অপেক্ষা: হাওড়ায় বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের কারখানা। ফাইল চিত্র
বার্ন স্ট্যান্ডার্ড বন্ধ করার পরিকল্পনা অনুমোদন করল জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলটি)। মঙ্গলবারের শুনানির পরেই তারা জানিয়ে দেয়, সংস্থা বন্ধ করার জন্য রেজলিউশন প্রফেশনাল (আরপি) যে প্রকল্প তৈরি করেছেন, সেটিতে তারা সিলমোহর দিল।
আরপির পরিকল্পনার বাইরে থাকা কর্মী এবং অন্যদের পাওনা সংক্রান্ত দাবিগুলি এ দিন এনসিএলটি খারিজ করে দিয়েছে। তবে কর্মী ইউনিয়নগুলি এর প্রতিবাদ করার জন্য তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে। বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের অবসরপ্রাপ্ত অফিসার সংগঠনের নেতা অনুতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রায়ের কপি এখনও হাতে পাইনি। তবে আমাদের দাবি অগ্রাহ্য করা হয়েছে বলে শুনেছি। প্রতিবাদে আদালতে যাব।’’
তবে এনসিএলটি বার্ন স্ট্যান্ডার্ড বন্ধ করার পরিকল্পনা অনুমোদন করলেও সেটি কার্যকর করার ব্যাপারে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, সংস্থা বন্ধ করার প্রস্তাবে এখনও সায়া দেয়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কমিটি। সংস্থাটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বর্তমান প্রোমোটার ভারতীয় রেল। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির ১০০ শতাংশ শেয়ারের মালিকই কেন্দ্রীয় সরকার। তাই তাদের অনুমোদন ছাড়া সংস্থা গুটিয়ে নেওয়া সম্ভব নয় বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।
তবে যে পরিস্থিতিই সৃষ্টি হোক না কেন, দেউলিয়া আইন মোতাবেক পাওনাদারদের টাকা মেটানোর ব্যবস্থা সংস্থাটিকে করতেই হবে বলে সংশ্লিষ্ট আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
পাওনাদারদের টাকা মেটানো, কর্মীদের স্বেচ্ছাবসর বাবদ খবচ-সহ সংস্থাটিকে গুটিয়ে নেওয়ার জন্য ৪১৭ কোটি টাকা রেল তার অভ্যন্তরীণ বাজেটে রবাদ্দ করে রেখেছে। কিন্তু মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়া ওই টাকা পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
এ দিকে ত্রিপুরা বিধানসভার ভোটে জেতার পরে বিজেপির দাবি, এ বার তাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করা। তাই এই পরিস্থিতিতে বার্ন স্ট্যান্ডার্ডের মতো মুনাফা করা একটি সংস্থা বন্ধ করে রাজ্যের মানুষের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলার মতো পদক্ষেপ কেন্দ্র করবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকের মনেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy