নির্দিষ্ট সময়ে ঘুরে দাঁড়াতে না-পারায়, কেব্ল তৈরির সংস্থা নিকো কর্পোরেশনকে ব্যবসা গোটানোর নির্দেশ দিল জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলটি)। লক্ষ্য, ঋণদাতাদের চাহিদা মেটানো। বুধবার দেউলিয়া আইনের ১৪ নম্বর ধারায় ওই নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনালের কলকাতা বেঞ্চ।
বিআইএফআর ব্যবস্থা উঠে যাওয়ার পরে নিকোই প্রথম এনসিএলটি-তে গিয়েছিল। এ দিন সংস্থার নন্ এগ্জিকিউটিভ চেয়ারম্যান রাজীব কলের দাবি, ঋণদাতারা নিকোকে এনসিএলটি-তে নিয়ে যায়নি। বরং সংস্থা নিজে থেকেই সেখানে গিয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই নির্দেশে আমরা হতবাক। এমন ঘটনা এড়াতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলাম। এর জেরে চাকরি খুইয়ে বিপাকে পড়বেন কর্মীরা।’’ উল্লেখ্য, পশ্চিমঙ্গের শ্যামনগর ও ওডিশার বারিপদায় নিকোর কারখানা রয়েছে। সেখানে কর্মী সংখ্যা প্রায় ৬০০ জন।
নিকো কর্পোরেশনের জন্য নিযুক্ত রেজোলিউশন প্রফেশনাল কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২৭০ দিনের নির্দিষ্ট মেয়াদে পেরিয়ে গিয়েছে। সংস্থা ঘুরে দাঁড় করাতে ম্যানেজমেন্ট যে পরিকল্পনা পেশ করেছিল, তা-ও খারিজ করেছে ঋণদাতারা। ফলে কোনও ভাবেই দেউলিয়া হওয়া আটকানো যায়নি। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের থেকে ১৮৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল নিকো। যার মধ্যে বেশিরভাগটাই এসেছিল স্টেট ব্যাঙ্কের ঘর থেকে। এর আগে ঘুরে দাঁড়াতে ঋণ নেওয়া অর্থের উপরে সুদে ছাড়ের আর্জি জানিয়েছিল সংস্থাটি। তবে আসলের উপর কোনও ছাড় চাওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিপুল অনাদায়ী ঋণ কমাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাতে বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া-সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। সেই মতো ৫ হাজার কোটি টাকার বকেয়া ঋণ থাকা ১২টি অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। যার হাত ধরে দেউলিয়া আইনের আওতায় সংস্থা বেচে ব্যাঙ্ককে ঋণের টাকা উদ্ধারের হাতিয়ার দিয়েছে তারা। ইতিমধ্যেই ঋণখেলাপি বিভিন্ন সংস্থাকে এনসিএলটি-তেও পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy