গয়না কেনায় ওই অঙ্কের বেশি লেনদেনে আধার-সহ কেওয়াইসি জমার কড়াকড়িও এখন শিথিল করে দিল কেন্দ্র। তবে বহাল থাকছে দু’লক্ষ টাকার বেশি গয়না কেনার ক্ষেত্রে প্যান জমা দেওয়ার নিয়ম।
কেন্দ্রের দাবি, কালো টাকা এবং বেআইনি লেনদেন রুখতে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল যে, ৫০ হাজারের বেশি টাকার গয়না কেনা সন্দেহজনক মনে হলে, তা জানানোর দায় বর্তাবে বিক্রেতার উপর। ঠিক যে ভাবে তা জানানোর দায় থাকে ব্যাঙ্কগুলির। কিন্তু এতে বাজারে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। স্বর্ণব্যবসায়ীদের একাংশের ধারণা হয়েছে যে, আসলে তাঁদেরই সন্দেহের আতসকাচের তলায় রাখছে কেন্দ্র। এই ভুল বার্তা যাতে আর না-ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতেই ওই নির্দেশিকা আপাতত ফিরিয়ে নিচ্ছে কেন্দ্র। পরে সব দিক বিবেচনা করে প্রয়োজনে নতুন নির্দেশিকা জারি হতে পারে।
এ দিন এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দে বলেন, ‘‘সামনেই ধনতেরস। উৎসবের সেই ভরা মরসুমের আগে এই ঘোষণা আমাদের কাছে বড় স্বস্তি।’’ তাঁর দাবি, ৫০ হাজারের বেশি টাকার গয়না কেনা-বেচায় কেন্দ্র ওই নিয়ম চালুর পরে বাজারে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। জটিলতা তৈরি হয়েছিল কেওয়াইসি জমা নিয়ে। তার প্রভাব পড়ছিল বিক্রিবাটায়। তাই এ দিনের ঘোষণায় কিছুটা আশ্বস্ত তাঁরা। এই ঘোষণার জন্য এ দিন কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy