রাহুল গাঁধী।
করোনা রুখতে লকডাউনের দাওয়াইকে ‘দৈত্য রাজের দ্বিতীয় অধ্যায়’ (ডেমন ২.০) বলে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। তাঁর অভিযোগ, এই সঙ্কটের সময়েও দরিদ্র ও ছোট-মাঝারি শিল্পকে নগদ না-জুগিয়ে পরিকল্পিত ভাবে অর্থনীতিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্র। ‘টাকা না-দেওয়া’ ত্রাণ প্রকল্প আর লকডাউনে কল-কারখানার ঝাঁপ বন্ধ হওয়া নিয়ে সরকারকে বিঁধলেন এসপি নেতা অখিলেশ যাদব এবং বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীও।
ক্ষতবিক্ষত অর্থনীতিতে মলম লাগাতে আগে যে দরিদ্র, দুর্দশায় পড়া পরিযায়ী শ্রমিক, কাজ হারানো কর্মী, ব্যবসা বসে যাওয়া দোকানিদের ক’মাস হাতে নগদ জোগানো উচিত, তা বার বার বলেছেন বহু অর্থনীতিবিদ। দরিদ্রদের হাতে মাসে ৭৫০০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু ২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজ ঘোষণা করা কেন্দ্র তা কানে তোলেনি।
অথচ অর্থনীতিবিদদের বড় অংশের মতে, ওই টাকা না-দিলে, টিকে থাকা কঠিন হবে দরিদ্রদের পক্ষে। পাকাপাকি ভাবে ঝাঁপ বন্ধ হবে বহু ছোট-মাঝারি সংস্থার। কাজ যাবে বহু কর্মীর। ধাক্কা খাবে চাহিদা। সেই সঙ্গে সম্ভবত অর্থনীতিও। কিন্তু কেন্দ্র তাতে এখনও কার্যত কান না-দেওয়ায় রাহুলের অভিযোগ, পরিকল্পিত ভাবেই অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে সরকার।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই তো বটেই, নোটবন্দির পরে তাকে বড় আর্থিক সংস্কার হিসেবেও তুলে ধরেছিল মোদী সরকার। কিন্তু পরে তা অর্থনীতির চাকা বসিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। দ্বিতীয় দফায় করোনা রুখতে ঘরবন্দি শুরুতে কার্যকর বলে তুলে ধরলেও, তা উঠতে শুরু করায় দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে। অর্থনীতি বিধ্বস্ত। অনেকের মতে, ‘ডেমন ২.০’ শব্দবন্ধে নোটবন্দি ও দ্বিতীয় দফার মোদী সরকারের বর্ষপূর্তিই মনে করিয়েছেন রাহুল। কেউ আবার বলছেন, এর মধ্যে দিয়ে বিজেপির আক্রমণও ফেরাচ্ছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy