নিজেদের টুজি মোবাইল পরিষেবায় ঝাঁপ বন্ধের কথা গত সপ্তাহেই ঘোষণা করেছে রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স (আর-কম)। তার আগে বেশ শেষ বেলায় ভেস্তে গিয়েছে এয়ারসেলের সঙ্গে তাদের সংযুক্তির সম্ভাবনা। শেষ পর্যন্ত এ বার সংস্থার সিংহভাগ মালিকানা ঋণদাতা সংস্থাগুলির হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা জানাল বিপুল ধারে জেরবার আর-কম।
সোমবার এক বিবৃতিতে অনিল অম্বানীর মোবাইল পরিষেবা সংস্থাটির দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ মেনে ঋণ ঢেলে সাজতেই এই সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে মোট ৪৫ হাজার কোটি ধারের বোঝা চেপে রয়েছে সংস্থাটির ঘাড়ে। তার মধ্যে ৭,০০০ কোটিকে সংস্থার ৫১% শেয়ারে বদলে দেওয়ার কথা বলেছে তারা। এবং সেই অংশীদারি তারা দিতে চায় স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলিকে। সে ক্ষেত্রে সংস্থার নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ার কথা তাদের হাতেই। আর প্রোমোটারদের হাতে অংশীদারি থাকবে ২৬% মতো। যা এখনকার প্রায় অর্ধেক।
দেওয়ালে পিঠ
ঘাড়ে ৪৫ হাজার কোটির ধার
সংযুক্তি প্রস্তাব ভেস্তে গিয়েছে এয়ারসেলের সঙ্গে
টাওয়ার ব্যবসা বিক্রি করা যায়নি ব্রুকফিল্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে
হালে ঘোষণা হয়েছে টুজি পরিষেবায় ঝাঁপ ফেলার
নতুন প্রস্তাব
৭,০০০ কোটির ধার শোধ করতে ঋণদাতাদের হাতে সংস্থার ৫১% শেয়ার। সে ক্ষেত্রে মালিকানা তাদেরই। প্রোমোটারদের হাতে ২৬%
১৭ হাজার কোটি শোধ টাওয়ার, স্পেকট্রামের মতো সম্পদ বেচে। আগ্রহী রিলায়্যান্স জিও-ও
১০ হাজার কোটি আসবে জমি-বাড়ি বিক্রি ও বাণিজ্যিক নির্মাণ থেকে
অনেকের প্রশ্ন, এ দিন শেয়ার বাজার বন্ধের সময়ের দর অনুযায়ী আর-কমের মোট শেয়ারমূল্য ৩,৯০০ কোটি টাকা। তা হলে তার ৫১% দিয়ে কী ভাবে ৭,০০০ কোটি ধার মেটানোর কথা ভাবছে সংস্থাটি? আর -কমের দাবি, এই ঋণ ঢেলে সাজার খবরে আগামী দিনে সংস্থার শেয়ার মূল্য বাড়বে বলে আশাবাদী তারা।
একই সঙ্গে গর্গের ইঙ্গিত, পরে মোবাইল টাওয়ার, স্পেকট্রাম, ব্রডব্যান্ড পরিষেবার ফাইবার কেব্ল ইত্যাদি সম্পদ কিনতে আগ্রহী হতে পারে মুকেশ অম্বানীর সংস্থা রিলায়্যান্স জিও। ইতিমধ্যেই চুক্তির ভিত্তিতে নিজেদের পরিষেবার জন্য ওই সব সম্পদ ব্যবহার করছে যারা।
ধারের বাকি টাকা মেটানোর পরিকল্পনাও এ দিন পেশ করেছে আর-কম। জানিয়েছে, এক-এক করে বিভিন্ন সম্পদ বেচে ১৭ হাজার কোটি শোধ দিতে চায় তারা। গর্গের দাবি, তাদের হাতে সম্পদ রয়েছে অন্তত ৩০ হাজার কোটির। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জমি-বাড়ি বিক্রি এবং বাণিজ্যিক নির্মাণ মারফত শুধতে চায় ১০ হাজার কোটি। যার মধ্যে রয়েছে ১০০ একরের উপরে সদর দফতর ধীরুভাই অম্বানী নলেজ সেন্টারও।
সংস্থার দাবি, এ ভাবে ঋণ ঢেলে সাজার পরে তাদের ঋণ বাকি থাকবে মাত্র ৬ হাজার কোটির। যা সামলাতে আর হিমসিম খেতে হবে না। বরং ভবিষ্যতে বিভিন্ন সংস্থাকে লাভজনক ভাবে ফোরজি পরিষেবা দেওয়াকেই না কি এখন পাখির চোখ করছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy