আগামী সপ্তাহেই সংসদে পেশ হবে নতুন আয়কর বিল। শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট বক্তৃতায় সে কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আয়করের নতুন আইন তৈরি হলে করদাতারা যথেষ্ট সুরাহা পাবেন বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি।
বর্তমানে আয়করের ক্ষেত্রে দেশে দু’টি কাঠামো চালু রয়েছে। একটি পুরনো এবং অপরটি নতুন। গত বছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেটে নতুন কর কাঠামোর ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশানের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা।
এ দিন বাজেট বক্তৃতায় নতুন কর কাঠামোয় করের নয়া স্ল্যাব ঘোষণা করেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী নির্মলা। তিনি জানিয়েছেন, নতুন স্ল্যাবে শূন্য থেকে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে শূন্য রাখা হয়েছে করের পরিমাণ। এর পর চার থেকে আট লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে পাঁচ শতাংশ, আট থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয়ে ১০ শতাংশ এবং ১২ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা আয়ে ১৫ শতাংশ দিতে হবে কর। তবে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে বিভিন্ন ভাবে করে ছাড় দেবে সরকার।
আরও পড়ুন:
এ ছাড়া নতুন স্ল্যাবে ১৬ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ২০ শতাংশ, ২০ থেকে ২৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ২৫ শতাংশ এবং ২৪ লক্ষের উপরে আয়ের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ করের কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এতোদিন পর্যন্ত বার্ষিক তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে দিতে হচ্ছিল না কোনও কর। বছরে আয়ের পরিমাণ তিন থেকে সাত লক্ষ টাকা হলে কর ধার্য হত পাঁচ শতাংশ।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
অন্যদিকে, পুরনো কর কাঠামোর ক্ষেত্রে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে হয় না কোনও কর। এর পর আড়াই লাখ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে আড়াই লাখের উপরে পাঁচ শতাংশ করে ধার্য রয়েছে কর। পাঁচ লক্ষ এক টাকা থেকে ১০ লক্ষ পর্যন্ত করের পরিমাণ ১২,৫০০ টাকা ও ১০ লক্ষের উপরে ২০ শতাংশ রেখেছে সরকার। ১০ লক্ষ এক টাকা থেকে ৫০ লাখ পর্যন্ত কর দিতে হচ্ছে ১ লক্ষ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ও ১০ লাখের উপরে ৩০ শতাংশ। ৫০ লাখের উপরেও একই নিয়মে দিতে হয় কর।
এ দিন বাজেট বক্তৃতার শেষের দিকে নতুন আয়কর বিল প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘এতে নিয়ম অনেক সহজ করা হবে।’’ তবে দু’টি কর কাঠামো রাখা হবে কিনা, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
বাজেটে প্রবীণ নাগরিকদের জন্যও বড় ঘোষণা করেন নির্মলা। ৬০ ঊর্ধ্বদের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশানের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লক্ষ টাকা করেছেন তিনি।