সোম থেকে শুক্র, টানা পাঁচ দিনে ৩.৭৮% নামল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি। যদিও শুক্রবার তা নেমেছে সামান্যই, মাত্র ১৫.৯৫ পয়েন্ট। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে এত খারাপ সপ্তাহ কাটায়নি এই সূচক। শুক্রবার মাত্র ৪৫ পয়েন্ট পড়েছে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক সেনসেক্সও। তবে মঙ্গলবার থেকে টানা চার দিনে তার পতন ১,০৮০ পয়েন্টের বেশি। ফলে সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে শেয়ার বাজার যে মোটেই ভাল অবস্থায় নেই, সে বিষয়ে একমত বাজার বিশেষজ্ঞেরা। এমনকী অদূর ভবিষ্যতে তা আদৌ কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে। কারণ, ঘরে-বাইরে কোথাওই তেমন আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না তাঁরা।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, গত অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে দেশের শিল্প সংস্থাগুলি হতাশাজনক ফল প্রকাশ করায় দুশ্চিন্তা ছিলই। পাশাপাশি, স্বস্তি কেড়েছে বৃষ্টি কম হওয়ার পূর্বাভাস। কারণ, সে ক্ষেত্রে পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা থাকায় এ বছর সুদ আর না-ও কমানো হতে পারে বলে সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এ দিন অবশ্য সেই দরজা পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন।
শুক্রবার শুরুতে নামলেও, পরে কেরলে বর্ষা নামার খবরে কিছুটা চেগে উঠেছিল সেনসেক্স। কিন্তু তা নেমে যায় গ্রিসে আর্থিক সঙ্কট ঘনীভূত হওয়ায়। জানা যায়, এ দিন আইএমএফের ঋণ মেটানোর কথা থাকলেও, তা মেটায়নি গ্রিস। পরিবর্তে তা চোকানোর জন্য কিছু শর্ত বেঁধেছে তারা। এই খবরে এ দিন এশিয়া, ইউরোপের বেশির ভাগ সূচক নেমেছে।
তবে এ দিনের একমাত্র সুখবর, তেল সরবরাহকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক-এর আগামী ছ’মাসে তেলের উৎপাদন ছাঁটাই না-করার ঘোষণা। এর ফলে বিশ্ব বাজারে তেলের জোগান পর্যাপ্ত থাকায় তার দাম তেমন বাড়ার সম্ভাবনা আপাতত কমই থাকছে। এতে লাভ হবে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল আমদানিকারী ভারতের। কারণ, তাতে রাজকোষ ও চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন ঘাটতি কমবে। সুবিধা পাবে অর্থনীতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy