Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

একা পথ চলে মুনাফা বাড়াল এক্সাইড লাইফ

একলা চলো নীতি অনুসরণ করে মুনাফা বাড়াল এক্সাইড লাইফ ইনশিওরেন্স। এক বছর আগে ব্যবসার বিদেশি অংশীদার আইএনজি বৈশ্যর সঙ্গে গাঁটছড়া ছিন্ন করে এক্সাইড লাইফ। পুরনো নাম আইএনজি বৈশ্য লাইফ ইনশিওরেন্সের ইতিও সেখানেই। নতুন নাম নিয়ে এক্সাইড লাইফ ইনশিওরেন্স এখন দেশের অগ্রণী ব্যাটারি প্রস্তুতকারক এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজের পুরোদস্তুর শাখা সংস্থা। তার ১০০ শতাংশ শেয়ারই এখন এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজের দখলে।

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৫ ০২:১৯
Share: Save:

একলা চলো নীতি অনুসরণ করে মুনাফা বাড়াল এক্সাইড লাইফ ইনশিওরেন্স। এক বছর আগে ব্যবসার বিদেশি অংশীদার আইএনজি বৈশ্যর সঙ্গে গাঁটছড়া ছিন্ন করে এক্সাইড লাইফ। পুরনো নাম আইএনজি বৈশ্য লাইফ ইনশিওরেন্সের ইতিও সেখানেই। নতুন নাম নিয়ে এক্সাইড লাইফ ইনশিওরেন্স এখন দেশের অগ্রণী ব্যাটারি প্রস্তুতকারক এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজের পুরোদস্তুর শাখা সংস্থা। তার ১০০ শতাংশ শেয়ারই এখন এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজের দখলে।

এক্সাইড লাইফের এমডি ও সিইও ক্ষিতিজ জৈন বলেন, ‘‘একক ভাবে চলে আমরা সংস্থার মুনাফা বাড়িয়েছি। ২০১৪-’১৫ আর্থিক বছরে মুনাফা আগের বারের থেকে ২৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। শুধুমাত্র মুনাফাই নয়, জীবনবিমা ব্যবসার অন্য দিকগুলিতেও আমাদের উন্নতি হয়েছে। যেমন, তহবিলের পরিমাণ আগের বারের থেকে ১,৩১০ কোটি টাকা বেড়ে ২০১৪-’১৫ সালে দাঁড়িয়েছে ৮৮০০ কোটি টাকায়। যে ‘সলভেন্সি রেশিও’ (নিট আয় ও মোট দায়ের অনুপাত) দেখে কোনও জীবনবিমা সংস্থার স্বাস্থ্য বিচার করা হয়, তার হার বেড়ে হয়েছে ২৮৪ শতাংশ।’’

ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে এক্সাইড লাইফ। এত দিন তারা প্রধানত দক্ষিণ ভারতেই ব্যবসা করত। এ বার উত্তর এবং বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন সংস্থা কর্তৃপক্ষ। জৈন জানান, ‘‘গত এক বছরে পূর্বাঞ্চলে আমরা ১০টি নতুন দফতর চালু করেছি। শিলিগুড়ি এবং অসমেও একটি করে দফতর খোলা হবে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জবীনবিমা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেন, পূর্বাঞ্চলের এমন মোট মানুষের ৬২ শতাংশই এখন আমাদের নাম জানেন।’’

দেশে জীবনবিমা ব্যবসা বছরে ১০-১৫% বাড়ছে। এক্সাইড লাইফ তাদের ব্যবসা বছরে তার দ্বিগুণ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে।

নতুন প্রকল্প ছাড়ার ব্যাপারে বলতে গিয়ে জৈন জানান, জুন মাসেই তাঁরা শেয়ার বাজার ভিত্তিক (ইউনিট লিঙ্কড) নতুন একটি প্রকল্প আনার পরিকল্পনা করেছেন। এর জন্য ইতিমধ্যেই বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ-র কাছে আবেদন করা হয়েছে। আরও তিনটি প্রকল্প চলতি আর্থিক বছরে বাজারে ছাড়ার কথা। এগুলি হল: টার্ম প্রকল্প, মেয়াদ শেষে প্রতিশ্রুত আয়ের প্রথাগত (ট্র্যাডিশনাল) প্রকল্প এবং বিভিন্ন শিল্প ও বাণিজ্যিক সংস্থার কর্মীদের জন্য গ্রুপ বিজনেস প্রকল্প।

জৈন জানান, চলতি অর্থবর্ষে তাঁদের নতুন ৬ হাজার এজেন্ট বা অ্যাডভাইজর নিয়োগ করার পরিকল্পনা আছে। বর্তমানে এই সংস্থায় কাজ করছেন ৩০ হাজার এজেন্ট।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE