আইডিবিআই ব্যাঙ্ককে বেসরকারি মালিকের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন সেই ব্যাঙ্কের কর্মীরা। এ বার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কয়েক জন প্রাক্তন কর্মী লোকসভার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। অভিযোগ করলেন কর্মস্থলের ‘বিষাক্ত’ পরিবেশ নিয়ে।
বেসরকারি ব্যাঙ্কটির প্রাক্তন কর্মীরা রাহুলের সঙ্গে দেখা করেন শুক্রবার। তার পরে শনিবার এক্স-এ প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি অভিযোগ করেন, ‘বন্ধু শিল্পপতিদের’ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া এবং নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলির ‘অব্যবস্থার’ ফলে ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র সমস্যায় পড়েছে। যার সম্পূর্ণ চাপ গিয়ে পড়ছে নিচুতলার কর্মীদের উপরে। খারাপ হচ্ছে কাজের পরিবেশ। রাহুলের বক্তব্য, ‘‘বিজেপি নিয়ন্ত্রিত সরকার তার বিত্তশালী বন্ধুদের ১৬ লক্ষ টাকার ঋণ হিসাবের খাতা থেকে মুছে দিয়েছে। এই আর্থিক অব্যবস্থার দাম চোকাতে হচ্ছে কর্মীদের।’’ রাহুল জানান, প্রতিনিধি দলটির কাছে তিনি কর্মস্থালের হয়রানি, জোর করে বদলি, অনৈতিক ঋণ চিহ্নিত করলে কর্মীদের উপরে তার বিরূপ প্রভাব এবং বরখাস্ত করার বিভিন্ন ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। জেনেছেন দু’জন কর্মীর আত্মহত্যার ঘটনাও। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্মীদের পাশে থাকার। বেসরকারি ব্যাঙ্কটি অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি।
গত বৃহস্পতিবার রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া আইডিবিআই এমপ্লয়িজ় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ গোবিন্দস্বামী বলেন, ‘‘২০০৩ সালে এনডিএ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আইডিবিআই ব্যাঙ্কে কেন্দ্রের মালিকানা ৫১ শতাংশের নীচে নামানো হবে না। কিন্তু এখনকার সরকার তা ভঙ্গ করছে। রাহুল আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি সংসদে তুলবেন।’’ অল ইন্ডিয়া আইডিবিআই ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জগন্নাথ রায় মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা জানতে পেরেছি, আইডিবিআই ব্যাঙ্ককে কেন্দ্র দুবাইয়ের একটি সংস্থার কাছে বিক্রির পরিকল্পনা করেছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)